Categories


বঙ্গবন্ধু-সমতা-সাম্রাজ্যবাদ

1. কেন এই গ্রন্থ? প্রারম্ভিক কিছু কথা। 2. যে ইতিহাস না জানলেই নয় । 3. দেশের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কি চেয়েছিলেন? কি ছিলো তা দর্শন? আর হলোটা কি? 4. যুদ্ধবিধস্ত অর্থনীতি ও সমাজে ক্ষয়-ক্ষতির ধরণ অনুযায়ী পরিমাণ, মাত্রা ও প্রভাব- অভিঘাত: একটি রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ 5. বঙ্গবন্ধুর ১৩১৪ দিন: যুদ্ধবিধস্ত অর্থনীতি- সমাজের গঠন-পুন:গঠন, পুনবার্সন, নির্মাণ-পুনঃনিমাণসহ সোনার বাংলা ভিত গঠনে বঙ্গবন্ধু কি করলেন? 6.বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আজকের বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজ কতদূর যেতো ? 7. বঙ্গবন্ধুর বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গি ও উন্নয়ন দর্শেনের নিরিখে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের রুপান্তরিত আর্থ-সামাজিক কাঠামোঠি কেমন হতে পারতো ? 8. মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব প্রভুত্বের যুগে বৈষম্যহীন - প্রগতিবাদী সমাজ- অর্থনীতি- রাষ্ট্র বিনির্মানে সম্ভাব্যতা প্রসঙ্গে


শেখ মুজিব আমার পিতা

প্রথম অধ্যায়ে লেখিকার কলমে উঠে এসেছে তাঁর পিতার ছেলেবেলা থেকে শুরু করে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ঘটনাবলী।বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে টুকরো টুকরো করে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল রাজনৈতিক সময়ের কথা বলা আছে যা আমাদের গর্বিত করে তোলে। এই বইতে লেখিকা তাঁর ছোটবেলার মজাদার সময় কাটানোর কথা বর্ণনা করেছেন।প্রধানমন্ত্রীর শৈশব কালের দস্যিপনার কথা পড়লে মন ভরে যেতে বাধ্য। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ আমার কাছে আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসে রেটিং দেওয়াটা ধৃষ্টতা মনে হয়।তবে শেখ হাসিনা লেখিকা না হওয়ার কারণে অথবা তাঁর নিজের টুকরো স্মৃতি হওয়াতে হয়তো বইটা পড়ার সময় অধ্যায়গুলোতে সামঞ্জস্যতার অভাব পাওয়া যেতে পারে।তদুপরি,বইটা আমার ভালো লাগার স্খান দখল করে আছে কারণ এই শেখ পরিবারের কাছে আমরা ঋণী।তাঁদের পারিবারিক ঘটনা জানাটা আমাদের জন্য সম্মানের। তাই বইটা আমার অনেক ভালো লেগেছে।


তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা

তাজউদ্দীন আহমদ ও সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের জ্যেষ্ঠ কন্যা শিরমিন আহমদের জন্ম ঢাকা শহরে। ১৯৮৪ সাল থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী। তিনি ১৯৯০ সালে ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেলোশিপ ও উইমেন্স স্টাডিজ স্কলারস অ্যাওয়ার্জসহ উইমেন্স স্টাডিজে মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি শিশু শিক্ষার ওপরেও মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করেন। বিশ্বের পেশাজীবী নারীদের অন্যতম বৃহত্তম মানব উন্নয়ন সংগঠন দ্য আমেরিকাস, ওয়াশিংটন ডিসি, “আন্তর্জাতিক শুভেচ্ছা ও পারস্পরিক সমঝোতা রচনার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের” জন্য তাঁকে “উয়োম্যান অব ডিস্টিংশন” অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। শিক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কাউনটির অন্যতম ম্যারিল্যান্ডের মন্টগোমারি কাউনটি পাবলিক স্কুলের জন্য কাউনটির মিডিয়া বিশেষজ্ঞ তাঁর প্রথম প্রকাশিত দ্বিভাষিক বই হৃদয়ে রংধনু-দ্য রেইনবো ইন এ হার্ট কে মাধ্যমিক শ্রেণী পর্যন্ত ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ আর্টস কারিকুলামের জন্য উচ্চ অনুমোদনসহ বইটিকে “অসামান্য” ও “ভাল সম্পদ” অভিহিত করেন। সমাজে বিশেষত শিশু-কিশোরদের মধ্যে শান্তি শিক্ষা প্রসারের মাধ্যম হিসেবে বইটি বর্তমানে নৃত্যনাট্যে, ম্যারিল্যান্ডের অভিজাত এফ. স্কট ফিটজজেরাল্ড থিয়েটার ও বাংলাদেশের জাতীয় শিল্পকলা একাডেমীতে মঞ্চস্থ হয়ে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে।


অবাক বাংলাদেশ বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি (হার্ডকভার)

তাছাড়া যে বিষয় গুলো তিনি উল্ল্যেখ করেছেন, এসকল বিষয় গুলোর সুচিন্তিত অভিমত আর ভাবনাই রাজনৈতিক অনেক সমস্যার সুরাহা করে দিতে পারে। রাজনীতি বিষয়টা জটিল তবে লেখক বেশ সহজ এবং রম্যপ্রিয়তার মাঝে বাংলাদেশ সৃষ্টির শুরু থেকে রাজনৈতিক অবস্থা সমূহ আলোচনা করেছেন। লেখকের মতে, রাজনৈতিক সংস্কার তার উদ্দেশ্য নয়, যারা সংস্কারে আগ্রহী তাদের এই পুস্তক পাঠে উন্নতি হতে পারে। এবং যারা রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে ভাবেন না বা মাথাব্যথা নেই তারাও যেন এই বই পড়তে আগ্রহী বোধ করে তাই তিনি একটি নির্ভেজাল গবেষণা গ্রন্থ লিখেছেন রম্য রচনার ঢঙে। ভূমিকায় তিনি এই বই রচনার কারন বর্ণনা করেন এভাবে, "‘উইনস্টন চার্চিলের ভাষায় বলতে গেলে বাংলাদেশ একটি রহস্যঘেরা প্রহেলিকাচ্ছন্ন হেঁয়ালি। একদিকে এখানে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রকট অপ্রতুলতা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অন্যদিকে সুশাসনে নিশ্চিত অবক্ষয় ঘটেছে। বাংলাদেশের অনেক অর্জনের জন্য আমি গর্বিত। তবু রাজনৈতিক অবক্ষয় ও সুশাসনের ক্রমাগত অধোগতি আমার প্রজন্মের যারা আমার মতো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, তাদের জন্য দৈহিক যন্ত্রণার চেয়েও মর্মান্তিক মানসিক যন্ত্রণার সৃষ্টি করেছে। এ গ্রন্থের জন্ম এই যন্ত্রণাবোধ থেকেই।


একাত্তরের যীশু

দক্ষিণের শহর আর গ্রামগুলাে পােড়াতে পােড়াতে পাঞ্জাবি সৈন্যরা ধীরে ধীরে উত্তর দিকে এগিয়ে আসছিল। খবরটা শুনে মে মাসের প্রথম থেকেই গ্রামের লােক আরাে উত্তরে শালবনের দিকে সরে যেতে লাগলাে। অনেকে - সীমান্ত পেরিয়ে কুচবিহার আর পশ্চিম দিনাজপুরে চলে গেল।

সীমান্ত বেশি দূরে নয়। অনেকে ওপারে গিয়েও নিয়মিত যাওয়া আসা করছিল। জুনের মাঝামাঝি যখন সবাই নদীর ওপারের ছােট্ট শহরটাকে দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখলাে, তখন যারা যাবার তারা একেবারেই চলে গেল। থেকে গেল জামাত, মুসলিম লীগের কিছু দালাল আর কয়েকজন বুড়াে। গির্জার ঘন্টা টানতাে বুড়াে ডেসমন্ড ডি রােজারিও। সে ছিল থেকে যাওয়া বুড়ােদের একজন।

 


জিন্না পাকিস্তান/নতুন ভাবনা

গুজরাতী প্রথা অনুসারে পুত্রের নামের সঙ্গে পিতার নাম যুক্ত করে পরিশেষে যােগ করতে হয় বংশের পদবী। যেমন গান্ধী বংশের করমচাঁদের পুত্র মােহনদাস। যেমন তাতা বংশের নাসরবানজীর পুত্র জামশেটজী। তেমনি খােজানী বংশের ঝীণাভাইয়ের পুত্র মহম্মদালী। বড়াে হয়ে মহম্মদালী তার নামটাকে দুই ভাগে বিভক্ত করেন। মহম্মদ আলী। তাঁর পিতার নামকেও দুই ভাগে বিভক্ত করে প্রথম ভাগটাকেই করেন তার পদবী। দ্বিতীয় ভাগটা বর্জন করেন। বাদ যায় বংশপদবীও। বিলিতী কায়দায় বানান করতে গিয়ে ঝীণা হয়ে যায় এমন একটি শব্দ যার উচ্চারণ সাহেবদের মুখে জিনা, ভারতীয়দের মুখে জিন্না, আরবদের মুখে জিন্নাহ। যেমন আল্লাহ। ইংরেজদের বানানে মহারাজা শব্দটির অন্তেও এইচ জুড়ে দেওয়া হতাে। বার্মার অন্তেও। হাওড়ার অন্তে এখনাে হয়।

 


রাষ্ট্রতন্ত্রে সমাজদ্রোহিতা

সূচিপত্র
* অবতরণিকা
* আশির দশকে বাংলাদেশের সমাজ
* রাষ্ট্র ও সমাজ বিষয়ে কিছু চিন্তা
* রাজত্ব কার
* আরেক নৈতিকতা
* মাপবো কি দিয়ে
* বাড়িঘর
* বাজারে কেনাবেচা
* খেলা ধূলা
* পুঁজির ক্রীড়াকৌতুক
* গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির লক্ষ্যে
* পতনের পর
* পুনরুত্থানের কারণ
* দুই প্রান্তে দুই জন
* মস্কোপস্থীদের ভবিষ্যত
* ঢাকা ও কলকাতা
* ইতিহাসের টান
* বিচ্ছেদের অপচয়
* দিনের খবর, রাতের কাছে
* বসাক স্যারকে হঠাৎ দেখা


The Russian revolution

The Russian Revolution had a decisive impact on the history of the twentieth century. Now, following the collapse of the Soviet regime and the opening of its archives, it is possible to step back and see the full picture of this event for the first time.


Glory and Despair The Politics of Tajuddin Ahmad

Tajuddin Ahmad’s place in Bangladesh’s political narrative was assured when he formed the very first Bengali government in history in April 1971. But it was no surprise that he acted the way he did, for as Bangabandhu’s close, perhaps the closest, colleague, he was aware of what needed to be done in that hour of peril. His deep grasp of politics, his understanding of the workings of the forces of history and his courage in the face of adversity were shaped through years of studies of politics and observations of human nature. But, again, if Tajuddin’s moment of glory came through his leadership of the War of Liberation in the inspirational light of the incarcerated Father of the Nation, his despair manifested itself in his efforts to beat back those who undermined him to no end. Yet the intellectual in him refused to throw in the towel until it became rather uncomfortable for him to bear the pressure any longer. He walked away from power and soon was compelled by sinister men to walk into prison, from where he and his Mujibnagar colleagues would not emerge alive. Tajuddin Ahmad was Bangladesh’s socialist dream. A nightmare soon killed the dream. He made a difference in 1971. And he was cut down in 1975. This is the story of a statesman who goes on being our reason for pride.


আমার সমাজতন্ত্র

১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লব রাশিয়ায়। যে মার্ক্সীয় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করে, তা গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে। পুঁজিবাদী মহামন্দার প্রতিতুলনায় ছিল বিশ্বের বিস্ময়। চল্লিশের দশকে নাৎসি। সমরশক্তির সঙ্গে মহাযুদ্ধে বিজয়ী শক্তিসমূহের অগ্রণী। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে মানবপ্রজাতির এক-তৃতীয়াংশের মধ্যে প্রসারিত এবং অক্ষুন্ন প্রবৃদ্ধির ধারক এই ব্যবস্থা তৃতীয় বিশ্বের বহু মানুষের দৃষ্টিতে মনে হয়েছিল মানবসমাজের ভবিষ্যৎ। অথচ সত্তরের দশক থেকে ব্যবস্থাটির প্রবৃদ্ধি শ্লথ হতে থাকে এবং অত্যল্প কালের মধ্যে, গত শতাব্দীর শেষ দশকের প্রারম্ভে, বিশ্বব্যাপী ব্যবস্থাটি বিলুপ্ত হয়। ব্যবস্থাটির পতন হলেও এর ঐতিহাসিক উদ্ভব এবং নাটকীয় পরাভব সম্বন্ধে প্রশ্নের নিরসন হয়নি। লেনিন ও তাঁর অনুসারীরা যে ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন, তার সঙ্গে মার্ক্সের তত্ত্ব ও মতাদর্শের কতটা সামঞ্জস্য ছিল? বাস্তবে বিদ্যমান সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাটি বাইরের আক্রমণে নয়, অন্তঃস্থিত অসংগতির কারণে বিলুপ্ত হয়েছে। এই অসংগতির চরিত্র ও ব্যাখ্যা কী? মার্ক্সীয় সমাজতন্ত্র গঠনের কোনো বিকল্প নকশার অস্তিত্ব ছিল কি? যারা সমতা, প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে সমাজতন্ত্রের অনুসারী হয়েছিলেন, তাঁদের সামনে বিকল্প কী? পুঁজিবাদকে অবশ্যম্ভাবী বলে গ্রহণ করা? নাকি সমতার লক্ষ্যে বিকল্প সমাজতন্ত্রের সন্ধান? গ্রন্থটিতে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর অনুসন্ধান করা হয়েছে।