বইটিতে সহজ ও সুন্দরভাবে উৎসে আয়কর কর্তনের সংক্ষিপ্ত-সার ও আয়কর তথ্যাবলী প্রকাশ করা হয়েছে....
দেশের অর্থনীতির পরিমন্ডলে আয়কর আইনের ভুমিকা অপরিসীম। সুষ্ঠ কর ব্যবস্থাপনা তথা আয়কর ব্যবস্থাপনা কোন দেশের জাতীয় অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। কোন দেশের ধনী-দরিদ্রের মধ্যকার পার্থক্য ঘুচানোর সুমহান লক্ষ্য আয়কর ব্যবস্থপনাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা করা যায়।দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের প্রশ্নটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যদিও এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষেরেই দায়-দায়িত্ব ও আন্তরিকতা প্রয়োগের বিষয়টি অপরিহার্য।
সরকার বিভিন্ন শ্রমিক সংঘটনের দাবীকে আমলে নিয়ে এবং জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে শ্রমিক ও মালিকের স্বার্থে আইনটিকে যুগােপযােগী করার প্রয়াস চালিয়েছেন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ২০০৯ সালে বাংলাদেশ শ্রম আইনে সংশােধনী আনা হয়েছে। এ সংশােধনীর মাধ্যমে উক্ত আইনের ষােড়শ অধ্যায় ২৫৩-২৬৩ ধারা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়েছে। তাছাড়াও বেশ কয়েকটি ধারার সংযােজন ও বিয়ােজনের মাধ্যমে আইনটিকে আধুনিক, সময়ােপযােগী ও গতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে। দ্বিতীয় সংস্করণে শ্রম আইনের এ সকল সংশােধনীগুলাে সংযােজন করে পূর্বের সংস্করণের ভুল ত্রুটিগুলাে শােধরানাের চেষ্টা করা হয়েছে। এতে করে একদিকে শ্রম আইন অনুধাবন করতে সহজ হবে এবং অন্য দিকে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে সুযােগ সৃষ্টি হবে। তাছাড়া আইনের মাধ্যমে শিল্পের সাথে জড়িত। শ্রমিকদের অধিকার ও কর্তব্যের প্রশ্নটিকে অতীব গুরুত্বের সাথে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আইনের ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষেত্রে মনগড়া কথাবার্তা থেকে বিরত থেকে শ্রম আইনে কেবল শ্রমিকের অধিকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি এই বইটিতে শিল্পোন্নত দেশের শ্রম ও শিল্পনীতি কিভাবে আজকের এপর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে সে বিষয়টি ও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শ্রম ও শিল্প আইনের তাত্ত্বিক দিকের সাথে এর বাস্তব প্রয়ােগের সম্পর্ককে এখানে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে ।