তিনি ঘোষনা করলেন, এক পা নিয়েই তিনি কানাডার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত দৌড়ে অর্থ সংগ্রহ করবেন। আটলান্টিক সমুদ্রে পা ডুবিয়ে তিনি দৌড় শুরু করলেন”। হয়তো হুমায়ুন আহমেদ দৌড় শুরু করলে হত সেটা। অনেকে সেই সময়ে অনেক সাড়া দিয়েছেন। “ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের জন্য আমি যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমার মনে হয়েছে মানবজীবন ধন্য”। তারা এখন কই? তার স্বপ্ন কিভাবে হবে, কিভাবে দলমত নির্বিশেষে হাসপাতাল গড়ে উঠবে তাও লিখেছেন তিনি এই বইতে। হিমুদের যেখানে ঢোল হাতে নিয়ে স্যারের পিছন পিছন নেমে পড়ার কথা, আজ হিমুরা সুর্য উঠার আগেই জেগে বলছে, “আমরা যদি না জাগি মা , কেমনে সকাল হবে?” আর বইয়ের শেষে হুমায়ুন আহমেদ এর সেই আহবান, যা হিমু পরিবহন তার প্রতিটি লিফলেটে যোগ করেছে- সর্বাধুনিকে, বিশ্বমানের একটি ক্যান্সার হাসপাতাল ও গবেষনাকেন্দ্র কি বাংলাদেশে হোয়া সম্ভব না? অতি বিত্তবান মানুষের অভাব তো বাংলাদেশে নেই। তাদের মধ্যে কেউ কেন স্লোয়ান বা কেটারিং হবেন না? বিত্তবানদের মনে রাখা উচিত, কাড়ি কাড়ি টাকা ব্যাংকে জমা রেখে তাদের একদিন শুন্য হাতে চলে যেতে হবে। বাংলাদেশের কেউ তাদের নামও উচ্চারন করবে না। অন্যদিকে আমেরিকার দুই ইঞ্জিনিয়ার স্লোয়ান ও কেটারিং এর নাম তাদের মৃত্যুর অনেক পরেও আদর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে সমস্ত পৃথিবীটে স্মরন করা হয়।
মাঘ মাসের শেষ, শীত বেশ আছে। দুই পাশে ঝােপে-ঝাপে ঘেরা সরু মাটির পথ বাহিয়া নিশ্চিন্দিপুরের কয়েকজন লােক সরস্বতীপূজার বৈকালে গ্রামের বাহিরের মাঠে নীলকণ্ঠ পাখি দেখিতে যাইতেছিল।দলের একজন বলিল—ওহে হরি, ভূষণণা গােয়ালার দরুণ কলাবাগানটা তােমরা কি ফের জমা দিয়েছো নাকি? | হরিহর সায়সূচক কিছু বলিতে গিয়া পিছন ফিরিয়া বলিল—ছেলেটা আবার কোথায় গেল? ও খােকা, খােকা-আ-আ-পথের বাঁকের আড়াল হইতে একটি ছয়-সাত বছরের ফুটফুটে সুন্দর, ছিপছিপে চেহারার ছেলে ছুটিয়া আসিয়া দলের নাগাল ধরিল। হরিহর বলিল—আবার পিছিয়ে পড়লে এরি মধ্যে; নাও এগিয়ে চলাে
সূচিপত্র
* টুয়েন্টি থাউজ্যান্ড লিগস আন্ডার দ্য সি
* মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ড
* ব্ল্যাক ডায়মন্ডস
* এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইস এইটটি ডেজ
* জার্নি টু দ্য সেন্টার অব দ্য আর্থ
* দ্য লাইট হাউজ এ্যাট দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড
* মাইকেল ভস্ট্র গফ
* অ্যাডভেঞ্চার অফদ্য ক্লাউডস
* সিক্রেট অব উইলহেম স্টোরিজ
* ভিলেজ ইন দি ট্রি টিপস
* প্রপেলার আইল্যান্ড
* কার্পেথিয়ান ক্যাসল
* স্টিম হাউজ
* অ্যাড্রিফট ইন দ্য প্যাসিফিক
* এ ফ্লোটিং সিটি
* বেগমস ফরচুন
* ইন্টারন্যাল অ্যাডাম
* ফ্রম দি আর্থ টু দি মুন
* রাউন্ড দি মুন
* ফাইভ উইকস ইন এ বেলুন
* অফ অন এ কমেট
* দি পারচেজ অব দি নর্থ পোল
* মাস্টার অব দি ওয়ার্ল্ড
* দি গ্রিন ফ্লাশ
* এক্সপেরিমেন্ট অব ড. অক্স
* দি স্কুল ফর রবিনসন্স
* ইন টু দ্য সাহারা
* মাস্টার জ্যাকারিয়ুস
* সিস্টিরিয়াস ডকুমেস্ট
* অন দি ট্রাক
* দি সিক্রেট অব দি আয়ল্যান্ড
খাওয়াদাওয়া শেষ করে ঘরের ছায়ায় বসেছে দবির গাছি, হাওয়াটা গায়ে লাগল। গা কাঁটা দিয়ে উঠল। পলকে দিশাহারা হল সে। বুকের ভিতর আনচান করে উঠল। যেন উত্তরের হাওয়া বুকের ভিতরও ঢুকে গেছে তার, ঢুকে তােলপাড় করে দিয়েছে সব। খাওয়াদাওয়ার পর অনেকক্ষণ ধরে তামাক খায় দবির। রান্নাচালায় বসে গুছিয়ে, সুন্দর করে তামাক সাজিয়ে দেয় নূরজাহান আর নয়তাে তার মা। নূরজাহান এখন বাড়িতে নাই । ঢাকা থেকে অনেক উঁচু হয়ে একটা সড়ক আসছে বিক্রমপুরের দিকে। মেদিনীমণ্ডলের পাশ দিয়ে মাওয়া হয়ে সেই সড়ক চলে যাবে খুলনায়। মাওয়ার পর রাজকীয় নদী পদ্মা। সড়কের মাঝখানে নিজের মহিমা নিয়ে ঠিকই দাঁড়িয়ে থাকবে পদ্মা, তবু এই সড়কের নাম ঢাকা খুলনা মহাসড়ক। বিরাট একটা কারবার হচ্ছে দেশগ্রামে। কত নতুন নতুন চেহারা যে দেখা যাচ্ছে! নানান পদের মানুষে ভরে গেছে গ্রামগুলি। একটা মাত্র সড়ক রাতারাতি বদলে দিচ্ছে
‘চুম্বনের ক্ষত’ বইয়ের সূচিপত্রঃ
ঘুমন্ত ভাইরাস
* লাল গোলাপের বিরুদ্ধে - ১১
* স্লামডগ আর কপালকুণ্ডলা - ১২
* কাঠপুতলি – ১৪
* পিপাসিত নীল - ১৫
* হঠাৎ ছোয়া পঁচিশে বৈশাখ - ১৬
* স্তন্যদায়িনী – ১৭
* লাস্ট বেঞ্চের ছেলে – ১৮
* শিলং - ১৯
* নৈনিতাল – ২০
* গুহাচিত্র – ২১
* যশোর: সাগরদাঁড়ি – ২২
* ঠোঁটের রং টেরাকোটা – ২৩
* ভুবনডাঙা - ২8
* শান্তিনিকেতনে বৃষ্টি – ২৫
* কণ্টকশয্যা – ২৬
* চিরহরিৎ - ২৭
* যে মেয়ে জন্মায়নি – ২৮
* লাভার্স লেনে সাতটা পনেরো – ২৯
* আ্যাজ ইউ লাইক ইট – ৩০
* গুপ্তপ্রেস – ৩১
* নিশির ডাক – ৩২
* গাছেরা নিঃশ্বাস নিচ্ছে – ৩৩
* জিন্দগী এক সফর – ৩৪
* নিউ ইয়ার্স ইভ – ৩৫
* শীতে উপেক্ষিতা – ৩৬
* রাত্রির যাত্রী – ৩৭
* জিনের ম্যাপে ছাপা – ৩৮
* মধুহীন কোরো না গো – ৩৯
* ঘুমন্ত ভাইরাস – ৪০
এখনও বাঁচার শব্দ
* ব্যর্থ অভু্যুত্থান – ৪৩
* দি পট্যাটো ইটার্স – ৪৪
* এখনও বাঁচার শব্দ – ৪৫
* নবন্যাট্যের ইতিহাস – ৪৬
* ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ – ৪৭
* আউটসাইডার – ৪৮
* ৩/১ মে ফেয়ার রোড – ৪৯
* সিদ্ধার্থের প্রতি রাহুল – ৫০
* ১৬ অক্টোবর – ৫১
* জগতকের গল্প থেকে – ৫২
* গহ্বর - ৫৩
* আমিই সে – ৫৪
* তাতল সৈকতে – ৫৫
* অনশন বন্দি ক্রীতদাস – ৫৭
* শরণার্থী – ৫৮
* পুরানা পল্টন – ৬০
* জঙ্গলমহালে – ৬১
* মন্বন্তরের পরের বছর – ৬২
* আমরা তো নাই, স্বপ্ন যাচ্ছে – ৬৩
* সহস্রাব্দ - ৬৪
সামান্য কারণেই গ্রামে একটা বিপর্যয় ঘটিয়া গেল। এখানকার কামার অনিরুদ্ধ কর্মকার ও ছুতার গিরিশি সূত্রধর নদীর ওপারে বাজারে-শহরটায় গিয়া একটা করিয়া দোকান দিয়াছে। খুব ভােরে উঠিয়া যায় ফেরে রাত্রি দশটায় ; ফলে গ্রামের লােকের অসুবিধার আর শেষ নাই। এবার চাষের সময় কি নাকালটাই যে তাদের হইতে। হইয়াছে, সে তাহারাই জানে। লাঙলের ফাল পাঁজানাে, গাড়ির হাল বাঁধার জন্য চাষীদের। অসুবিধার অন্ত ছিল না। গিরিশ ছুতারের বাড়িতে গ্রামের লােকের বাবলা কাঠের গুড়ি
আজও তূপীকৃত হইয়া পড়িয়া আছে সেই গত বৎসরের ফাল্গুন-চৈত্র হইতে; কিন্তু আজও তাহারা নূতন লাঙল পাইল না।
আরােগ্যনিকেতন অর্থাৎ চিকিৎসালয়। হাসপাতাল নয় দাতব্য চিকিৎসালয়ও নয়দেবীপুর গ্রামের তিন পুরম্নষ চিকিৎসা-ব্যবসায়ী মশায়দের চিকিৎসালয়।
স্থাপিত হয়েছিল প্রায় আশি বৎসর পূর্বে। এখন ভাঙা-ভগ্ন অবস্থা; মাটির দেওয়াল ফেটেছে, চালার কাঠামােটার কয়েকটা জায়গাতেই জোড় ছেড়েছে- মাঝখানটা খাঁজ কেটে বসে গেছে কুঁজো মানুষের পিঠের খাজের মতাে। কোনাে রকমে এখনও রয়েছেপ্রতীঙ্গা করছে তার সমাপ্তির, কখন যে ভেঙে পড়বে সেই ভূণটির পথ চেয়ে রয়েছে।
অথচ যেদিন স্থাপিত হয়েছিল সেদিন স্থাপন-কর্তা জগবন্ধু কবিরাজ মহাশয় তাঁর অত্মরঙ্গ বন্ধু ঠাকুরদাস মিশ্রকে বলেছিলেন, বুঝলে ঠাকুরদাস, “যাবৎ চন্দ্ৰার্ক মেদিনী” বলব না- তবে... আমাদের বংশের বসতি এখানে যতকাল থাকবে ততকাল এ আটন, এ পাট পাকা হয়ে রইল। হেসে বলেছিলেন, অজয় লাভের কারবার। যতই করিবে দান তত যাবে বেড়ে। পুরানাে ঘিয়ের মতাে- যত দিন যাবে তত দাম বাড়বে। বলতে গেলে সংসারে শ্রেষ্ঠ লাভের কারবার। দেনা-পাওনা- দেওয়া-নেওয়া দুই দিকেই শ্রেষ্ঠ লাভ মিলবে এখানে, অথচ দুই পরে কেউ ঠকবে না।
ইছামতী বই `সম্পর্কিত কথা’
স্বপ্ন ও কল্পনার মেশা এই ইছামতী নদী। বিভূতীভূষণও এই নদীর কাকচক্ষু জলে স্নান করতে করতে বোধ করি সেই স্বপ্নই দেখেছিলেন – স্নিগ্ধ শান্ত স্বপ্নিল নদী যার দুই কূল আচ্ছন্ন করে থাকত বাঁশ – ঝাড় আর অসংখ্য পত্রবহুল ছায়া – ঘন গাছপালা। সেই স্বপ্নেরই ফসল ‘ইছামতী’ উপন্যাস
`বইয়ের প্রধান চরিত্র সমূহ ‘
* ভবানী বাড়ুয্যে- প্রধান চরিত্র।
* তিলু- ভবানীর সেবাপরায়ণা স্ত্রী।
* খোকা- ভবানী ও তিলুর শিশু পুত্র।
* শিপ্টন সাহেব- অত্যাচারী নীলসাহেব।
* ভজামুচি- নীলকুঠির সহিস।
* রামকানাই কবিরাজ- গ্রামের বৃদ্ধ কবিরাজ।
ছোটবেলায় আমার প্রেয় গ্রন্থ ছিল রামায়ণ। বলতে গেলে গল্পে সেই আমার প্রথম পাঠ। গল্পের রস যে কত গভীর হতে পারে, তা সেদিন চোখের জলের সঙ্গে যেমন করে হৃদয়ঙ্গম করেছিলাম, তারপরে আর কোনও গ্রন্থ পড়ে তা করিনি।
এ তো গেল গল্পের দিক। গল্প যতক্ষণ পড়ি ততক্ষণই তার রস। পর মুহূর্তেই গল্পের আবেদন হালকা হয়ে আসে। কিন্তু গল্পের ঊধ্র্বে আর একটি তীব্রতর এবং গভীরতর আবেদন আছে যা পড়বার সঙ্গে সঙ্গে নিঃশেষ হয় না। যা জীবনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে থাকে। যা জীবনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। যা জীবনের অগ্রগতিতে সাহায্য করে। রামায়ণ সেই জাতীয় গল্প যা যুগ থেকে যুগান্তরে প্রসারিত হয়ে জীবনকে জাগ্রত করে। জীবনকে পুনর্জীবন দান করে।
বড় হয়ে দেখছি রামায়ণ শুধু অসার কবি-কল্পনা নয়। এই বর্তমান সংসার-জীবনেরও হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ রাম সীতা রাবণ আপন মহিমায় বিরাজমান। অযোধ্যা আর লম্কা শুধু ভৌগোলিক নাম মাত্রই নয়- কলকাতা শহরের মধ্যেই তাদের অবস্থিতি। এই কলকাতায় এ-যুগেও সীতা-হরণ হয়। এ-যুগেও সীতার বনবাস হয়। এবং এই বিংশ শতাব্দীতেও সীতার পাতাল-প্রবেশ হয়।
অনেক দিনের কল্পনা ছিল রামায়ণের গল্প নিজের ভাষায় লিখবো। তা আর হলো না। হলো ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’.......
লােকে বলে ধর্মের জয় অধর্মের পরাজয়—এ হবেই। যে সৎপথে থাকে, যে ধর্মকে ধরে থাকে শেষ পর্যন্ত তারই জিৎ হয় এ সংসারে। বহ, লােকের মুখেই কথাটা শুনেছে মহাশ্বেতা। ছেলেবেলা থেকেই শুনে আসছে। নানা বিভিন্ন রুপে, নানা বিভিন্ন শব্দবিন্যাসে। তবে শব্দে বা রুপে যে তফাৎই থাক সব কথারই সারমর্ম এক। দীর্ঘদিন ধরে শােনার ফলে বিশ্বাস হয়ে গিয়েছিল কথাটায়। আর সেই বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই দীর্ঘকাল ধরে ধীরে ধীরে একটা অস্পষ্ট আকারহীন আশার প্রাসাদও গড়ে তুলেছিল। কিন্তু সে প্রাসাদের ভিত্তিমূল এবার নড়ে উঠেছে, সেই বিশ্বাসটাকেই, আর ধরে রাখা যাচ্ছে না কোনমতে। ‘মিছে কথা! মিথ্যে কথা ওসব! কথার কথা। লােকের বানানাে গালগল্প!..ধম্মপথে থাকো তাহলেই তােমার সর্ব হবে। মুখে আগুনে অমন সব হওয়ার।
‘বিজ্ঞানের চেহারা চিরদিনের জন্যে পাল্টে দেবে’--এমন এক যুগান্তকারি ঘোষণার সাক্ষি হতে সিম্বোলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন স্পেনের বিলবাওয়ের অত্যাধুনিক গুগেনহাইম জাদুঘরে উপস্থিত হয়েছে। আর এই ঘোষণা দিতে যাচ্ছে তারই এক পুরনো ছাত্র, একচল্লিশ বছর বয়সি ধনকুবের, ফিউচারিস্ট এবং প্রযুক্তি দুনিয়ার প্রবাদপ্রতীম ব্যক্তিত্ব এডমন্ড কিয়ার্শ। তার আবিষ্কার এবং কিছু বক্তব্য আগেও আলোড়ন তুলেছে গোটা দুনিয়া জুড়ে । এমন কিছু উন্মোচন করতে যাচ্ছে সে যা কিনা উত্তর দেবে মানব অস্তিত্ববাদের দুটো প্রধান প্রশ্নের।
কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হতেই ল্যাংডন বুঝতে পারে ভীষণ বিতর্কের জন্ম দিতে যাচ্ছে এডমন্ডের আবিষ্কার। এসময় হঠাৎ করেই ঘোলাটে হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আবিষ্কারের কথাটা মুখেই থেকে যায় কিয়ার্শের। জাদুঘরের পরিচালক অ্যাম্ব্রা ভিদালের সাথে বিলবাও থেকে পালাতে বাধ্য হয় ল্যাংডন। বার্সেলোনার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় তারা একটি গোপন, সংরক্ষিত পাসওয়াডের্র খোঁজে, যেটা কিনা তাদের সাহায্য করবে কিয়ার্শের আবিষ্কার উন্মোচনে।
ধর্মিয় ইতিহাসের পথে ল্যাংডন এবং ভিদালের এই অভিযানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ভীষণ শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষ, স্পেনের রাজসভা পর্যন্ত যার ক্ষমতা বিস্তৃত। এডমন্ড কিয়ার্শের আবিষ্কারকে কোনভাবেই প্রকাশ হতে দেবে না তারা। আধুনিক চিত্রকলা এবং কিছু গুপ্ত সংকেতের সহায়তায় ল্যাংডন কি পারবে এই আবিষ্কার উন্মোচন করতে? চরম সত্যের মুখোমুখি হতে? পাঠক, প্রফেসর ল্যাংডনের সাথে ইতিহাসের গলি-ঘুপচিতে ছুটে বেড়াতে আপনি কি প্রস্তুত আছেন?
ফ্ল্যাপে লিখা
এক অদ্ভুত গল্পকথক তার মনোযোগী অথচ মুখর শ্রোতাদের শোনাচ্ছেন একালের এক রূপকথা- রাজকুমারী বর্ষাজ্ঞালির স্বয়ংবর সভার গল্প। জনবহুল জায়গাগুলোতে গল্পের আসর জমান এই গল্পকথক, কোনো বিনিময় -মূল্য ছাড়াই, স্রেফ নিজের আনন্দের জন্য আর মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যেতে থাকা গল্পগুলোকে শ্রোতারও্ একইসঙ্গে কথকও বটে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নানা আলোচনায় অংশ নেয়, তর্ক-বিতর্ক করে, ঝগড়াঝাঁটিও হয় পরস্পরের সঙ্গে, আর আসরটি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত, তৈরি হয় বর্ণনার বহুকণ্ঠ। এই গল্পটি যেহেতু একালের রূপকথার, তাই, স্বয়ংবর সভার খবরটি রাজ্যময় ছড়িয়ে পড়লো মিডিয়ার কল্যাণে, চললো তাদের নানারকম আয়োজন। পাণি-প্রার্থিরাও তাদের গল্প বলতে গিয়ে কথক আর শ্রোতাদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে উঠে এলো সমকালীন আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ভূমির এক মনোজ্ঞ বিবরণ। আর গল্পের শেষে এক অসামান্য প্রেমের আভাসে কোমল-গভীর-বেদনাঘন অনুভূতিতে ছেয়ে গেল শ্রোতাদের মন। এই সময়ের এক সংবেদী রূপকার,বহুমাত্রিক ও শক্তিমান কথাশিল্পী আহমাদ মোস্তফা কামাল তাঁর অনুপম-সজীব-নির্বিকল্প গদ্যে উপহার দিয়েছেন অভিনব এই উপন্যাস- আখ্যানপর্ব এবং নির্মাণশৈলী দুই বিবেচনাতেই। তাঁর জাদুবিস্তারি বর্ণনায় পাঠক ঘোরগ্রস্থ হবেন, আর উপন্যাসের শেষে গিয়ে কোমল আচ্ছন্নতায় ভরে উঠবে মন। কবি মোশতাক আহমদের মতো কোনো সংবেদনশীল পাঠকের হয়তো মনে হবে-পাঠ শেষে মধ্য রাতে সমুদ্র শহরের শেষ বাড়ির বারান্দায় এসে দাঁড়াতে হলো। প্রায় সাথে সাথেই পেছনের জলমগ্ন ধান ক্ষেতে ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামলো । মনে হলো, ‘বর্ষামঞ্জলি’ তো রাজকুমারী ছদ্মবেশে বাংলাদেশের প্রকৃতির নাম, কিংবা ‘বর্ষামঞ্জরি’ই হচ্ছে বাংলাদেশ।
রহস্যজনক সে ঘটনাট্য ছিল - উত্তাল-উদ্দাম সমুদ্রের ওপর দিয়ে পথ পাড়ি দেবার সময় জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং খালাসিরাই কেবল নয় যাত্রীরাও অতিকায় একটা প্রাণীকে জলের ওপর ভেসে থকত দেখেছে। আবার পর মুহূর্তেই চোখের পলকে তাকে যুবে যেতে দেখেও কম অবাক হয় নি। বিচিত্র দর্শন অতিকায় প্রাণীটার শরীর লম্বাটে। তার সামনের দিকটা অনেকটা মোচার অগ্রভাসের মতো শঙ্কুর আকৃতিবিশিষ্ট।
অনেক দিন আগে আমাদের এই ভারতবর্ষে দশরথ নামে এক রাজা ছিলেন। সরযূ নদীর ধারে, অযোধ্য নগরে তিনি রাজ্য শাসন করিতেন। সেকালের অযোধ্যা নগর আটচল্লিশ ক্রোশ লম্বা, আর বার ক্রোম চওড়া ছিল। তাহার চারিদিকে প্রকাণ্ড দেওয়ালের উপরে লোহার কাঁটা দেওয়া ভয়ঙ্কর অস্ত্র সকল সাজানো থাকিত। সে অস্ত্রের নাম শতঘ্নী, কেন না তাহা ছুঁড়ি
য়া মারিলে একেবারে একশত লোক মারা পড়ে।
গৃহস্থদের ঘরের পিছনে বেগুন গাছ আছে। সেই বেগুন গাছের পাতা ঠোঁট দিয়ে সেলাই করে টুনটুনি পাখিটি তার বাসা বেঁধেছে। বাসার ভিতরে তিনটি ছোট-ছোট্ট ছানা হয়েছে। খুব ছোট্ট ছানা, তারা উড়তে পারে না, চোখও মেলতে পারে না। খালি হাঁ করে, চিঁ চিঁ করে। গৃহস্থদের বিড়ালটা ভারি দুষ্ট। সে খালি ভাবে ’টুনটুনির ছানা খাব।’ একদিন সে বেগুন গাছের তলায় এসে বলল, কি করছিস লা টুনটুনি?’
নয়নে তে নয়ন দিয়ে রাখবো তারে
যেতে চাইলে যেতে দেবো না
না না না .......... ছেড়ে দেবো না
তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব , ছেড়ে দেবো না
তোমার হৃদ মাঝারে রাখিব, ছেড়ে দেবো না
ছেড়ে দিলে সোনার গোউর আর পাবো না
সেদিন ছিল ছুটির দিন। আমি অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি ব্রিগেডিয়ার নুরুজ্জামানের রুমের সামনে সবুজ বাতি জ্বলছে। চিন্তা করলাম আজ ছুটির দিন নুরুজ্জামান সাহেব অফিসে কী করছেন? ড্রাইভারকে অফিসের মধ্যে গাড়ি ঢুকাতে বললাম। গিয়ে দেখি সেখানে আনোয়ারুল আলম (শহীদ)ও রয়েছে। তারা আমাকে বিস্তারিত খুলে বললো। জিজ্ঞাসা করলাম, আমাদের এখানে আনা হলো কেন? পুলিশ আছে, গোয়েন্দা আছে তাদের ওখানে নিয়ে যাক। বলল, পুলিশের কাছ থেকে সর্বহারার লোকেরা ছিনিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই ভয়ে এখানে রেখেছে। ব্রিগেডিয়ার সাবিহউদ্দিন, শহীদ এবং আমি সেখানে গেলাম। গিয়ে দেখি লোকটাকে হাত বেঁধে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে। পুলিশের সিনিয়র অফিসাররা আছে, আর্মির লোকজনও আছে। ওই অবস্থায় দেখে আমাদের রিঅ্যাকশন হলো - 'এই লোকটার নাম শুনলে অনেক মানুষের আহার নিদ্রা বন্ধ হয়ে যেত।
বাঙালি মুসলমান লেখকদের নিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যায় থাকেন সম্পাদকরা। এমনি পাতায় লেখার জন্য লেখকদের অনুনয় বিনয় থাকলেও, সম্পাদক লেখা চাইলে সেই লেখকই লাপাত্তা। লেখকের লেখার হাত হারিয়ে যায় অজুহাতে। তবে কিছু লেখক সবকালেই থাকেন হয়তো যাদের কাছে মুখ কালো করে ফেরে না কেউ। না সম্পাদকরা, না পাঠকেরা। স্রষ্টা তার সর্বোচ্চ ঢেলে দেয়েছেন তাদের। এই সময়ের সেইসব হাতেগোনাদের একজনকে আমি জানি। নাম, কাসাফদ্দৌজা নোমান। কী লেখেন না নোমান? গদ্য, পদ্য, রম্য আথবা ফেসবুক স্ট্যাটাস। নোমান সবখানেই তার নামের ‘মান’টুকু রেখে চলেছে। অসম্ভর শক্তি আর পাঠক টেনে রাখার ক্ষমতা নিয়ে নোমানের বিচরণ। কনসেপ্ট, কনটেন্ট, আইডিয়া, বহুমাত্রিকতা, সাহিত্যবোধ আর প্রাসঙ্গিকতার অবাক মিশেল থাকে নোমানের লেখায়। বাঙালি মুসলমান লেখকদের মধ্যে আরেকটা ব্যতিক্রম নিয়ে এসেছেন কাসাফাদ্দৌজা নোমান। তার নাম। সহজ সরল লেখকের নামের সরিতে নোমান দাঁড়িয়েছেন একটা কঠিন নাম নিয়ে। কঠিনেরে ভালোবেসে নোমান পাঠকের জন্য লিখছেন সরলতম লেখা। সাবলীল লেখার পূর্ণপ্রয়োগ আছে নোমানের ‘অদ্ভুত তুমিহীনতায় ভুগছি’ বইতে। এই কথার সাথে দ্বিমত করার পাঠক হয়তো পাওয়া যাবে না বইটি পড়ার পর। আমি জানি না, নোমান কতটুকু যেতে চায়। তবে আমার বিশ্বাস স্রষ্টা নোমানকে লেখালেখির একটা ভিসাহীন পৃথিবী দিয়ে দিয়েছেন। এখন বাকিটা তার ইচ্ছা, সে কতটুকু যেতে চায়।