Categories


শিশু-কিশোর ছড়া ও কবিতা

আমি এলাম

মুখের হাসি মনের খুশি

প্রাণের ভালবাসা 

এই নিয়ে এই নতুন দেশে।

বেঁধেছি এক বাসা। 

নতুন দেশে এলাম আমি

নতুন কারিগর 

ইচ্ছেমতী মনের রঙে

বেঁধেছি এই ঘর। 

সবুজ সবুজ শাখায় দেখি

নানা ফুলের মেলা 

দেখি সকাল সন্ধাবেলা

নানা রঙের খেলা।

যখন খুশি আমি ওদের।

খেলার সাথী হই, 

হাওয়ার গলা জড়িয়ে ধরে

হাওয়ার মতাে বই। 

আমি নতুন শিল্পী, আমি

আঁকি নতুন ছবি, দৈত্য-দানাে পরীর ডানা।

আঁকতে পারি সবই।

কোথাও নেই কেউ দেখে নি।


সেরা কিশোর কবিতা

আমার বাড়ি

আমার বাড়ি যাইও ভােমর,

বসতে দেব পিড়ে,

জলপান যে করতে দেব

শালি ধানের চিড়ে।

শালি ধানের চিড়ে দেব,

বিন্নি ধানের খই,

বাড়ির গাছের কবরী কলা,

গামছা-বাধা দই।

আম-কাঁঠালের বনের ধারে

শুয়াে আঁচল পাতি,

গাছের শাখা দুলিয়ে বাতাস

করব সারা রাতি।

চঁদমুখে তাের চাঁদের চুমাে

মাখিয়ে দেব সুখে,

তারা-ফুলের মালা গাঁথি,

জড়িয়ে দেব বুকে।

 


ছড়া সমগ্র

সৎ পাত্র

শুনতে পেলুম পােস্তা দিয়ে

তােমার নাকি মেয়ের বিয়ে? 

গঙ্গারামকে পাত্র গেলে?

জানতে চাও সে কেমন ছেলে? 

মন্দ নয়, সে পাত্র ভালাে

রং যদিও বেজায় কালাে; 

তার উপরে মুখের গঠন 

অনেকটা ঠিক পাচার মতন। 

বিদ্যে বুদ্ধি? বলছি মশাই

ধন্যি ছেলের অধ্যবসায়! 

উনিশটি বার ম্যাট্টিকে সে 

ঘায়েল হয়ে থামল শেষে। 

বিষয় আশয়? গরীব বেজায়-

 


এক পয়সার বাঁশী

এক পয়সার বাঁশী

কোন আকাশের তারার মানিক! 

কোন সে চাঁদের হাসি খানিক! 

কোন সাগরের ঝিলিক্ মিলিক!

মুক্তো-মানিক এলে ধরার ঘরে, ভাগ্য আজি সেই সে মেয়ের

মা হ’ল যে তােমার স্নেহের বরে; ভাগ্য আজি সেই সে ছেলের

বাপ হ’ল যে তােমায় আদর করে ।


আবোল তাবোল

খিচুড়ি

হস ছিল, সজারু ,(ব্যাকরণ মানি না), 

হয়ে গেল ‘হসজারু কেমনে তা জানি না।

বক কহে কচ্ছপে, “বাহবা কি ফুর্তি! 

অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।” 

টিয়ামুখাে গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা 

পােকা ছেড়ে শেষে কিগাে খাবে কাচা লঙ্কা ?