Categories


Dipu Number Two (Hardcover)

Standing in front of the class, Dipu suddenly felt bad. Every year, he had to go to a new class in a new school in a new place. He was a good student- even if he wasn’t always first, he was easily second or third in class. But his roll number was always forty-seven, or fifty-eight. Of course your roll number was always at the end when you were a new student. He didn’t feel too bad about the rdll number, but it was always difficult to leave behind his friends and show up in a new place with strangers. But Dipu had to do it every year- his father claimed that Dipu was the only reason he even waited for a year. He didn’t want to stay put for more than three months. All of the fathers in the world were the same, but his was different- Dipu had never been able to figure out why.

 


পুতুল নাচের ইতিকথা

পুতুল নাচের ইতিকথা বাঙালি সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে। উপন্যাস শুরু হয়েছে বজ্রাঘাতে নিহত হারু ঘোষের বর্ণনা দিয়ে। লেখাটা এভাবে উদ্ধৃত করাঃ "খালের ধারে প্রকাণ্ড বটগাছের গুঁড়িতে ঠেস দিয়া হারু ঘোষ দাঁড়াইয়া ছিল। আকাশের দেবতা সেইখানে তাহার দিকে চাহিয়া কটাক্ষ করিলেন। হারুর মাথায় কাঁচা-পাকা চুল আর বসন্তের দাগভরা রুক্ষ চামড়া ঝলসিয়া পুড়িয়া গেল। সে কিন্তু কিছুই টের পাইল না।" উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র গ্রামের ডাক্তার শশী। ঈশ্বরের প্রতি তার বিশ্বাস নেই। গ্রামের পটভূমিতে শশী, শশীর পিতা, কুসুম-সহ অন্যান্য চরিত্রগুলোর মাঝে বিদ্যমান জটিল সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে গড়ে উঠেছে এর কাহিনী ও প্রেক্ষাপট। ক্ষয়িষ্ণু সমাজের প্রেম, বিরহ, দ্বেষ ও পারস্পরিক সহমর্মিতা কে উপজীব্য করে লেখা এই উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ। উপন্যাসে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজ্ঞানমনস্ক মানসিকতার পরিচয় মেলে।


Vikram and Vetal: Tales of Wit and Wisdom

Peace and prosperity for his kingdom or freedom from a tiresome ghost? King Vikramaditya’s justice is put to the test. And how is a twelve-year-old girl connected to this tale? The tale of King Vikramaditya and a Vital testing the king’s famed sense of justice is a classic. Many centuries later, these stories—that King Vikramaditya had asked for to be handed down generations—are narrated to a twelve-year-old girl by a mysterious old man. But who is this storyteller? And what connects the girl to a king from ancient times? Poile Sengupta brings alive 


নয়ন রহস্য (ফেলুদা উপন্যাস ৯) (হার্ডকভার)

নয়ন রহস্য বইটি ফেলুদা সিরিজের একদম শেষ দিকের উপন্যাস যার কাহিনী আবর্তিত হয়েছে নয়ন নামের আশ্চর্য ক্ষমতাধর এক ছেলেকে ঘিরে। এই সিরিজে এর পর আর একটাই উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল - 'রবার্টসনের রুবি'। ফেলুদা পর্যন্ত যার ক্ষমতা দেখে আশ্চর্য হয়ে যায়, তাঁর সাথে পরিচয় হলে আপনি আমি তো থ বনে যেতে বাধ্য!তাই না? ভাবছেন সে কে? বলছি কালীঘাটের ছেলে ‘জ্যোতিষ্ক’র কথা। কী এমন বৈশিষ্ট্য তাঁর যে কারণে তাঁকে পেতে মরিয়া হয়ে চার স্বভাবের চারজন মানুষ পিছু নেয় কলকাতা থেকে মাদ্রাজ! যাদের হুমকিতে ভয় পেয়ে জ্যোতিষ্কের মনিব নামকরা জাদুকর সুনীল তরফদার ফেলুদাকে অনুরোধ করেন তাঁদের সাথে মাদ্রাজে যেতে। ওদিকে মাদ্রাজে খুন হয় ফেলুদার আরেক ক্লায়েন্ট হিঙ্গোয়ানি যার সাথে ছিল সুনীলের যোগাযোগ। শেষমেশ অপরাধী সনাক্ত হয় এমন একজন যা কেউ ভাবেওনি। জ্যোতিষ্ক-যার প্রকৃত নাম ‘নয়ন’ তাঁকে ও তাঁকে নিয়ে রহস্যে ঘেরা উপন্যাস ‘নয়ন রহস্য’।


ব্রাহ্মণের বাড়ির কাকাতুয়া (হার্ডকভার)

এক কথায় বই মানেই দুই মলাটে আবদ্ধ একটা সুন্দর জগৎ। এবারে এই বইয়ের কথায় আসা যাক, এই বইটা আসলে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ-এর বিভিন্ন জায়গায়,বিভিন্ন সময়ে দেয়া কিছু বক্তৃতার সমষ্টি। একটা বই মানে কী? একটা বই মানে কি শুধু বই? একটা বই মানে,যে লেখকের বই পড়ছি,তার মধ্যে যা কিছু সুন্দর, যা কিছু আনন্দময় সেসবেরই তো সমাহার।সুতরাং কোনো বই যখন পড়ি,তখন কতগুলো কাগজের পৃষ্ঠাই শুধু পড়িনা,সেই লেখকের সুন্দর অন্তরের সমস্ত সৌন্দর্য আর আলোকেও স্পর্শ করি।অন্তরের মধ্যে একটা জ্যোতি প্রবাহ তখন খেলা করে।শেক্সপিয়র পড়লে তার অন্তরের সৌন্দর্য গুলো যাবে কই? যদি প্লেটো পড়ি,রবীন্দ্রনাথ পড়ি,হাদিস পড়ি, কালিদাস পড়ি,পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষদের শ্রেষ্ঠ ও সৌন্দর্যময় লেখা পড়ে যাই,তাহলে? তাহলে কী হবে? পাঠ প্রতিক্রিয়া : এই বইটা পড়ে আমার শুধু আফসোস হচ্ছে।কিসের আফসোস? কেন আরো আগে এই বইটা পড়িনি! বইয়ের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কতকিছু করা যায়,একটা দেশ,জাতির ভবিষ্যৎ বদলে দেয়া যায়। কী করা যায়না বই দিয়ে?


The Adventures of Huckleberry Finn (Paperback)

Adventures of Huckleberry Finn (or, in more recent editions, The Adventures of Huckleberry Finn) is a novel by Mark Twain, first published in the United Kingdom in December 1884 and in the United States in February 1885. Commonly named among the Great American Novels, the work is among the first in major American literature to be written throughout in vernacular English, characterized by local color regionalism. It is told in the first person by Huckleberry "Huck" Finn, the narrator of two other Twain novels (Tom Sawyer Abroad and Tom Sawyer, Detective) and a friend of Tom Sawyer. It is a direct sequel to The Adventures of Tom Sawyer.


স্বপনকুমার ২০টি গোয়েন্দা উপন্যাস-১ (হার্ডকভার)

শ্রীস্বপনকুমার নামটি একসময় ক্ষুদে পড়ুয়াদের। সম্মোহিত করে রেখেছিল।
যেসব আকর্ষণীয় গোয়েন্দা কাহিনির সিরিজ লিখে শ্রীস্বপনকুমার জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তার বেশ কয়েকটিই প্রকাশিত হয়েছিল দেব সাহিত্য কুটীর থেকে। সেরকমই একটি অতি জনপ্রিয় সিরিজ ‘বিশ্বচক্র সিরিজ’। এই সিরিজে শ্রীস্বপনকুমার মোট একশোটি ছোট উপন্যাস লিখেছিলেন। তার থেকে মোট কুড়িটি উপন্যাস এই সংকলনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রত্যেকটি উপন্যাসই আকর্ষণীয়, একবার শুরু করলে শেষ না করে পারা যায় না, সুতরাং এই গ্রন্থও পাঠকদের কাছে খুব আদরের হবে, নিঃসন্দেহে বলা যায়।
একদা শ্রীস্বপনকুমারের যে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা ছিল, আজ তা নেই। কিন্তু একদিন কাহিনি গ্রন্থনের যে মুন্সিয়ানায় তিনি পাঠকদের সম্মোহিত করে রেখেছিলেন, রচনার সেই জাদুর সঙ্গে আজকের পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যই আমরা এই গ্রন্থ প্রকাশে আগ্রহী হয়েছি।


তিন মাস্কেটিয়ার

 দারতায়া নামক এক ১৮-১৯ বছরের এক যুবকের মাস্কেটিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গ্রাম থেকে প্যারিসে প্রত্যাবর্তন নিয়ে। সেখানে গিয়ে দারতায়ার ঝগড়া বাধে একি সাথে অপর তিন বন্ধু অ্যাথোস, পর্থোস ও আরামিসের সাথে। কিন্তু লড়ায়ের পরিবর্তে ঘটনাক্রমে তারা হয়ে উঠে পরম বন্ধু। আর দারতায়া হয়ে যায় একজন মাস্কেটিয়ার ও রাজার প্রিয়।

এরপর ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ও রানীর মাঝে শুরু হয় দ্বন্দ। রানীর দাসী হিসেবে কাজ করে কন্সট্যান্ট বোনাসিও নামে এক সুন্দরি, দারতায়া যার প্রেমে পড়ে যায়। এরপর রানীর কাজে সহায়তা দরকার হলে কন্সট্যান্ট দারতায়াকে বললে সে তা, তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে সফলতার সাথে করে। আস্তে আস্তে তারা পরাক্রমশালী হয়ে ওঠে আর এটা মেনে নিতে পারে না প্রধানমন্ত্রী রিশেলিও। সে মিলাডি নামক এক সুন্দরি কিন্তু ভয়ানক কুচক্রী মহিলাকে ব্যবহার করে রানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কাজ করাতে। এর মধ্যে দিয়ে অনেক ঘটনা প্রবাহ ঘটতে থাকে। আর শেষের দিকে মিলাডি কন্সট্যান্টকে বিষ দিয়ে হত্যা করে। আর দারতায়া ও তার তিন বন্ধু তার বিচার করে মৃত্যুদন্ড দেয়। এ দন্ড দেয়ার ঘটনাটাও অনেকটা থ্রিলার টাইপের। মজা পাবেন। শেষে প্রধানমন্ত্রী/কার্ডিনাল দারতায়ার সাহস, বীরত্ব ও বিচক্ষণতা দেখে তাকে মাস্কেটিয়ার বাহিনীতে লেফটেন্যান্ট পদে নিয়দ দেন। এখানেও নাটকীয়তা আছে অনেক


দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব হাকলবেরি ফিন (হার্ডকভার)

প্রচণ্ড দুষ্টু , দুরন্ত প্রকৃতির ছেলে হাকলবেরি ফিন, পারিবারিক বন্ধন আর শাসন থেকে মুক্ত হয়ে যে বনে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে, সারা পৃথিবীটা দেখতে চায়। বদ্ধ উন্মাদ চাচার শাসন থেকে নিজেকে মুক্ত করে হাকলবেরি ফিন তার নিগ্রো চাকর জিমকে নিয়ে শুধুমাত্র একটি কাঠের ভেলায় চড়ে নদী পথে বের হয়ে যায় অজানার উদ্দেশ্যে। তার পর হাকলবেরি ফিন মুখোমুখি হয় আশ্চর্য সব কাহিনির আর পরিচিত হয় বিচিত্র সব লোকজনের সাথে। অজানার প্রতি দুর্নিবার আকর্ষনে বাড়ি ছেলে পালাল হাকলবেরি ফিন। সঙ্গী তার জিম নামের এক ক্রীতদাস। রোমাঞ্ছকর সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে এগিয়ে চলল ওরা মুক্ত জীবনের সন্ধানে। বিশ্ব সাহিত্যের এক অমুল্য রত্ন মার্ক টোয়েন-এর "হাকলবেরি ফিন-এর দুঃসাহসিক অভিযান" সম্পুর্ন বাংলায়!!


রাতুলের রাত রাতুলের দিন

বইটির শুরুতেই লেখক বলেছেন বইটি ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের জন্য কিন্তু তারা পড়ে বলবে বইটি আসলে বাচ্চাদের জন্য; আবার বাচ্চারা বলবে বড়দের বই। কথাটা ঠিক। আমার কাছে মনে হয়েছে বইটি বাচ্চাদের জন্যই বেশী উপযোগী তবে বইটি পড়তে ভালোই লেগেছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রাতুলের সাহসিকতা বর্ণনা করতে গিয়ে যা বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা বাস্তবতা বর্জিত। গল্প হতে পারে কিন্তু রাতুলের জাহাজে লাফ দিয়ে ওঠার ঘটনা একটু বেশীই কাল্পনিক।


The 3 Mistakes of My Life

The 3 Mistakes of My Life is the third novel written by Chetan Bhagat. The book was published in May 2008 and had an initial print-run of 420,000. The novel follows the story of three friends and is based in the city of Ahmedabad in western India.


পুতুলনাচের ইতিকথা (হার্ডকভার)

পুতুল নাচের ইতিকথা বাঙালি সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে। উপন্যাস শুরু হয়েছে বজ্রাঘাতে নিহত হারু ঘোষের বর্ণনা দিয়ে। লেখাটা এভাবে উদ্ধৃত করাঃ "খালের ধারে প্রকাণ্ড বটগাছের গুঁড়িতে ঠেস দিয়া হারু ঘোষ দাঁড়াইয়া ছিল। আকাশের দেবতা সেইখানে তাহার দিকে চাহিয়া কটাক্ষ করিলেন। হারুর মাথায় কাঁচা-পাকা চুল আর বসন্তের দাগভরা রুক্ষ চামড়া ঝলসিয়া পুড়িয়া গেল। সে কিন্তু কিছুই টের পাইল না।" উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র গ্রামের ডাক্তার শশী। ঈশ্বরের প্রতি তার বিশ্বাস নেই। গ্রামের পটভূমিতে শশী, শশীর পিতা, কুসুম-সহ অন্যান্য চরিত্রগুলোর মাঝে বিদ্যমান জটিল সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে গড়ে উঠেছে এর কাহিনী ও প্রেক্ষাপট। ক্ষয়িষ্ণু সমাজের প্রেম, বিরহ, দ্বেষ ও পারস্পরিক সহমর্মিতা কে উপজীব্য করে লেখা এই উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ। উপন্যাসে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজ্ঞানমনস্ক মানসিকতার পরিচয় মেলে।


The Alchemist

The boy's name was Santiago. Dusk was falling as the boy arrived with his herd at an abandoned church. The roof had fallen in long ago, and an enor-mous sycamore had grown on the spot where the saceristy had once stood. 

Hed decided to spend the night there. He saw to it that all the sheep entered through the ruined gate, and then laid some planks across it to prevent the flock from laid some planks across it to prevent the flock from wandering away during the night.


মা

মা হচ্ছেন একজন পূর্ণাঙ্গ নারী, যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম তথা সন্তানকে বড় করে তোলেন - তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। প্রকৃতিগতভাবে একজন নারী বা মহিলাই সন্তানকে জন্ম দেয়ার অধিকারীনি। গর্ভধারণের ন্যায় জটিল এবং মায়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অবস্থানে থেকে এ সংজ্ঞাটি বিশ্বজনীন গৃহীত হয়েছে। তার বিপরীত লিঙ্গ পুরুষ হচ্ছেন বাবা।


দেয়াল (হার্ডকভার)

আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এসব শোকাবহ পর্বের বর্ণনায় যে-পরিসর ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের প্রয়োজন ছিল, বইতে তা দেওয়া হয় নি। বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে অনুবস্ত্রের অভাব এবং রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার ও তাদের প্রতি সর্বসাধারণের ক্ষোভ ও ঘৃণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শেখ মুজিবকে বঙ্গপিতা, মহামানব ও বঙ্গবন্ধু বলা হলেও মৃত্যুতে তিনি লেখকের অতটা সহানুভূতি লাভ করেননি যতটা পেয়েছেন তাঁর পরিবারের শিশু ও নারীরা। বঙ্গবন্ধু-হত্যায় মানুষের মধ্যে থেকে যে প্রবল প্রতিবাদ হলো না, বরঞ্চ কোথাও কোথাও আনন্দ-মিছিল হলো, এতে লেখক বিস্মিত (কাদের সিদ্দিকীর প্রতিবাদ সম্পর্কে হুমায়ূনের মন্তব্য : ‘ভারতে তিনি ‘কাদেরিয়া বাহিনী’ তৈরি করে সীমান্তে বাংলাদেশের থানা আক্রমণ করে নিরীহ পুলিশ মারতে লাগলেন। পুলিশ বেচারারা কোনো অর্থেই বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত না, বরং সবার আগে বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করার জন্যে তারা প্রাণ দিয়েছে।”) অবন্তির গৃহশিক্ষক শফিক- যে নিজেকে খুবই ভীতু বলে পরিচয় দেয়, সে-কিন্তু রাস্তায় দাঁড়িয়ে ‘মুজিব হত্যার বিচার চাই’ চলে স্লোগান দেয়, গ্রেপ্তার হয় এবং নিপীড়ন সহ্য করে। খন্দকার মোশতাককে এ-বইতে আমার পাই কমিক চরিত্ররূপে। ‘অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম খালেদ মোশাররফ’ এবং ‘মহাবীর কর্নেল তাহেরে’র প্রতি লেখকের শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে এবং উপন্যাসে কর্নেল তাহেররকেও দেখি খালেদ মোশাররফের সাহসিকতা ও চরিত্রগুণের প্রশংসা করতে। জিয়াউর রহমানের আর্থিক সততার প্রশংসা আছে, জনগণের শ্রদ্ধা তিনি অর্জন করেছিলেন, তা বলা হয়েছে, সেই সঙ্গে তাঁর ক্ষমতালোভের কথা বলা হয়েছে এবং সরকারি তথ্য উদ্বৃত করে জানানো হয়েছে যে, ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর গঠিত সামরিক আদালতের বিচারে ১১৪৩ জন সৈনিক ও অফিসারকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিতে হয়েছে। হুমায়ূনের মতে, এদের দীর্ঘনিশ্বাস জমা হয় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে- সেখানে ‘জিয়া প্রাণ হারান তাঁর এক সময়ের সাথী জেনারেল মঞ্জুরের পাঠানো ঘাত বাহিনীর হাতে।’ এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে বইতে কোনো তথ্য নেই, বরঞ্চ এই হত্যাকাণ্ডের পশ্চাতে মনজুরের ‘রূপবতী স্ত্রী’র প্রলয়ংকরী স্ত্রীবুদ্ধি কাজ করে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্র যে বলেছিলেন, ‘উপন্যাস উপন্যাস-উপন্যাস ইতিহাস নহে’, সে কথা যথার্থ। তবে ইতিহাসাশ্রিত উপন্যাসে ইতিহাসের সারসত্য অবিকৃত থাকবে বলে আশা করা হয় এবং কল্পনাপ্রসূত আখ্যানেও কার্যকারণ সম্পর্কের ব্যাখ্যা প্রত্যাশিত।


মিসির আলি সমগ্র-১ (হার্ডকভার)

মিসির আলির সব লেখা এক মলাটের ভেতর। পাঠকদের জন্যে সুসংবাদ না দুঃসংবাদ বুঝতে পারছি না। দুর্মূল্যের বাজারে মিসির আলি সাহেবের মতো ভালো মানুষ আটশ টাকা নিয়ে নেবেন? বইয়ের না-কি আটশ টাকা।


কৃষ্ণপক্ষ

অরু ও মুহিব বর্তমান প্রজম্মের দুই তরুণ তরুণী। হৃদয় জুড়ে আছে তাদের অকৃত্রিম ভালোলাগা ও ভালোবাসা। তাইতো একে অপরের কাছে এসেছে প্রকৃতির নিয়মে খুব সহজেই।টুকরো টুকরো আনন্দময় কিছু মুর্হুত তাদের জীবনে ছিল। সময়ের স্রোতে এগিয়ে গেছে তারা স্থির সিন্ধান্তের দিকে। কিন্তু নাহ্‌। তারা পারেনি। বিবাহিত জীবন শুরু করেও পারেনি সুখময় দাপম্পত্য জীবন গড়ে নিতে। অকস্মৎ এক দুর্ঘটনায় মুহিব বিদায় নেয় এই মায়াময় পৃথিবী থেকে। স্বভাবতই অরুর জীবনে নেমে আসে এক ভয়াবহ বিচ্ছিন্নতা। কিন্তু অরুকে তবুও বাঁচতে হবে। বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে পারিবারিক নির্দেশে সে আবার ঘর বাঁধে। সময়ও দ্রুত এগিয়ে চলে। সে হয় জননী। দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর তার প্রথম মেয়ের বিয়েতে দুই যুগ পূর্বের নির্দিষ্ট স্মৃতি তাকে হঠাৎ অসুস্থ করে তুললো। ছোট মেয়ে কান্তার একটা কথা।আপা দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবী আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছে।‘বন ফায়ার হবে’ অরুর চোখে জল এসে যাচ্ছে তিনি সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।........


নন্দিত নরকে

মাসিক ‘মুখপত্রে’র প্রথম বর্ষের তৃতীয় সংখ্যায় গল্পের নাম ‘নন্দিত নরকে’ দেখেই আকৃষ্ট হয়েছিলাম। কেননা ঐ নামের মধ্যেই যেন একটি নতুন জীবনদৃষ্টি, একটি অভিনব রুচি, চেনতার একটি নতুন আকাশ উঁকি দিচ্ছিল। লেখক তো বটেই, তাঁর নামটিও ছিল আমার সম্পূর্ণ অপরিচিতি। তবু পড়তে শুরু করলাম ঐ নামের মোহেই। পড়ে আমি অভিভূত হলাম। গল্পে সবিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেছি একজন সূক্ষ্মদর্শী শিল্পীর; একজন কুশলী স্রষ্টার পাকা হাত। বাঙলা সাহিত্যক্ষেত্রে এক সুনিপুণ শিল্পীর, এক দক্ষ রূপকারের এক প্রজ্ঞাবান দ্রষ্টার জন্মলগ্ন যেন অনুভব করলাম। জীবনের প্রাত্যহিকতার ও তুচ্ছতার মধ্যেই যে ভিন্নমুখী প্রকৃতি ও প্রবৃত্তির জটাজটিল জীবনকাব্য তার মাধুর্য, তার ঐশ্বর্য, তার গ্লানি, তার দুর্বলতা, তার বঞ্চনা ও বিড়ম্বনা, তার শূন্যতার যন্ত্রণা ও আনন্দিত স্বপ্ন নিয়ে কলেবরে ও বৈচিত্র্যে স্ফীত হতে থাকে, এত অল্প বয়সেও লেখক তাঁর চিন্তা-চেতনায় তা ধারণ করতে পেরেছেন দেখে মুগ্ধ ও বিস্মিত। বিচিত্র বৈষয়িক ও বহুমুখী মানবিক সম্পর্কের মধ্যেই যে জীবনের সামগ্রিক স্বরূপ নিহিত, সে উপলব্ধিও লেখকের রয়েছে। তাই এ গল্পের ক্ষুদ্র পরিসরে অনেক মানুষের ভিড়, বহুজনের বিদ্যুৎ-দীপ্তি এবং খন্ড খন্ড চিত্রের সমাবেশ ঘটেছে। আপাতনিস্তরঙ্গ ঘরোয়া জীবনের বহুমুখী সম্পর্কের বর্ণালি কিন্তু অসংলগ্ন ও বিচিত্র আলেখ্যর মাধ্যমে লেখক বহুতে ঐক্যের সুষমা দান করেছেন। তাঁর দক্ষতা ঐ নৈপুণ্যেই নিহিত। বিড়ম্বিত জীবনে প্রীতি ও করুণার আশ্বাসই সম্বল। হুমায়ূন আহমেদ বয়সে তরুণ, মনে প্রাচীন দ্রষ্টা, মেজাজে জীবন-রসিক, স্বভাবে রূপদর্শী, যোগ্যতায় দক্ষ রূপকার। ভবিষ্যতে তিনি বিশিষ্ট জীবনশিল্পী হবেন-এই বিশ্বাস ও প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করব।


ময়ূরাক্ষী (হার্ডকভার)

ময়ূরাক্ষী নদীকে একবারই আমি স্বপ্নে দেখি। নদীটা আমার মনের ভেতর পুরোপুরি গাঁথা হয়ে যায়। অবাক হয়ে লক্ষ করি কোথাও বসে একটু চেষ্টা করলেই নদীটা আমি দেখতে পাই। তারজন্যে আমাকে কোনো কষ্ট করতে হয় না। চোখ বন্ধ করতে হয় না, কিছু না। একবার নদীটা বের করে আনতে পারলে সময় কাটানো কোনো সমস্যা নয়। ঘন্টার পর ঘন্টা আমি নদীর তীরে হাঁটি। নদীর হিম শীতল জলে পা ডুবিয়ে বসি। শরীর জুড়িয়ে যায়। ঘূঘুর ডাকে চোখ ভিজে ওঠে।


হিমু সমগ্র - ১ম খণ্ড (হার্ডকভার)

হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক চরিত্র। হিমু মূলত একজন বেকার যুবক; যার আচরণে বেখেয়ালী, জীবনযাপনে ছন্নছাড়া ও বৈষয়িক ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন ভাব প্রকাশ পায়। চাকরির সুযোগ থাকলেও সে চাকরি কখনো করে না বলেই সে বেকার। তার অস্বাভাবিক চরিত্রের মধ্যে সে হলুদ পাঞ্জাবী পরে খালি পায়ে রাস্তাঘাটে দিন-রাত ঘুরে বেড়ায় এবং মাঝে মাঝে ভবিষ্যৎবাণী করে মানুষকে চমকে দেয়


বসন্ত বিলাপ

মুগ্ধতায় স্নিগ্ধ এক নিরাভরণ বসন্তের আগমনের আগেই বসন্ত বিলাপের এক অস্ফুট আর্তি যেন একটা থমথমে অবস্থার সৃষ্টি করছে চারপাশে।যাইহোক বইটা হাতে পাবার পর সেই বিলাপের সাথে যেন নিজেকেই একাত্মতা ঘোষণা করতে হল । মনে হল আর কটা দিন যদি থেকে যেতে পারতেন তাহলে হয়তোবা তিনিও নিজেকে সপে দিতেন সেই বিলাপে।যার কথা বলছি তিনি আর কেউ নন সবারই পরিচিত হুমায়ূন আহমেদ এবং তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত একটি বই “বসন্ত বিলাপ” এর। “বসন্ত বিলাপ” বইটি রচিত হয়েছে তার লেখা পত্রিকার বিভিন্ন বিভাগের বিচিত্র বিষয়ে,গল্প-উপন্যাস এর বাইরেও তাঁর বেশ কিছু রচনা, কিছু ছোট আয়তনের গদ্য সংকলনের।বইয়ের একটি অংশে তাঁর সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে মনে হয় যেন আমি সেই হুমায়ূন আহমেদের সামনেই দাড়িয়ে আছি আর তিনি সাবলীলভাবে তার জীবনের দর্শন, বিশ্বাস,অপার সৃষ্টি হিমু ও মিসির আলী,মৃত্যুকে নিয়ে গভীর চিন্তা ,কিছু অলৌকিক ঘটনার অভিব্যক্তি,নিজের লেখালেখি নিয়ে কিছু বাস্তব অহংকার,লেখা নাটক ও চলচ্চিত্র নিয়ে অনর্গল বলে যাচ্ছেন।


গৌরীপুর জংশন (হার্ডকভার)

আমি আমার গ্রন্থের নামকরণে অনেকবার কবিদের কাছে হাত পেতেছি। এবার হাত পাতবার আগেই নাম পেয়ে গেলাম। কবি নির্মলেন্দু গুন পান্ডুলিপি পড়ে নাম দিলেন- গৌরীপুর জংশন। তাঁকে ধন্যবাদ।


তিথির নীল তোয়ালে

বড় মেয়ে তিথি আর তার বাবা যখন বাসায় একা, ঠিক তখনই বাসায় জাফর সাহেবের গ্রামের বাড়ি থেকে অদ্ভুত এবং রহস্যময় যুবক নুরুজ্জামানের আগমন। নুরুজ্জামানের উদ্ভট কার্যকলাপে জাফর সাহেব রীতিমত বিরক্ত হয়ে উঠেন। উপরন্তু, নুরুজ্জামান যখন বলে যে, সে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে একটা স্কুল স্যাংকশানের ব্যাপারে সে দেখা করবে। তিথিও বিরক্ত হয় যখন নুরুজ্জামানের হাতে পাঠানো তার দাদার চিঠিতে সে জানতে পারে, তিথির জন্য এই ছেলেকই তার দাদার পছন্দ। তিথির সাথে ফোনে হালকা অথচ মুগ্ধময় আলাপচারিতা হয় মারুফের সাথে। পাতার বাঁশি বাজাতে পটু নুরুজ্জামান অনেক চেষ্টা করেও পুর্বপরিচিত বিটিভির এক লোকের সাথে দেখা করতে পারে না, যে বলেছিল নুরুজ্জামানকে দিয়ে টিভিতে পাতার বাঁশি বাজাবে। মারুফ তার জীবনের জন্য গুছিয়ে কিছু মিথ্যা বলে তিথিকে। সে বলে, এ মাসেই স্কলারশিপ নিয়ে সে ফ্রান্স চলে যাচ্ছে।


আরশিনগর (হার্ডকভার)

খুঁজে দেখ কোনো এক পলাতক মন, ডুবেছে তোমার ওই নেশাঘোর চোখে। নেশায় ডুবে যাক শহর, গলির শিস কাটা লাল চোখ বৃদ্ধ কিংবা যুবক। ডুবে যাক শ্মশান কিংবা গোরস্তান। বুঁদ হয়ে থাক উদ্ভ্রান্ত বুক। নেশায় ডুবে থাকা মানুষ, চুমুকে চুমুকে সব দুঃখ শুষুক। মাতাল মাদকে কাটুক জমে থাকা পুরাতন শোক, আজ চৌদিকে নেশাদের বান ডেকে যাক তোমার অমন মাদক চোখ।