আমাদের হল্যান্ডে ঢুকতে দিল না; তাদের কী রকম ধারণা হল, এত যন্ত্র এবং কাপড় কখনও আর্টিস্টদের সঙ্গে যেতে পারে —এরা নিশ্চয় ব্যবসাদার। তারা এই সমস্ত যন্ত্রের দাম চেয়ে বসল এবং অনুকম্পা একটু দেখাল যে, যন্ত্র এবং বস্ত্রের দামগুলি রেখে যান—ফিরে যাবার সময় যদি বিক্রয় না করি তবে দাম ফেরত দেওয়া যাবে। অনেক তর্ক-বিতর্কে কোনও ফল হল না দেখে বাক্স খুলে আমার “স্বরদ” বের করে বাজাতে আরম্ভ করলুম (ভেবে দেখ স্থান, কাল এবং পাত্রের কথা)। যাই হােক, বােধহয় এই অভিনব যন্ত্র,—তার আওয়াজে এই কর্তব্যপরায়ণ ভদ্রলােকটি খুশিই হলেন;
মার মন বলছে, এতদিনে আমি দেশের জন্য একটা কাজের মতাে কাজ করতে পারব। এতদিন ধরে তাে কেবল মিটিং, প্যাম্পলেট বিলি, এইসবই করেছি। সবসময় মনে হয়েছে, কবে এমন একটা কাজ করতে পারব যা আমার দেশকে মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে! ইংরেজের বুকে সরাসরি আঘাত হানার ডাক কবে পড়বে!
শ্রুতি নাটক চিত্রনাটক। নামটা একটু অভিনব লাগছে হয়তাে। শ্রুতিনাটকের সঙ্গে তাে বিলক্ষণ পরিচয় আছে। কিন্তু চিত্রনাটক! সে আবার কী বস্তু ও চিত্রনাটক না বলে যদি চিত্রনাট্য বলি, ব্যাপারটা কিছুটা বােধগম্য হয়। সিনেমা বা দূরদর্শন ধারাবাহিক যে পাণ্ডুলিপি অনুসরণ করে তৈরি হয়, যাতে চিত্র ভাবনাও থাকে আবার সংলাপ নির্ভর নাটকও থাকে, সেটাই হল চিত্রনাট্য ওরফে চিত্রনাটক। যা আলাদাভাবে পাঠ করলে চোখের সামনে একটা ছবিও আস্তে আস্তে যেন তৈরি হতে থাকে।
সাধারণ মানুষের জীবিকা বলতে, স্টেশনের পাশে, রাস্তার ফুটপাত দখল করে টিন দিয়ে ঘেরা ছােট ছােট দোকান। চাষের জমি অফুরন্ত নয়। তবে কিছু জমিতে চাষ হয়। আদ্রার বহু মানুষ রেলে কাজ করেন। কিন্তু ওয়াগন ব্রেকার পেশার মানুষও আছে। হিজড়ে সম্প্রদায়ের আধিপত্য আছে। ওদের জীবিকা বলতে দোকানদারদের থেকে তােলাবাজি। হিজড়েদের দুটো দল আছে। ওদের মধ্যে খুন-খারাপিও লেগে থাকে। হিজড়ে মানে অবশ্য প্রায় সবই মেয়েলি পুরুষ।
