কুরআন করীমে শতাধিক স্থানে সালাতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সালাতের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হয়নি। বিভিন্ন স্থানে রুকু করার বা সেজদা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ‘যেভাবে তোমাদের সালাত শিখিয়েছি সেভাবে সালাত আদায় করা।’ কিন্তু কুরআন করীমের কোথাও সালাতের এই পদ্ধতিটি শেখানো হয়নি। ‘সালাত’ বা ‘নামায’ কী, কথন তা আদায় করতে হবে, কখন কত রাকায়াত আদায় করতে হবে, প্রত্যেক রাক‘আত কী পদ্ধতিতে আদায় করতে হবে, প্রত্যেক রাক‘আতে কুরআন পাঠ কিভাবে হবে, রুকু কয়টি হবে, সিজদা কয়টি হবে, কিভাবে রুকু ও সেজদা আদায় করতে হবে…ইত্যাদি কোনো কিছুই কুরআনে শিক্ষা দেওয়া হয়নি।
গিরিশচন্দ্র সেনের মূল অনুবাদের শতবর্ষকে সামনে রেখে ঢাকার খােশরােজ কিতাব মহল থেকে ১৯৮১ সালে একটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল । নিউজপ্রিন্টে ছাপা এ সংস্করণটিকে মূলানুগ মনে করা যেতে পারে । কিন্তু এ সংস্করণটি এখন দুষ্প্রাপ্য। ঢাকার দিব্য প্রকাশ থেকে ২০০৮ সালে একটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। এ সংস্করণটি আমার সামনে ছিল। কিন্তু যাচাই করে দেখার সময় হয়নি। কিন্তু উপরিউক্ত দুটি (খােশরােজ ও দিব্য প্রকাশ) সংস্করণে গিরিশ সেনের দেওয়া কোরআনের নাম অনুসৃত হয়নি। দুটোতেই কোরআন শরীফ নাম দেওয়া হয়েছে। গিরিশ সেন বঙ্গানুবাদে প্রকৃতপক্ষে কী নাম দিয়েছিলেন তার প্রামাণ্য দলিলের ছবি আমরা এই সংস্করণের প্রথম পৃষ্ঠায় ছেপে দিয়েছি। এতে দেখা যাচ্ছে, গিরিশ সেন তার অনুবাদিত কোরআনের নাম দিয়েছিলেন, কোরাণ শরিফ। বিশ্বসাহিত্য ভবন থেকে ২০১৪ সালে প্রকাশিত এই সংস্করণটি এসব দিককে গুরুত্ব দিয়ে সম্পাদনা করা হয়েছে।
সূচিপত্র
প্রথম অধ্যায় : আমরা কেমন মুসলমান?
দ্বিতীয় অধ্যায় : মানব দেহের গুপ্ত ক্যান্সার; নামাজ কবুলের প্রতিবন্ধক
তৃতীয় অধ্যায় : শয়তানের ওয়াছওয়াছা ও নামাজ কবুল না হওয়া
চতুর্থ অধ্যায় : উপার্জন, ছয়টি মারাত্মক গুনাহ ও নামাজ
পঞ্চম অধ্যায় : বিপদমুক্তি, নামাজ এবং নাফরমানির পরিণতি
ষষ্ঠ অধ্যায় : নামাজ ও পর্দা
সপ্তম অধ্যায় : জাহান্নামের খুঁটি স্থাপিত, নামাজ-হেলাওয়াত বিতাড়িত
অষ্টম অধ্যায় : নামাজের স্বাদ পেতে দুনিয়ার ধোঁকা থেকে বাঁচুন
নবম অধ্যায় : বিদআতীর নামাজ-রোজা কবুল হয় না
দশম অধ্যায় : মাতা-পিতা বনাম জান্নাত-জাহান্নাম
একাদশ অধ্যায় : কবরের ভয় কেন আসে না?
দ্বাদশ অধ্যায় : নামাজী খারাপ হয় কিভাবে
ত্রয়োদশ অধ্যায় : মুসলমানের অভাবটা কি?
চতুর্দশ অধ্যায় : ঈমান ও সুখ-শান্তি
রচনা ও তাসনীফ একটি কঠিন কাজ, বিশেষত তা যদি হয় নেসাবী কিতাবের তাসনীফ। আর নেসাবের প্রাথমিক কিতাবসমূহ তৈয়ার করা তাে কঠিন নয়; সুকঠিন। আল্লাহ তায়ালার শােকর, তিনি হযরত মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ দামাত বারাকাতুহুমকে এই সুকঠিন কাজের তাওফীক দান করেছেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে আরাে তাওফীক দান করুন। মােকাম্মাল ও দায়েমী তাওফীকের নেয়ামত দ্বারা মালামাল করুন। আমীন।