Note : All deposit is refundable
তাছাড়া যে বিষয় গুলো তিনি উল্ল্যেখ করেছেন, এসকল বিষয় গুলোর সুচিন্তিত অভিমত আর ভাবনাই রাজনৈতিক অনেক সমস্যার সুরাহা করে দিতে পারে। রাজনীতি বিষয়টা জটিল তবে লেখক বেশ সহজ এবং রম্যপ্রিয়তার মাঝে বাংলাদেশ সৃষ্টির শুরু থেকে রাজনৈতিক অবস্থা সমূহ আলোচনা করেছেন। লেখকের মতে, রাজনৈতিক সংস্কার তার উদ্দেশ্য নয়, যারা সংস্কারে আগ্রহী তাদের এই পুস্তক পাঠে উন্নতি হতে পারে। এবং যারা রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে ভাবেন না বা মাথাব্যথা নেই তারাও যেন এই বই পড়তে আগ্রহী বোধ করে তাই তিনি একটি নির্ভেজাল গবেষণা গ্রন্থ লিখেছেন রম্য রচনার ঢঙে। ভূমিকায় তিনি এই বই রচনার কারন বর্ণনা করেন এভাবে, "‘উইনস্টন চার্চিলের ভাষায় বলতে গেলে বাংলাদেশ একটি রহস্যঘেরা প্রহেলিকাচ্ছন্ন হেঁয়ালি। একদিকে এখানে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রকট অপ্রতুলতা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অন্যদিকে সুশাসনে নিশ্চিত অবক্ষয় ঘটেছে। বাংলাদেশের অনেক অর্জনের জন্য আমি গর্বিত। তবু রাজনৈতিক অবক্ষয় ও সুশাসনের ক্রমাগত অধোগতি আমার প্রজন্মের যারা আমার মতো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, তাদের জন্য দৈহিক যন্ত্রণার চেয়েও মর্মান্তিক মানসিক যন্ত্রণার সৃষ্টি করেছে। এ গ্রন্থের জন্ম এই যন্ত্রণাবোধ থেকেই।
আকবর আলি খান (জন্ম: ১৯৪৪) একজন বাংলাদেশী সরকারী আমলা, অর্থনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি হবিগঞ্জের মহুকুমা প্রশসাক বা এসডিও ছিলেন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে সক্রিয়ভাবে মুজিবনগর সরকারের সাথে কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধ কালে পাকিস্তান সরকার অনুপস্থিতিতে তাঁর বিচার করে এবং ১৪ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি সরকারী চাকুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সাথে যুক্ত ছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তীতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন না হবার আশঙ্কায় তিনি তিনজন উপদেষ্টার সাথে একযোগে পদত্যাগ করেন।তিনি রেগুলেটরি রিফর্মস কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।