আরােগ্যনিকেতন অর্থাৎ চিকিৎসালয়। হাসপাতাল নয় দাতব্য চিকিৎসালয়ও নয়দেবীপুর গ্রামের তিন পুরম্নষ চিকিৎসা-ব্যবসায়ী মশায়দের চিকিৎসালয়।
স্থাপিত হয়েছিল প্রায় আশি বৎসর পূর্বে। এখন ভাঙা-ভগ্ন অবস্থা; মাটির দেওয়াল ফেটেছে, চালার কাঠামােটার কয়েকটা জায়গাতেই জোড় ছেড়েছে- মাঝখানটা খাঁজ কেটে বসে গেছে কুঁজো মানুষের পিঠের খাজের মতাে। কোনাে রকমে এখনও রয়েছেপ্রতীঙ্গা করছে তার সমাপ্তির, কখন যে ভেঙে পড়বে সেই ভূণটির পথ চেয়ে রয়েছে।
অথচ যেদিন স্থাপিত হয়েছিল সেদিন স্থাপন-কর্তা জগবন্ধু কবিরাজ মহাশয় তাঁর অত্মরঙ্গ বন্ধু ঠাকুরদাস মিশ্রকে বলেছিলেন, বুঝলে ঠাকুরদাস, “যাবৎ চন্দ্ৰার্ক মেদিনী” বলব না- তবে... আমাদের বংশের বসতি এখানে যতকাল থাকবে ততকাল এ আটন, এ পাট পাকা হয়ে রইল। হেসে বলেছিলেন, অজয় লাভের কারবার। যতই করিবে দান তত যাবে বেড়ে। পুরানাে ঘিয়ের মতাে- যত দিন যাবে তত দাম বাড়বে। বলতে গেলে সংসারে শ্রেষ্ঠ লাভের কারবার। দেনা-পাওনা- দেওয়া-নেওয়া দুই দিকেই শ্রেষ্ঠ লাভ মিলবে এখানে, অথচ দুই পরে কেউ ঠকবে না।