Categories


পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস ১ম খণ্ড

থেলিসের দর্শন দিয়েই দর্শনের যাত্রা শুরু। আমরা সৌভাগ্যবান যে তার সময়কাল | নির্ধারণ করতে পেরেছি। জ্যোতির্বিদদের মতানুসারে খ্রিস্টপূর্ব ৫৮৫ অব্দে একটি সূর্যগ্রহণ হয়। থেলিসই এই সূর্যগ্রহণের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। মূলত শুরু থেকেই দর্শন ও বিজ্ঞান পরস্পর থেকে পৃথক ছিল না। তাই আমরা বলতে পারি খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের শুরুতে দর্শন এবং বিজ্ঞানের একত্রেই জন্ম হয়। গ্রিস দেশে এবং প্রতিবেশী দেশসমূহে এর পূর্বে কী ঘটেছিল? এর যেকোনাে উত্তর হবে অংশত অনুমানমূলক, কিন্তু বর্তমানকালের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা আমাদের পিতামহের তুলনায় অধিকতর জ্ঞান প্রদান করেছে।


পাওয়ার

ক্ষমতা লাভের প্রেরণা দুই প্রকার একটি নেতাদের মধ্যে স্পষ্ট, অন্যটি অনুসারীদের মধ্যে প্রচ্ছন্ন। কোনাে নেতাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুসরণ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে নেতার নেতৃত্বাধীন দল কর্তৃক ক্ষমতার্জন করা। কারণ তারা মনে করে নেতার সাফল্যই তাদের সাফল্য। অধিকাংশ লােকই বিজয়লাভের লক্ষ্যে নেতৃত্বদানে নিজের যােগ্যতায় ভরসা করতে পারে না। তাই তারা এমন এক ব্যক্তিকে তাদের দলের নেতা বানাতে চায় যার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের প্রয়ােজনীয় সাহস ও বিচক্ষণতা আছে বলে মনে হয়। এমনকি ধর্মের বেলায়ও এই আবেগ বিদ্যমান। জোরপূর্বক দাসনীতির ধারণা জন্মাবার জন্যে নিয়েজেক খ্রিষ্টবাদকে দোষারােপ করেছেন। কিন্তু সর্বদা লক্ষ্য ছিল সর্বশেষ বিজয়ের। মহিমান্বিত ব্যক্তিবর্গই ভদ্র কারণ তারাই পৃথিবী পাবে,


পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু দর্শন

‘পাকিস্তানের জন্মমৃত্যু-দর্শন’কে বলা যেতে পারে লেখকের স্মৃতিকথা। স্মৃতির আধারেই বিধৃত হয়েছে ইতিহাস। এ ইতিহাস কোনো বইয়ে পাওয়া যাবে না। মানুষের মনোলোকের ইতিহাস উঠে এসেছে এখানে।

এ বইয়ের ‘দর্শন’ শব্দটি ‘দেখা’ ও ‘ফিলসফি’-দুটো অর্থই ধারণ করেছে। পাকিস্তানের জন্ম ও মৃত্যুকে লেখক যেভাবে দেখেছেন তার বর্ণনা যেমন আছে এ বইয়ে, তেমনই আছে পাকিস্তান মানক রাষ্ট্রটির জন্ম ও মৃত্যর পেছনে সক্রিয় ছিল যে দর্শন তারও অনুপুঙ্ক্ষ বিশ্লেষণ। পাকিস্তানের জন্মের দর্শনটি ছিল একান্তই অপদর্শন। অপদর্শন ছিল বলেই পাকিস্তানের মৃত্যু ছিল অপরিহার্য। বাংলাদেশের জন্মের যে দর্শন, সেই দর্শনের মধ্যেই নিহিত ছিল পাকিস্তানের মৃত্যুর দর্শন। পাকিস্তানের এই জন্মমৃত্যুর দর্শন সম্পর্কে এ-রকম মনোগ্রাহী বিশ্লেষণ আর কোথাও পাওয়া যাবে না। লেখকের জীবন কেটেছে গ্রামে ও মফস্বল শহরে। আমাদের ইতিহাস বইগুলোতে গ্রামের চিন্তা-চেতনার পরিচয় কিংবা মফস্বল শহরের মানুষের অবদান সম্পর্কে কিচুই লেখা হয় না। ‘পাকিস্তানের জন্মমৃত্যু-দর্শন’ এক্ষেত্রেও একটি ব্যতিক্রমী পুস্তক। সাধারণ পাঠক যেমন, তেমনই ইতিহাস লেখকগণও এ বইয়ে অনেক ভাবনার খোরাক পাবেন।


শক্তি

সূচিপত্র
*ক্ষমতার শাসন
*নেতা ও অনুসারী
*ক্ষমতার রকমভেদ
*যাজকীয় ক্ষমতা
*নগ্ন ক্ষমতা
*বিপ্লবী ক্ষমতা
*অর্থনৈতিক ক্ষমতা
*জনমত সংগঠনে ক্ষমতার প্রভাব
*ক্ষমতার উৎস : ধর্মমত
*সংগঠনের ইতিবৃত্ত
*ক্ষমতা ও শাসন পদ্ধতি
*ব্যক্তি ও সংগঠন
*প্রতিযোগিতা
*ক্ষমতা ও নৈতিকা বিধি
*ক্ষমতার দর্শন
*ক্ষমতার নীতি
*ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ


কর্তৃত্ব ও ব্যক্তিসত্তা

সূচিপত্র
বক্তৃতা-এক
সামাজিক আসঞ্চন ও মানবিক প্রকৃতি
বক্তৃতা-দুই
সামাজিক আসঞ্জন ও সরকার
বক্তৃতা-তিন
ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের ভূমিকা
বক্তৃতা-চার 
কৌশল ও মানবিক প্রকৃতির সংঘাত
বক্তৃতা-পাঁচ
নিয়ন্ত্রণ ও উদ্যোগ : তাদের যথানির্দিষ্ট ক্ষেত্র
বক্তৃতা-ছয়
ব্যক্তিভিক্তিক ও সামজিক নীতিবোধ


রোডস টু ফ্রিডম

অধিকাংশ পুরুষ ও মহিলা নিজ অথবা বিশ্বসম্পর্কে কোনাে চিন্তা করে না। তারা দেখতে পায় যে তারা সমাজের একটি বিশেষ অংশে জন্মেছে। তারা তাৎক্ষণিক প্রয়ােজনের বাহিরে কিছুই ভাবতে চায় না, মাঠের পশুগুলাের মতােই তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটানাের চিন্তা করে, ভবিষ্যতের জন্য কোনাে অগ্রিম চিন্তা করে না। সমাজের কিছু লােকের রয়েছে উচ্চাকাঙ্ক্ষা, তারা ভাগ্যবান লোেকদের অন্তর্ভুক্ত হতে চায়। তাদের মধ্যে খুব কম লােকই রয়েছে যারা নিজেদের সব রকম সুবিধা অর্জন করতে চায়। বিরল ও ব্যতিক্রমী কিছু লােক রয়েছেন যারা মানবজাতির প্রতি ভালােবাসায় আবদ্ধ।