সাধারণ সহজ-সরল ভাষা আর প্রচণ্ড রকমের উৎসাহমূলক যাদুকরী লেখায় লেখক প্রতিটি পর্ব সাজিয়েছেন। বইটি পরে আর কিছু হোক বা না হোক একজন মানুষ প্রচুর পরিমান উৎসাহ পাবে,তার অন্তত মনে হবে ইন্টারনেট শুধুমাত্র ফেসবুকিং বা ব্রাওজিং নয়,একটু সময় আর পরিশ্রম ব্যয় করে খুব সহজ ও সৎ ভাবে উপার্জন করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।বইটি পরে একজন ছাত্র কিছুটা সময় আর পরিশ্রম ব্যয় করে উপার্জনের মাধ্যমে অন্তত নিজের হাতখরচটা চালাতে পারে।একজন গৃহিণী তার অবসর সময়টা কাজে লাগিয়ে বাড়তি কিছু অর্থ সংসারের কাজে লাগাতে পারেন।
শান্তর প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ক্যারিয়ার অনেক দীর্ঘ। তবে তাকে প্রথম ভালো ভাবে চিনি যখন "Dhaka Regional ২০০৫" এ শান্ত ও নাফি এর IOI গামী দল বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখল করে। "Lattice triangle" গণনার একটি সমস্যা সমাধান করে তারা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে সেই প্রবলেমের স্রষ্টা ছিলাম আমি। ভিসা জটিলতার কারণে তাদের IOI এ অংশগ্রহন করা হয় নাই, নাহলে বাংলাদেশের IOI পদক অনেক আগেই আসতে পারত। শান্ত সম্ভবত এখনো নানান কনটেস্টে অংশগ্রহন করে, তাই তার চেয়ে দীর্ঘ কনটেস্ট ক্যারিয়ার খুব কম লোকেরই আছে। তার উপর শান্তর রয়েছে সমস্যার সমাধান করার সীমাহীন উৎসাহ ও ধৈর্য। জনশ্রুতি রয়েছে যে শান্ত তার বিয়ের দিনও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছে। কাজেই এত দীর্ঘ ক্যারিয়ার ও সময়ে শান্ত কী পরিমান সমস্যা সমাধান করেছে তা আন্দাজ করাও অনেকের পক্ষে কঠিন হবে। এই বইয়ে তাই নানা ধরনের সমস্যা সমাধান এর কথা উঠে এসেছে। বাংলা ভাষায় এমন বই আগে প্রকাশিত হয়নি এমনকি ইংরেজিতে অনুদিত হলেও এই বই যথেষ্ট সমাদৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস|
জব পেতে কত সময় লাগে? অনেকে এক বা দুইটা জবে অ্যাপ্লাই করেই পেয়ে যায় আবার অনেককে বলতে শোনা যায় কয়েক মাস হয়ে গেল এখনো জব পায়নি। আমি মনে করি জব পেতে সর্বোচ্চ এক মাস সময় লাগে। আপনি যদি প্রোফাইলকে ১০০ Percent করেন এবং আইডি ভেরিফিকেশন করেন তাহলে প্রতি মাসে ৬০টি জবে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। ৬০টি জবে অ্যাপ্লাই করলে আপনি অবশ্যই জব পাবেন। তবে জবে অ্যাপ্লাই করার সময় কভার লেটারটি এমন ভাবে লিখবেন যেন বায়ার বুঝতে পারে আপনি জবের বিজ্ঞাপনটি পড়েছেন এবং কাজটি করতে পারবেন। একই ধরনের কভার লেটার সব জবের আবেদনে কখনোই দিবেন না।
প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হলে প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধান করা বা যাকে আমরা প্রবলেম সলভিং বলি, সেই জিনিসটি করার কোনো বিকল্প নেই। কেউ যখন নতুন প্রোগ্রামিং শিখবে, তখন প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণাগুলো আয়ত্ত্বে আনার পরপর কয়েকশ ঘণ্টা প্রোগ্রামিং চর্চা করা আবশ্যক। ইন্টারনেটে হাজার হাজার প্রোগ্রামিং সমস্যা রয়েছে, যেগুলো সমাধান করে অনলাইন জাজে পরীক্ষা করা যায়। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ওই সমস্যাগুলো বাংলা ভাষায় লেখা নয়। তাই আমাদের অনেক শিক্ষার্থীরাই সেখানে আগ্রহ পায় না। এছাড়া প্রোগ্রামিংয়ে যারা একেবারে নতুন, তাদের জন্য আলাদাভাবে কোনো রিসোর্স আমার চোখে পড়েনি। তাই এই বইটি লেখার কথা আমার মাথায় আসে।
যারা ভয়ের কারণে প্রোগ্রামিং শিখা শুরু করতেই পারে না। প্রোগ্রামিং কঠিন; সায়ন্সের স্টুডেন্ট বা ম্যাথে ভালো না হলে প্রোগ্রামিং শিখতে পারবে না মনে করে মুখ লুকিয়ে রাখে। তাদের জন্য গল্প আর মজার ছলে, চায়ের আড্ডার মাধ্যমে প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক কনসেপ্টগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া স্মার্টফোনে কোনকিছু ইনস্টল না করেই প্রোগ্রামিং প্রাকটিস করতে পারবে। আর যারা প্রোগ্রামিং শিখে কিছুটা এগিয়ে আছে, তারাও বইটি পড়ে প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক কনসেপ্টগুলো ফকফকা করে নিতে পারবে।
ইন্টারনেট ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং পেশা এখন সারা বিশ্বে সুপরিচিত ও আলোচিত। ফ্রিল্যান্সিংকে গুরুত্ব সহকারে বিচার বিবেচনা করার সময় চলে এসেছে। এরই মধ্যে এই পেশাটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তার অর্জনের পাশাপাশি একটি বিলিয়ন ডলারের আয়ের খাতে পরিনত হয়েছে। পেশা হিসাবে একে অনেকেই বেচে নিচ্ছেন, পছন্দ ও ইচ্ছানুযায়ী কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে আয়ও করছেন। এর জনপ্রিয়তা বাড়ছেই, বাড়বেও। অনেকদিন ধরেই, অন্যান্য দেশের মত, বাংলাদেশেও অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এ আগ্রহ দেখিয়েছেন যাদের বেশীর ভাগই তরুন। তবে, তাদের সে আগ্রহ ও উত্তেজনাই দিন দিন পুন্জীভূত হতে হতে, ফ্রিল্যান্সিংকে এখন অনেকেই পেশা হিসাবে বিবেচনা করছেন যা আমাদের দেশের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উ্মোচন করেছে। এই অভিনব পেশাটিতে যুক্ত হয়ে এদেশের অনেকেই নিজেদের ভাগ্যবদলের পাশাপাশি অবদান রাখছেন বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে। এদেশের তরুনরাই এখন এই খাতে আমাদের প্রতিনিধি। প্রথমদিকে এ সম্পর্কে তথ্যাদি এবং সঠিক দিক নিদের্শনার ঘাটতি থাকলেও একদল উৎসাহী তরুন এই খাতটিতে কাজ করার পাশাপাশি নিজের অভিজ্ঞতার অজির্ত জ্ঞান সবার কাছে পৌছে দেয়ার মাধ্যমে সে ঘাটতি অনেকটাই পূরন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের প্রতিনিধি হিসাবে পার্থ সারথি কর তার বইয়ে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সঠিক দিকনির্দেশনাসহ বিস্তারিত তুলে ধরেছে। নতুনদের জন্য এরকম একটি তথ্যবহুল বইয়ের খুব প্রয়োজন ছিল।যে আগ্রহী তরুনরা ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসাবে বেচে নিতে চান, তাদের জন্য বইটি খুবই সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস । পাশাপাশি সে এ পেশায়, এদেশের কিছু সফল ও ব্যক্তিগতভাবে আমার পরিচিত ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যাক্তাদের বক্তব্য বইটিতে যুক্ত করেছে যা নতুনদের অনুপ্রেরনার উতস হিসাবে কাজ করবে বলে আশা করছি।
আউটসোর্সিংয়ে সফল হওয়ার জন্য চারটি জিনিস প্রয়োজন। ১. কোন কাজে দক্ষতা ২. সুন্দর একটি প্রোফাইল ৩. উপযোক্ত কভার লেটার এবং ৪. ইংরেজিতে বেসিক জ্ঞান। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কোন কাজে দক্ষতা। বাকি তিনটিও এটির উপর নির্ভরশীল। প্রথমে কোন কাজে দক্ষতা অর্জন করে আউটসোর্সিংয়ে নামতে হবে। তারপর সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতেও কাজের দক্ষতা প্রয়োজন। কারণ আপনি যে কাজগুলো জানেন সেগুলো প্রোফাইলে যোগ করবেন, কাজের পোর্টফোলিও যোগ করবেন। আপনি যে ঐ কাজের উপযোক্ত এটা যেন আপনার প্রোফাইল দেখেই বুঝা যায়। তারপর জবের বিজ্ঞাপণ অনুসারে কভার লেটার লিখতে হবে। বিভিন্ন জবের কভার লেটার বিভিন্ন রকম হয়। আপনার কভার লেটারটি এমন ভাবে লিখতে হবে যেন ক্লায়েন্ট এটা পড়েই বুঝতে পারে যে আপনি কাজটি করতে পারবেন। সবশেষে প্রয়োজন ইংরেজিতে বেসিক জ্ঞান ক্লায়েন্টের সাথে ইন্টারভিওর সময় কনভারসেশন (চ্যাট) করার জন্য। ইংরেজিতে জ্ঞান আপনার আগেও লাগবে যখন আপনি জবের বিজ্ঞাপণ পড়বেন। জবের বিজ্ঞাপণ পড়ে আপনাকে বুঝতে হবে এখানে কী কাজের কথা বলা হয়েছে। কাজটি কীভাবে করতে হবে তা আপনাকে ইংরেজিতেই কভার লেটারে লিখবে হবে। ইন্টারভিওর সময় ক্লায়েন্টকে ইংরেজিতেই বুঝাতে হবে আপনি কাজটি কীভাবে করবেন।
সূচিপত্রঃ
মডিউল-১
১. সম্ভাবনার আউটসোসিং
২. এন্টারপ্রাইজ মোবিলিটি ও আউটসোর্সি
৩. আউটসোসিং-এর কিছু পরিসংখ্যান
৪. অফশোর আউটসোসিং- কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা
৫. অনলাইনে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনাঃ ঘরে বসেই উপার্জন
৬. অনলাইনে এ অর্থ উপার্জন
৭. যাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
৮. ঘরে বসেই ডাটা এন্ট্রি
৯. আউটসোর্সিং: আইনজীবীদের জন্য খুবই ভঅলো একটি সুযোগ
১০. ওযেব বিজ্ঞাপন ও গ্রাহকের অধিকার
১১. ব্লগিং করে টাকা আয়
১২. ডিজাইন বেচাকেনার মার্কেটপ্লেস
১৩. লেখালেখি হতে পারে আয়ের উপায়
১৪. এনিমেশনেও রয়েছে আউটসোর্সিং এর সম্ভাবনা
১৫. সেরা কিছু ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইট
মডিউল-২
১. ভার্চুয়ালজগতের বন্ধুত্ব
২. ডায়েরি’র জায়গায় স্থান করে নিচ্ছে ইন্টারনেট ব্লগ
৩. ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব
৪. ব্লগিং-টাইমলাইন
৫. বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো ১০০ ডটকম ডোমেইন
৬. জনপ্রিয় ১০ ওয়েবসাইট
৭. বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়েব সাইট ও ডোমেইন নেম
৮. সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ১০ প্রতিযোগী
৯. অনলাইনে সারাবিশ্ব
১০. হাইটেক ক্রাইম-টাকা উপার্জনের বড় ধান্ধা
১১. নিরাপদ ইন্টারনেট
১২. ৫০টি সেরা ওয়েবসাইট
১৩. উইন্ডোজ প্লাটফর্মভিত্তিক ১৫০টি সফটওয়্যার
১৪. বিনামূল্যে প্রাপ্ত কিছু সফটওয়্যার
মডিউল-৩
১. গুগল এডসেন্স : আয় রোজগারের প্রাথমিক ধাপ
২. গুরু ডট কম
৩. গেট এ ফ্রিল্যান্সার ডট কম
৪. প্রোগ্রামিং বিডস্ ডটকম
৫. রেন্ট এ কোডার ডটকম
৬. গেট-এ-কোডার ডটকম
৭. ইল্যান্স ডটকম
৮. ওডেক্স ডটকম
৯. ৯৯ ডিজাইনস ডটকম
১০. জুমল্যান্সার্স ডটকম
১১. স্ক্রিপ্টল্যার্ন্স ডটকম
১২. সিআইএও ডটকম
১৩. মাই হোমপেজ ফ্রেন্ডস ডটকম
১৪. স্কোর ডটকম
১৫. ডিপাক্কো ডটকম
মডিউল-৪
১. ওয়েবসাইট ডিজাইন ধারণা
২. ওয়েব ডিজাইনে ৬০ টি শীর্ষ ত্রুটি
৩. ওয়েবসাইট ডিজাইন : যা জানা প্রয়োজন
৪. গ্রাফিক্স শেখার কয়েকটি সাইট
৫. জুমলা কিভাবে কাজ করবে
৬. জুমলা কিভাবে কাজ করবে
৭. বাংলা ব্লগিং এর প্রথম দাপ-পরিকল্পনা
৮. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট টুলস
মডিউল-৫
১. দেশে-ই-কমার্স প্রচলন
২. ই-কমার্স এ বাংলাদেশী সাইট
৩. অনলাইন আর্থিক লেনদেনে প্রধান দুটি পদ্ধতি হচ্ছে পেপাল ও ডিসকভার
৪. পেওনার ডেবিট মাস্টার কার্ড
৫. অর্থ লেনদেনের সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতি-মানিবুকারস
অনলাইনের এ যুগে বেকার শব্দটি বড় বেশি বেমানান। কারণ অনলাইন সারা বিশ্বকে নিয়ে এসেছে আপনার ঘরের কোণে। এখন ঘরে বসেই বিদেশে বসবাস করা আপনজনদের সাথে ভিডিও কথােপকথন করা সম্ভব হচ্ছে, যা আজ থেকে মাত্র তিন বছর আগেও মানুষের কাছে অসম্ভব এবং অবিশ্বাস্য মনে হতাে। বিষয়টি এখন গ্রামের স্বল্প শিক্ষিত মানুষের কাছেও অতিপরিচিত। যােগাযােগব্যবস্থার একটি বিশাল মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের এই উন্নত যােগাযােগব্যবস্থার ফলে সারা বিশ্ব আজ ছােট হয়ে গেছে এবং এসেছে। বিশাল বড় পরিবর্তন। সারা বিশ্বে ছােট ছােট কোম্পানির পাশাপাশি বড় কোম্পানিগুলােও ভাবতে শুরু করেছে, তাদের কাজের জন্য সব স্টাফকে অফিসে বসানাের দরকার নেই। খরচ কমানাের পরিকল্পনায় তারা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের জন্য লােক নেওয়া শুরু করল, যারা অফিসে না এসে অন্য দেশে ঘরে বসেই সব কাজ করতে পারবেন। অনলাইন বিষয়টিকে এতই সহজ করে দিল, যার জন্য এখন আর প্রয়ােজন হচ্ছে না নিজের দেশ ত্যাগ করে, নিজের পরিচিত পরিবেশ, বন্ধু-আত্মীয়স্বজনকে ত্যাগ করে দূরে চলে গিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া। ঘরে বসেই মানুষ এখন বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি করছে। দিনে দিনে এ সংখ্যা আরও বাড়ছে, সামনে আরও বাড়বে। কারণ অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে এখনাে যেসব বাধা আছে, সেগুলােও ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে বসে এ রকম কাজ করে যারা নিজেদের ক্যারিয়ারকে গড়ে তুলেছেন, তাদেরই ফ্রিল্যান্সার বলে। আর এ ধরনের কাজকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে।
ইন্টারনেটে আউটসোর্সিংয়ের বেশ কয়েকটি ভালো বাজার (মার্কেটপ্লেস) রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ওডেস্ক (www.odesk.com)। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এ মার্কেটপ্লেসের নানা তথ্য নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে বইটি। বইটিতে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে কাজে বিড করার পদ্ধতি, কাজ পাওয়ার উপায় ইত্যাদির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। সাতটি অধ্যায়ের বইটিতে ফ্রিল্যান্সিং, ওডেস্ক কী, কাজের ধরন, নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি, কন্ট্রাক্টর তৈরি, বিভিন্ন পরীক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি, প্রতিটি মেন্যুর বর্ণনা, প্রজেক্টে বিড করার পদ্ধতি, উপার্জিত আয়ের অর্থ উত্তোলনসহ রয়েছে বিস্তারিত নানা কাজের বর্ণনা। প্রতিটি অধ্যায়ে বিষয়ের সঙ্গে রয়েছে আলাদা ছবি। কাজের দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ওডেস্কে বিভিন্ন পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
আমার প্রিয় মানুষ হবু ডক্টর এর কাছে গিয়ে টাকাটা হাতে নিয়ে বললাম, ‘এসেছে। আমাদের দুজনের চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল পড়ছে কিন্তু আমরা হাসছি, আনন্দের হাসি। নিজেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ। সে বলল, ‘সবার কথায় আমরা কান দেইনি, দিবও না। তুমি এখনো শেষ হয়ে যাওনি, এখন তোমার শুরু।’
একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের জীবনী যদি জানতেন তবে আপনি নিজেই প্রত্যেককে ‘লিজেন্ড’উপাধিতে ভূষিত করতেন। বিশ্বাস করুন তাঁরা শতবার ব্যর্থ হয়েছে। কাউকে সে কথা বলেনি। রাতের পর রাত পার করেছে শুধু স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য। কিন্তু যখন একজন ছোটভাই তাঁর কাছে এসে আবদার করে, ‘ভাইয়া, দয়া করে আমাকে সহজে ইনকাম করার কোনো উপায় দেখিয়ে দিন।’তখন বড় ভাইটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার মতো বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে।
২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে আমি প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ি। ধার করে, জমি বিক্রি করে চাকরির জন্য ঘুষ দিয়েছিলাম ১২ লক্ষ টাকা। চাকরিও হয়নি, টাকাও ফেরত পাইনি। আবার আমার বেতনের চেক দিয়েও ধার নিয়েছিলাম দুই লক্ষ টাকা। বেতন পেতাম মাসে ১২ হাজার। এর মধ্যে সুদই দিয়ে গেছি মাসে ১০ হাজার করে। ছয় বছর পর্যন্ত শুধু সুদই দিয়ে গেছি। পাওনাদাররা আমার বিরুদ্ধে মামলা করে। আমার পারিবারিক এবং শিক্ষকতা জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলে।
অনলাইনে অনেক ফাপড়বাজ মানুষের সাথেও পরিচয় হয় যারা ভাব নেয় অনেক কিছু পারে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই পারে না তবে ডিমোটিভেট করার জন্য প্রস্তুত। এসব মানুষ আরো বেশি হতাশ করে দিত। তখন থেকেই বেছে বেছে ডিমোটিভেট মানুষদের কাছ থেকে দুরে সরতে থাকি। এটাও বলতে গেলে কাজেরই একটা অংশ।
কম্পিউটারের সূচনা বেশীদিন আগের কথা নয়, যখন মানুষ প্রকৃতির কাছে ছিল অসহায়। তারা বেঁচে থাকতাে জঙ্গলের ফলমূল অথবা কাঁচা মাংস খেয়ে। ধীরে ধীরে তারা শক্তির ব্যবহার শিখলাে। আগুনের ব্যবহার মানুষের জীবন প্রণালী পাল্টে দিল। দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি বড় ধরনের বিপদের বিরুদ্ধে আগুনই ছিল প্রধান অস্ত্র। আগুনই সভ্যতার চাকা ঘুরালাে। পরবর্তীতে বিদ্যুত এসে ঘটিয়ে দিল আমূল পরিবর্তন। এখনকার দিন কম্পিউটারের দিন অর্থাৎ ডিজিটাল লাইফ। এটি ব্যবহৃত হচ্ছে- অফিসে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, হাসপাতাল, পুলিশ ষ্টেশন, মহাকাশ স্টেশনসহ সকল ক্ষেত্রে। যােগাযােগ রক্ষা, সময় গণনা, বিনােদনসহ সকলক্ষেত্রে রয়েছে এর ব্যবহার। চলুন প্রথমে খুব সংক্ষেপে আনুসাঙ্গিক বিষয় নিয়ে সামান্য আলােচনা করা যাক। কম্পিউটার (Computer) হলাে আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিস্কার। এটা হচ্ছে বিশেষ ধরনের একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। যদিও কম্পিউটার আবিস্কার বেশী দিনের নয় তবুও কম্পিউটার বর্তমানে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। নিত্যদিনের ব্যবহার করা আপনার ডিজিটাল ঘড়িটি, হিসাব নিকাশের জন্য ক্যালকুলেটর, খাবার গরম করার জন্য ডিজিটাল ওভেন, সংযােগ রক্ষার্থে ডিজিটাল টেলিফোন, মােবাইল ফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি খেলনাসহ সব ধরনের ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রই কম্পিউটারের অংশ বিশেষ বা কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরী করা। সুতরাং প্রশ্ন হচ্ছে কম্পিউটার কি? কম্পিউটার কি? কম্পিউটার হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যার মাধ্যমে খুব সহজে এবং অল্প সময়ে প্রচুর তথ্য সম্বলিত বড় গানিতিক (Mathematical) হিসাবসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়। এতে রয়েছে মেমরী, নিয়ন্ত্রণ অংশ, গানিতিক ও যুক্তি গ্রহণ অংশ ও নির্গমন অংশ। এটি সমস্ত ধরনের ডাটাকে নাম্বারে রূপান্তরিত করে সমাধান শেষে আবার ডাটায় রূপান্তরিত করে প্রকাশ করে। এটি কোন টেক্সট, সাউন্ড বা ছবিকে নাম্বারে রূপান্তরিত করা ছাড়া চিনতে পারে না। এটি ডাটা গ্রহণ করে, পরে এনালাইস করে এবং ফলাফল প্রকাশ করে। এটি অতি দ্রুত এবং নির্ভুল ফলাফল প্রকাশ করে। কম্পিউটারের আবিস্কার। চালর্স ব্যাবেজ নামে একজন ইংরেজ গণিতবিদ ১৮৩০ সালে প্রথম এনালগ কম্পিউটার আবিস্কার করেন। এরপর হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হাউয়ার্ড একিন' একটি ম্যাকানিক্যাল কম্পিউটার তৈরী করেন। পরবর্তীতে ডিজিটাল কম্পিউটার আবিস্কৃত হয় যা ম্যাকানিক্যাল কম্পিউটারের থেকে ২০০ গুন গতি সম্পন্ন এবং সেটি ধীরে ধীরে উন্নত হয়ে আজকের কম্পিউটার। লর্ড বায়রণের মেয়ে লেডী এ্যাড়া বায়রণ পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রােগ্রামটি তৈরী করেন। কম্পিউটারের কাজ করার পদ্ধতি কম্পিউটার কাজ করে আই পি ও (I-P-0) সাইকেলের মাধ্যমে। ইহা প্রথমে তথ্য গ্রহণ (Input) করে কী-বাের্ডের মাধ্যমে। সুতরাং কী-বোের্ড একটি ইনপুট ডিভাইস (Input Device)। এরপর তথ্যের (Data) প্রক্রিয়াকরণ (Processing) করে সিপিইউ নামের সিসটেম ডিভাইসের মাধ্যমে এবং ফলাফল প্রকাশ করে আউটপুট ডিভাইস (Output Device) ভিডিইউ (VDU) এর মাধ্যমে।
বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তির যুগ তথা ইন্টারনেটের যুগ। ইন্টারনেটের কল্যাণে আমাদের এ বিশ্ব অনেক এগিয়েছে এবং আরাে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ইন্টারনেটের সংস্পর্শ থেকে কোন কিছুই আর বিচ্ছিন্ন নেই। আমাদের যােগাযােগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ঘরের বাজারটাও হচ্ছে ইন্টারনেটে। তাই সবার সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারটাও অনেকটাই এখন ইন্টারনেটের হাতে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেকেই এখন সুন্দরভাবে জীবিকা নির্বাহ করছে। ভবিষ্যতে আমাদের দেশের অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করবে ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদের এর উপর । যেমন ঃ ইন্টারনেট ভিত্তিক কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বানিজ্য, পড়া-লেখা ইত্যাদি। বিশ্বায়নের এ যুগে ইন্টারনেটের কল্যাণে পৃথিবীর সবকিছুতে যেমন অনলাইনের ছোঁয়া লেগেছে তেমনি আমাদের ব্যবসাবাণিজ্যও পিছিয়ে নেই, আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যতেও এখন ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়ছে। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থাকে বলা হয় তথ্যভিত্তিক সমাজ। একটি দেশের জন্য এই তথ্য (Information) খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল একটি ব্যাপার । এই তথ্যকে যে দেশ যতবেশি কাজে লাগাতে পারবে সে দেশই তত উন্নতি লাভ করবে। আর এই তথ্যভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্যের পদ্ধতির ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের নতুন সমাজ ক্রমশ একটি নতুন ব্যবসা পদ্ধতির দিকে ধাবিত হচ্ছে যার নাম ই-কমার্স (E-commerce) ব্যবসা-বাণিজ্য নানান সময়ের নানান পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। প্রত্যেকবারই এর গতি বেড়েছে । ঠিক তেমনি ই-কমার্স হলাে ব্যবসা বাণিজ্যর আরেকটি পরিবর্তন। এই বইটিতে ই-কমার্স (E-commerce) সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে যেমন লেখা হয়েছে পাশাপাশি একটি ই-কমার্স সাইট ডেভেলপ করার কৌশল এবং একটি ই-কমার্স সাইট কিভাবে ডেভেলপ করা যায় সেটিও দেখানাে হয়েছে।
আমার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং (যেটি পরবর্তী সময়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ১ম খণ্ড নামে প্রকাশ করা হয়) বইটি প্রকাশ হওয়ার পরে দেখতে দেখতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেল। এই সময়ে আরও বেশ কয়েকটি বই লিখলেও কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ২য় খণ্ড লেখার কাজ অনেক ধীরগতিতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বইটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। আশা করি, ১ম খণ্ড পড়ার পরে এই বইটিকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের যেই প্রত্যাশা, সেটি পূরণে বইটি সক্ষম হবে।
এক সদস্য বিশিষ্ট বলদ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যায়- বলদ তিন প্রকার। ফাঁকিবাজ বলদ, কনফিউজড বলদ ও চুপা বলদ। এসব বলদরা আড্ডা দেওয়া, ঘুরতে যাওয়া, প্রেম খোঁজা, এমনকি স্যারদের বাঁশ খাওয়ার মতো কাজগুলো নিষ্ঠার সাথে পালন করার পরেও পরীক্ষার খাতায় সামান্য কয়েকটা নম্বরের জন্য এদেরকে হাবলু, বলদ বা গাধা হিসেবে সম্মোধন করা হয়। বেশিরভাগ বলদরা বাইরে চাল্লু ভাব ধরে রাখলেও তাদের ভিতরে থাকে- না পারার ভয়, সামর্থ্য নিয়ে সংশয়, ফাঁকিবাজির আশ্রয়। এরা প্রোগ্রামার হওয়ার স্বপ্ন দেখে, রুটিন বানিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, ছোটখাটো জিনিসে আটকে গেলে হতাশার বড়ি গিলে। কেউ কেউ আবার কয়েকদিন শিখে এক প্রোগ্রামিং ল্যাগুয়েজ, কয়েকদিন পর ধরে অন্য আরেক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। তাতে না শিখে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, না শিখে প্রোগ্রামিং। তবে সব বলদই সুযোগ পেলে ছুটে যায় চা দোকানে। আড্ডা দিতে। সেজন্যই চা দোকানের আড্ডার ভাষা দিয়ে প্রোগ্রামিংকে উপস্থাপন করা হয়েছে এই বইতে। যাতে বলদেরাও পুচকা লেভেলের প্রোগ্রামার হিসেবে ফুল টাইম, পার্ট-টাইম বা ইন্টার্ন এ এপ্লাই করার জন্য যে জিনিসগুলা শিখা দরকার সে জিনিসগুলা আড্ডাবাজি করতে করতে শিখে ফেলতে পারে।
পাইথন অত্যন্ত শক্তিশালী, আধুনিক, সহজে বোধগম্য ও পরিচ্ছন্ন একটি প্রোগ্রামিং ভাষা। ওয়েব প্রোগ্রামিংয়ে পাইথন বেশ জনপ্রিয়। ডাটা সায়েন্সেও এর ব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। উন্নত দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় প্রোগ্রামিংয়ের কাজে পাইথন যেমন ব্যবহৃত হচ্ছে, তেমনি প্রোগ্রামিং শেখার জন্যও পাইথন ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে থাকবে না। এই বইটি পাঠকদের পাইথন নামক চমৎকার প্রোগ্রামিং ভাষার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটি ভালোভাবেই পালন করবে। যারা মোটামুটি প্রোগ্রামিং পারে কিন্তু পাইথন ভাষায় কখনো কোড করে নি, এই বই তাদের জন্য উপযোগী।
গ্রাফ অ্যালগরিদমে আমার দুর্বলতা গোপন কিছু নয়। তাই লেখকের কাছ থেকে যখন তার বইয়ের মুখবন্ধ লেখার প্রস্তাব পেলাম তখন খুশি আর আমার ধরে না। কারণ এরকম প্রস্তাব এই প্রথম, বিনামূল্যে গ্রাফ অ্যালগরিদম শিখে ফেলা যাবে। সর্বোপরি এই বই দেখিয়ে নিজেকে গ্রাফ বিশেষজ্ঞ প্রমাণ করা যাবে। আরেকটি কারণ হলো আমি এবং শাফায়েত প্রোগ্রামিং কনটেস্টের দুই ঘরানার লোক (DU-BUET অথবা Codemarshal-Hackerrank যেভাবেই দেখি না কেন)। কিন্তু সবকিছুর আগে আমরা বাংলাদেশের ভালো চাই এবং আমাদের কাজে সেটাই ফুটে ওঠা উচিত। সেই ফুটিয়ে উঠানোর কাজটা সবচেয়ে ভালোভাবে করা সম্ভব এই বই এর মুখবন্ধ লেখার মাধ্যমে। পুরো বইটি পড়ার সময় হয়নি এখনো, কিন্তু যতদুর দেখেছি তাতেই মনে করি বইটি বোঝা বেশ সহজ, অযথা গাণিতিক প্রতীক / চিহ্ন ইত্যাদি ব্যবহার করে লেখক পান্ডিত্ব দেখানোর চেষ্টা করেননি এবং অনেক বেশি টপিক নিয়ে আলোচনারও চেষ্টা করেননি। আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের ইংরেজিতে দুর্বলতা অনেক বেশি, কিন্তু এই দুর্বলতা ভালো প্রোগ্রামার হওয়ার পথে কোনো অন্তরায় হওয়া উচিত নয়। যদি তাই হতো তাহলে রাশিয়া, চীন থেকে বিশ্বের সব ভালো ভালো প্রোগ্রামাররা বের হয়ে আসত না আর আইসিপিসিতে ইংরেজিভাষী দেশগুলোকে মেডেলের জন্য হা-হুতাশ করতে হতো না। কাজেই কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আরও বাংলা বই বের হওয়া উচিত এবং সেদিক দিয়ে এই বইটি একটি ভালো সংযোজন। এ ধরনের বই পড়ে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অনেক কম বয়সেই খুব ভালো প্রোগ্রামার হয়ে উঠতে পারবে।
কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়ে সাফল্য অর্জন করেছেন এমন বারোজন বাংলাদেশি প্রকৌশলির সাক্ষাৎকার সংকলন করে প্রকাশ করা হয়েছে বইটি। এই বইটি কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে ক্যারিয়ার করতে আগ্রহী তরুন প্রজন্মকে উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভুল ধারনা ভাঙ্গাতে সাহায্য করবে। বইটির সবগুলো সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন তামিম শাহরিয়ার সুবিন।
“জাভা প্রোগ্রামিং” লেখার গোড়া থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে আমার সাথে পরামর্শ করেছেন রোকন, সব ক্ষেত্রে দুজনে একমত না হতে পারলেও, বেশিরভাগ পরামর্শই গ্রহণ করেছেন তিনি। বিশেষত অধ্যায়ান্তে অনুশীলনী সংযোজনের ফলে পড়া শেষে পাঠকের জন্য চিন্তা ও চর্চার খোরাক জুটেছে এই গ্রন্থটিতে, সেটি শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক হবে নিঃসন্দেহে। গ্রন্থটির ভবিষ্যতের সংস্করণে অনুশীলনীগুলোকে আরো সমৃদ্ধ করা হবে বলে আশা রাখি। ঢাকার নাগরিক জীবন, সময় ও দৈনন্দিন জীবনের কাজের চাপ গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে অনুপযোগী হলেও নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছেন রোকন। বাংলা ভাষায় জাভা, প্রোগ্রামিং সহ কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিষয়াদির ক্ষেত্রে সার্থক ও নির্ভুল গ্রন্থপ্রকাশ নানা কারনেই বেশ কঠিন। সঠিক পরিভাষা বিনির্মাণ ও তার প্রয়োগের যথার্থ প্রয়াস এখনো নেয়া হয় নি। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল বা বাংলা একাডেমী এই বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ না নেওয়া পর্যন্ত এ অসুবিধা দূরীকরণ সম্ভব বলে মনে হয় না। প্রোগ্রামিংয়ের আলোচনায় কিছু ইংরেজি শব্দ চলে আসা স্বাভাবিক।
স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যখন আরো উৎসাহী হবে এবং ছোটোবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং এ অনেক পারদর্শী হবে তখন এরাই বাংলাদেশকে পরিবর্তন করে দিতে পারবে এই প্রত্যাশায় আমার এই বইটি লেখার কাজ শুরু করি। বইটি স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ এবং সাবলীল ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। বইটিতে স্কুল-কলেজের পাঠ্যের কিছু গণিত, পদার্থ বিজ্ঞানের বিষয় গুলো প্রোগ্রামিং এর সাহায্যে দেখানো হয়েছে। বইটি ছোট আকারে রাখার চেষ্টা করেছি যাতে বইটি পড়ে একঘেয়েমি না আসে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ভালো করার জন্য এবং পাঠ্যসূচির প্রোগ্রামিং বিষয়টি সহজে আয়ত্ত করার জন্য প্রতিটি অধ্যায়ে যুক্ত করা হয়েছে অসংখ্য উদাহরণ এবং তার ব্যাখ্যা। আশাকরি বইটি স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সি প্রোগ্রামিং এর মৌলিক ধারণা দিতে পারবে।
কমপিউটারকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী করে যে উপাদানটি তা হল এর জন্য লেখা প্রোগ্রাম। আর এই প্রোগ্রাম লেখার জন্য প্রোগ্রামাররা বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করেন। তেমনেই একটা ল্যাংগুয়েজ হল C. আমি আমার অভিজ্ঞাতা থেকে উপলদ্ধি করেছিলাম যে, C এর উপর বাংলায় একটি ভাল বইয়ের খুব দরকার। আর এই উপলদ্ধিরই বাস্তরুপ ছিল এই বইটি।পুর্বের সংস্করণগুলোতে বইটি লেখার সময় যথাসম্ভব সহজ, সরল ও বোধগম্য করার চেষ্টা করেছিলাম এবং এতে তুলনামুলকভাবে প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান নতুন নতুন উপাদান সংযোজন করেছিলাম। কিন্তু তারপরও বইয়ের পূর্বের সংস্করণগুলোতে কিছু ভুল-ভ্রান্তি ছিল এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আলোচনায় ঘাটতি ছিল। এই সংস্কৃরনে তা কিছুটা হলেও পুরণ করার চেষ্টা করেছি। এই সংস্করণে প্রায় সকল অধ্যায়গুলোকেই নতুন করে লেখা হয়েছে। বিশেষ করে হলেও পূরণ করার চেষ্টা করেছি। এই সংস্করণে প্রায় সকল অধ্যায়গুলোকেই নতুন করে খেলা হয়েছে। বিশেষ করে array এবং Pointer অধ্যায়সহ অন্যান্য অধ্যায়গুরো নতুন করে সাজিযেছি, যাতে প্রতিটি বিষয় আর ও সহজে বোঝা যায়।
বাংলাদেশের অর্থনীতি তিনটি পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমটি পোশাকশিল্প, দ্বিতীয়টি কৃষি ও তৃতীয়টি হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের শ্রম। কিন্তু চতুর্থ পিলারটি অনুপস্থিত। সেই পিলারটি হতে পারত তথ্যপ্রযুক্তি। কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা ও চেষ্টার অভাবে বাংলাদেশ এই খাতে এখনো অনেক অনেক পেছনে। তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যে যতই কথা বলুক, যত শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার স্বপ্নই দেখাক, এতে কাজের কাজ কিছু হবে না। তথ্যপ্রযুক্তির মূল বিষয় হচ্ছে প্রোগ্রামিং আর সেটাকে ধরেই আমাদের আগাতে হবে। অনেক দেরিতে হলেও বাংলাদেশের অনেকেই সেটা বুঝতে শুরু করেছে, আর তাই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাদের নিয়মিত পড়াশোনার বাইরে প্রোগ্রামিং শেখার চেষ্টা করে যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করছে। বিষয়টি আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের যে, বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করে আমার লেখা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ১ম খণ্ড বইটি দিয়ে। বইটিতে সি (C) প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করানোর চেষ্টা করেছি।