Categories


নুহের নৌকা

অনেক অনেক দিন আগের কথা। সে সময় নূহ নামে একজন ধার্মিক লোক ছিলেন। তিনি আল্লার একজন নবী । তখন মনুষজন সৎ ও সরল পথে চলাফেরা করত না। আল্লাহর প্রতি তাদের কোনো বিশ্বাস ছিল না। তখন আল্লাহ নূহ নবীর মাধ্যমের লোকজনের কাছে সৎ পথে চলার বার্তা পাঠালেন।


প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ (হার্ডকভার)

ঘুটঘুটে অন্ধকার। নীরব। নিস্তব্ধ। হঠাৎ কোথেকে যেন উদয় হলো আলোর ঝরনাধারা। সেই আলোয় পরিশুদ্ধ হচ্ছে শহর-বন্দর-গ্রাম। ভেসে যাচ্ছে নর্দমা আর নোংরা আবিল। কিন্তু ব্যাপারটা কারও কারও সহ্য হলো না। যে-অন্ধকারে তারা ছিল, সবাইকেই তারা ধরে রাখতে চাইল সেই অন্ধকারে। লেজকাটা শেয়ালের মতো সবাইকে যার যার লেজ কেটে ফেলার “সু”পরামর্শ দিল। বিশাল এক কালো থাবায় ছেদ পড়ল আলোর গতিধারায়। ধীরে ধীরে আবার বাড়তে লাগল নিকষ অন্ধকার। এমনই এক শঙ্কুল সময়ে এগিয়ে এলেন একজন। আজাদ করার ব্রত নিয়ে নামলেন সাদা পাতার কালো হরফে। সরাতে লাগলেন নতুন করে গজিয়ে ওঠা জঞ্জাল; এবং কালো থাবার অশনি। সাজিদ। নতশির। একসময় নত হতো কথিত বিজ্ঞানমনস্কতার নামে ভ্রান্ত বিশ্বাসের পদতলে। সত্যের সন্ধান পেয়ে আজ নত হয় মহান স্রষ্টার সমানে। শুধু নত হয়েই ক্ষান্ত হয়নি; যে-মশালের সন্ধান পেয়েছে, সেটা ছড়িয়ে দিচ্ছে আপনজনের কাছে: কখনো মুসলিম-অমুসলিমদের ভ্রান্ত ও ঊনধারণার মুণ্ডুপাত করে, কখনো মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া মুসলিমদের সংশয় নিরসন করে। ইসলাম নিয়ে নাস্তিক আর সংশয়বাদীদের মৌলিক প্রশ্ন হাতে গোনা। বেশিরভাগই ইসলামের শত্রু আর বিদ্বেষীদের থেকে ধার করা। এগুলো যেমন ছিল ১৪ শ বছর আগে, তেমনি জিইয়ে আছে আজও।


ডাবল স্ট্যান্ডার্ড (হার্ডকভার)

তার মানে শরীয়তের হুকুমের কল্যাণ বুঝা সম্ভব। অধমের স্বল্পজ্ঞান ও অযোগ্যতা নিয়ে একাজ করার উদ্দেশ্য একটাই— যদি কোন জ্ঞানী ও যোগ্য ব্যক্তি পর্যন্ত আমার এ আহবান পৌঁছে, না জানি তাঁর গবেষণা থেকে কত রহস্য উম্মত জানতে পাবে, না জানি কত দুর্বল মুসলিমের ঈমান বেঁচে যাবে | দ্বিতীয়ত, মনে হয়েছে অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও বাকস্বাধীনতার নষ্টামীর এই যুগে এমন কিছু ভাবনার সংকলন দরকার যা প্রতিটি মুসলিমের সংগ্রহে থাকা চাই। কেননা প্ৰাচ্যবিদদের (বিধমী ইসলামগবেষকদের) পুরনাে প্ৰলাপই নতুন মোড়কে আসছে। সেই জংধরা অস্ত্ৰেই ঘায়েল হচ্ছে আমাদের সন্তানদের অপকু দুর্বল ঈমান। মূলত বইটা আগে আমাদেরই জন্য লেখা, ওদের জন্য পরে। সামান্য এই কাঁটা বিষয় সম্পর্কে প্রতিটি আর শেষদুটাে গল্প তো শুধুই আমাদের জন্য। মাগদূর্ব ও দ্বোয়াল্লিন'এর পথে যারা আমরা হেঁটে “আন’আমতা আলাইহিম’এর পথ ছেড়ে দিয়েছি। তৃতীয়ত, ওদেরকে আমি দুইভাগে ভাগ করি। তৎসম নামধারী আর আরবি নামধারী। তৎসম নামধারীরা হিন্দুধর্মের বিকৃতি ও অসাড়তা বুঝে নাস্তিকতা অর্জন করেছেন। ইসলামকেও ঐরকমই কিছু একটা ভেবে নিয়েছেন, বা আরবি নামধারী নাস্তিকদের চোখেই ইসলামকে চিনে ঋণাতক ধারণা পোষণ করছেন। এই বই ওনাদের জন্যও । কারণ তাঁরা আসলেই সত্য খুঁজতে যেয়ে নাস্তিক হয়েছেন। তৎসম নামের নাস্তিকরা সত্যের অনেক কাছাকাছি। ওনাদের জন্য আমার বুকভরা দুআ । আর একটু বন্ধু, এই সামনের মোড়ের পরেই তোমার গন্তব্য। চতুর্থত, আরবি নামধারী নাস্তিক। এনাদের নাস্তিকতা অর্জনের কারণ প্রবৃত্তি বা ঝোঁক। এমন একটা দিকে তাদের আকর্ষণ বা ঝোঁক, যা ইসলাম অনুমোদন দেয়না। হয় সে সমকামী, না হয় ব্যভিচারী, না হয় মা-বোনকে নিয়ে যৌন ফ্যান্টাসিতে ভোগে, বা মদ-গাঁজা টানে, নয়তো বহুপুরুষগামিনী- দেখবেন কোন একটা নীতিবিরোধী ও মানবতাবিরোধী কিছুতে সে লিপ্ত যা সে ছাড়তে চায়না। এজন্যই ইসলামকে সে শত্রু। হিসেবে নেয়। কারণ উপায় নেই যে | তখন তার কাজই হয় ইসলামের খুঁত খুঁজে বের করে প্রচার করা। খুঁজতে গিয়ে সে পেয়ে যায় পশ্চিমা ঐতিহাসিকদের কিছু প্ৰলাপ, টেপ রেকর্ডার। ইসলামের দিকে তাক করা বাঁধা কয়েকটা প্রশ্ন। এর ভিতরেই তার ঘুরপাক, অপলাপ, প্রপাগান্ডা। যেগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে আমরা মুসলিমরা হিমশিম খেয়েছি। এড়িয়ে যেতে চেয়েছি। এসব প্রশ্ন যে আমাদের মনেও আসেনা তা নয়। কেউ ওদের জালেই ফেসে গিয়েছে। এই বই ওদের জন্যও। তবে যারা কুরআন তারা এই বইয়েও খুঁত বের করবে।


জিন ও ফেরেশতাদের বিস্ময়কর ইতিহাস (হার্ডকভার)

জাতির ইতিবৃত্ত ‘জিন' বলতে আমরা কি বুঝি?

হযরত ইবনে দুরাইদ (রহ) বলেছেনঃ মানুষ যেমন স্বতন্ত্র এক সৃষ্টি তেমনি জিন জাতি মানুষের থেকে আলাদা এক সৃষ্টি। জিন শব্দের অর্থ গুপ্ত, অদৃশ্য, লুক্কায়িত, আবৃত ইত্যাদি। আল কুরআনে ব্যবহৃত জিন্নাহ, জিন ও জ্বান বলতে একই জিনিস বােঝালেও ‘জিন' হচ্ছে জিন্নাত বা জিন জাতির এক বিশেষ প্রজাতি। (তথ্যসূত্র : মুহাম্মদ বিন হাসান আদী, উমাম-উশ-শুআরা আল-লুগাত, মৃত্যু ৩২১ হিজরী)

কারা জিন?

আল্লামা মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহিদ বাগদাদী তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, হযরত আবূ উমার আয-যাহিদ বলেছেনঃ জিন্নাত বা জিন জাতির কুকুর ও ইতর শ্ৰেণীকে বলা হয় জিন।

‘জান' বলতে কি বুঝায়?

ইবরাহীম বিন সাঈদ আবু ইসহাক মুহাদ্দিসে আজীম বাগদাদী বর্ণনা করেন, হযরত জাওহারী বলেছেন ঃ ‘জান’ হচ্ছে জিন জাতির আদিপিতা।

কেন জিনকে জিন বলা হয়?

হযরত ইবনে আকীল হাম্বালী (রহ) বলেছেনঃ জিনকে জিন বলা হয় কারণ তারা লুকিয়ে থাকে ও চোখের আড়ালে থাকে বলে।

জিন কি শয়তান?

আল্লামা ইবনে আকীল বলেছেন : শয়তানরা হচ্ছে এক ধরনের জিন যারা আল্লাহর অবাধ্য এবং এরা (অভিশপ্ত) ইবলীসের বংশােদ্ভূত ।(তথ্যসূত্র: কিতাবুল ফুনুন)


রাসুলুল্লাহ (সা:) এর নামায (১ম ও ২য় খণ্ড একত্রে) (হার্ডকভার)

সহিহ হাদিসের ব্যাখ্যা সংবলিত পূর্নাজ্ঞ নামাজ শিক্ষার বই। সেরার মধ্যে এটা সেরা বই। নবি (সঃ) এর শেখানো নামাজ পড়তে হলে এই বইয়ের বিকল্প নাই। কারণ এই বইয়ে লেখক কোন মাঝহাবের পক্ষে বা বিপক্ষে লেখেন নি। সম্পূর্ন সহিহ সুন্নত অনুসারে লিখেছেন। আল্লাহ লেখক নাসিরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) কে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।


বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ (হার্ডকভার)

ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে ‎রাসূল ‎ﷺ এর ব্যাপারে যেসব জীবনী লেখা হয়, সেগুলোর বেশিরভাগে দুটো জিনিস হামেশা পাওয়া যায়; ‎রাসূলর ‎ﷺ ৪০ বছরের পরের জীবন আর পাঠকদের মধ্যে তাঁর ব্যাপারে সম্ভ্রম জাগানো। কিন্তু এ ধরনের লেখনীতে তরুণ পাঠকেরা নিজেদের কমই খুঁজে পায়। বইগুলোতে তাঁকে এতটাই নিখুঁত পুরুষ হিসেবে তুলে ধরা হয় যে, অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে তাঁকে গ্রহণ করতে বেগ পেতে হয়। তরুণরা অনেক সময়ই তাদের জীবন ঘনিষ্ঠ সংকটের সাথে রাসূল ‎ﷺ জীবনী মিলিয়ে নিতে পারে না।অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন খুব স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আল্লাহর রাসূলের মাঝে তোমাদের জন্য আছে ভালো ভালো উদাহরণ।’ (৩৩:২১) কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, ‎রাসূল ‎ﷺ এর সাথে মুসলিমদের সম্পর্ক যতটা কাছের হওয়া উচিত, ততটা হয় না। শিশুরা কখনো কল্পনাও করতে পারে না তাদের প্রিয় রাসূল ‎ﷺ একসময় তাদের মতোই শিশু ছিলেন। তিনি খেলেছেন, দৌড়াদৌড়ি করেছেন। টিনএজাররা কখনো ভাবেই না যে, তারা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হয়ে দিন পার করছে, ‎রাসূল ‎ﷺ কে ঠিক এমনই কিছু চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমাদের তরুণরা জানে না কীভাবে তিনি পরিবর্তনের সাথে খাপ খেয়ে নিয়েছেন, কীভাবে তিনি অচলবস্থার নিরসন করেছেন। এই বইয়ে শিশু মুহাম্মাদ, কৈশোরের মুহাম্মাদ এবং নবুওয়তের আগের যুবক মুহাম্মাদকে দেখবেন ইনশাআল্লাহ।নিঃসন্দেহে তিনি আমাদের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার পাত্র। আমরা প্রিয় নেতাকে জীবনের চেয়েও ভালোবাসি। কিন্তু আমরা তাঁকে এমন সম্ভ্রম-জাগানিয়া নিখুঁত মানুষ হিসেবে তুলে ধরি যে, আমাদের সময়ে তাঁকে অনুসরণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা কেন যেন রাসূল ‎ﷺ কে কঠিন করে উপস্থাপন করতে চাই।


মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম (হার্ডকভার)

পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনকে আমাদের স্যেকুলার বয়ানে দেখা হয়েছে একটি প্রতিক্রিয়াশীল ঘটনা হিসেবে। অথচ পাকিস্তান সৃষ্টি এই অঞ্চলের অন্যতম প্রগতিশীল উল্লম্ফন। সেই পাকিস্তান তার জন্মের দায় শোধ করতে পারেনি জন্যই বাংলাদেশের সৃষ্টি। কিন্তু পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্যে থেকে ইসলাম নিজ পরিচয়ের সঙ্গে লেপ্টে কীভাবে এই জনগোষ্ঠির আর এক অন্যতম পরিচয় বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠলো সেটা কখনো খতিয়ে দেখা হয়নি। একটা জনগোষ্ঠি, চলার পথে লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস, তাৎপর্যকে কীভাবে তার ‘পরিচয় বৈশিষ্ট্য’ হিসাবে সাথে লেপ্টে নিয়ে চলে সেটাও আমরা অনুধাবন করার চেষ্টা করিনি। ঠিক কীভাবে এই অঞ্চলের মানুষের মননে ও গঠন-তন্তুতে ‘ইসলাম’ এক বিশেষ অর্থে আর তাৎপর্যে স্থায়ী আসন নিয়ে নেয়; সেই তালাশ কেউ করেনি। কারণ তাহলেই আমাদের প্রগতিশীল মহল হৈ হৈ রৈ রৈ করে উঠবে। সেকারণেই মুক্তিযুদ্ধকে সেই জমিদারি উচ্ছেদের লড়াইয়ের পরিণতি পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় দেখার কোন সচেতন চেষ্টাও হয়নি।


সহীহ বোখারী শরীফ (১ থেকে ১০ খণ্ড একত্রে) (অফসেট)

 

কেননা, আপনি আপনার আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করেন, দুঃস্থ-দুঃখীদের সেবা করেন, বঞ্চিত ও অভাবগ্রস্তদেরকে আয়ের ব্যবস্থা করে দেন, অতিথি সৎকার করেন, সত্যপথের বিপন্ন পথিকদেরকে সাহায্য করেন। অতঃপর হযরত খাদীজা (রা) তাঁকে সাথে করে স্বীয় পিতৃব্য পুত্র ওরাকা ইবনে নওফলের নিকট গমন করলেন। তিনি অন্ধকার যুগে খৃস্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইবরানী ভাষায় কিতাব লিখতেন। আল্লাহর ইচ্ছামাফিক ইঞ্জীলের অনেকাংশ (সুরইয়ানী ভাষা থেকে) ইবরানী ভাষায় অনুবাদ করতেন। তিনি এত অধিক বার্ধক্যে পৌছেছিলেন যে, প্রায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। খাদীজাহ (রা) তাকে বললেন, হে পিতৃব্য পুত্র! তােমার ভ্রাতুস্পুত্রের কথা শুন। ওরাকা। ইবনে নওফল তাকে বললেন, হে ভ্রাতুপুত্র! কি দেখেছ ? রাসূলুল্লাহ (ছ) সব ঘটনা তার নিকট বিবৃত করলেন। ওরাকা তাকে বললেন, ইনি সেই রহস্যময় জিবরাঈল ফেরেশতা যাকে আল্লাহ হযরত মূসার (আ) নিকট প্রেরণ করেছিলেন। আহা! যদি আমি সে সময় যুবক থাকতাম যেদিন আপনি আল্লাহর বাণী প্রচার করবেন, হায়! যদি আমি সে সময় জীবিত থাকতাম, যে সময় আপনার সম্প্রদায়ের লােকেরা আপনাকে দেশান্তরিত করবে।


তিরমিযী শরীফ (১-৬ খণ্ড একত্রে) (হার্ডকভার)

পবিত্রতা অর্জনের ফযীলত হাদীস-২। হযরত আবু হােরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন-যখন কোনাে মুমিন বা মুসলিম বান্দা অযু করে এবং চেহারা ধৌত করে, তার চেহারা থেকে তার চোখের দ্বারা করণীয় সব গুনাহ পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে দূরীভূত হয়ে যায়। যখন সে তার হাত ধৌত করে, তার দু'হাতে করণীয় সমুদয় গুনাহ তার হাত থেকে পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে দূরীভূত হয়ে যায়। এমনকি সে সমস্ত গুনাহ থেকে পরিত্রাণ হয়ে যায়।


প্রিয়তমা (রাসুলুল্লাহ সাঃ এর দাম্পত্যজীবন) (হার্ডকভার)

আয়েশার (রা.) সঙ্গে রাসুল মুহাম্মদের (সা.) দাম্পত্যজীবন কি অসুখী ছিলো? একজন কেবলই কিশোরী, আরেকজন পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রবল ব্যক্তিত্ববান মানুষ; কেমন ছিলো অসম বয়সী এ দুজনের প্রেমময় সংসারের ছায়াছবি? ঝগড়া হতো? খুনসুটি? মান-অভিমানে কান্না হতো? খাদিজা (রা.) কেন প্রৌঢ়ত্বের দ্বারপ্রান্তে এসে হাত বাড়িয়ে আগলে নিলেন যুবক মুহাম্মদের হাত? মুহাম্মদ (সা.) যেদিন নবি হলেন, ভয়ে কাঁপছিলেন তিনি; খাদিজা তাঁকে বুকে জড়িয়ে কেন বলেছিলেন, ‘ভয় নেই আপনার’। কেন সুদূর ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান নাজ্জাশির রাজপ্রাসাদে আয়োজন করা হলো মুহাম্মদ (সা.) এবং কুরাইশকন্যা উম্মে হাবিবার বিয়ে? কেন ইহুদি রাজকুমারী সাফিয়্যাকে যুদ্ধদাসী থেকে বরণ করে নিলেন উম্মুল মুমিনিন হিসেবে? রাসুল মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর ১১ জন স্ত্রীর দাম্পত্যজীবনের অসংখ্য গল্পভাষ্য নিয়ে রচিত ইতিহাস-অনুসন্ধানী লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর-এর অনবদ্য উপাখ্যানগ্রন্থ ‘প্রিয়তমা’। একদিকে নিরেট নির্মোহ ইতিহাসের বর্ণিল আয়োজন, আরেক দিকে উম্মুল মুমিনিনদের জীবনের অনালোচিত অধ্যায়ের নতুন আবিস্কার। নতুন ভাষা ও প্রাঞ্জল গদ্যে রাসুলের দাম্পত্যজীবনের পূর্ণ ছায়াছবি উঠে এসেছে এ গ্রন্থে। আমাদের লৌকিক সমাজের প্রায় প্রতিটি পরিবারে আজকাল শোনা যায় স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ, মানসিক টানাপোড়েন, পরস্পরের বিশ্বাসহীনতা, সংসার ভাঙার করুণ সুর। দাম্পত্য কলহের বিষবাষ্প যেন ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে আমাদের চারপাশের সমাজ। কিন্তু আমরা নিজেদের কি কখনো রাসুল ও তাঁর স্ত্রীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছি? কখনো কি তাঁদের সংসারের আদলে আমাদের সাংসারিক সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছি? রাসুলের সাহচর্যে এতো প্রেমময় আর ভালোবাসায় পূর্ণ ছিল তাঁদের সংসার, কখনো সে সাংসারিক প্রেম আগ্রহভরে পাঠ করা হয়নি আমাদের। অথচ তাঁদের জীবনে রয়েছে প্রেম আর ভালোবাসায় পূর্ণ এক সংসারের ছায়াছবি। তাঁদের দাম্পত্যজীবনের অসংখ্য অনুপম শিক্ষা সমগ্র পৃথিবীর জন্য শিক্ষণীয়। অনাগত সকল সভ্যতার জন্য তাঁদের সাংসারিক প্রেম নক্ষত্রের মতো জাজ্বল্যমান। যে গ্রহণ করবে, আলোকিত হবে তার জীবন। এ গ্রন্থ সেই সুখী আর প্রেমময় জীবনের গল্পই বলেছে।


বিশ্বনবী

নবীর প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাই বইটিকে অসাধারণ জনপ্রিয় করে তুলেছে। গ্রন্থটি সম্পর্কে ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন,"আমরা এই পুস্তক খানিতে গোলাম মোস্তফা সাহেবকে একজন মোস্তফা-ভক্ত দার্শনিক ও ভাবুকরূপে পাইয়া বিস্মিত ও মুগ্ধ হইয়াছি।ভাষা,তথ‍্য ও দার্শনিকতার দিক হইতে গ্রন্থখানি অতুলনীয় হইয়াছে।" ফুরফুরা শরীফের পীর মাওলানা আবু নসর মুহম্মদ বলেন,"যাঁহারা বাংলা ভাষায় হযরত রসূলে করিমের (সঃ) সঠিক জীবনী ও সত‍্যরূপ জানিতে চান,তাহাদিগের 'বিশ্বনবী' পাঠ করিতে অনুরোধ করি।


প্রচলিত ভুল (হার্ডকভার)

জবেহের স্থানে উপস্থিত ছিলেন তার দুই সন্তান। তারা জবেহকে খেলা মনে করে একে অপরকেও জবেহ করে দেয়। এবং উভয়ে মৃত্যু বরণ করে। জাবের (রাঃ) উক্ত ঘটনা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিজেকে কোনমতে সামলে নিয়ে সন্তানদ্বয়কে কম্বলের নিচে ঢেকে নিলেন। যাতে রাসুলুল্লাহর কষ্ট না হয়। খাওয়ার সময় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) উভয়কে ঢাকা শুরু করলে তারা যখন কোন সাড়া দিল না তখন রাসুলুল্লাহ স্বয়ং কম্বলের নিকট গিয়ে যখন বললেন, হে জাবেরের দুই সন্তান! তোমরা উঠে এসো। তৎক্ষণাৎ তারা উঠে এলো।


কোরান শরিফ : সরল বঙ্গানুবাদ (হার্ডকভার)

১৮. তারা বধির, বােবা, অন্ধ; সুতরাং তারা ফিরবে না।

১৯. বা, যেমন আকাশ থেকে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে, তার মধ্যে ঘাের অন্ধকার, বজ্রের গর্জন ও বিদ্যুতের ঝলকানি। বজ্রধ্বনি হলে মৃত্যুর ভয়ে তারা কানে আঙুল দেয়। আল্লাহ্ অবিশ্বাসীদেরকে ঘিরে রেখেছেন।

২০. বিদ্যুতের ঝলকানি তাদের দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়। যখনই বিদ্যুতের আলাে তাদের সম্মুখে উদ্ভাসিত হয় তখনই তারা পথ চলতে থাকে, আর যখন অন্ধকার ছেয়ে ফেলে তখন তারা থমকে দাঁড়ায়। আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তাদের শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি নিয়ে নিতে পারেন। আল্লাহ্ তাে সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। 

২১. হে মানুষ! তােমরা উপাসনা করাে তােমাদের সেই প্রতিপালকের যিনি তােমাদেরকে ও তােমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সষ্টি করেছেন, যাতে তােমরা আত্মরক্ষা করতে পার,

২২. যিনি পৃথিবীকে তােমাদের জন্য বিছানা ও আকাশকে ছাদ করেছেন, আর তােমাদের জীবিকার জন্য আকাশ থেকে পানি ঝরিয়ে ফলমূল উৎপাদন করেন। সুতরাং জেনেশুনে কাউকেও তােমরা আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় করিয়াে না।

২৩. আমি আমার দাসের প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি তাতে তােমাদের কোনাে সন্দেহ থাকলে তােমরা তার মতাে কোনাে সুরা আননা। আর তােমরা যদি সত্য বল, আল্লাহ্ ছাড়া তােমাদের সব সাক্ষীকে ডাকো।

২৪. যদি না কর, আর তা কখনও করতে পারবে না, তবে সেই আগুনকে ভয় করাে যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, অবিশ্বাসীদের জন্য যা প্রস্তুত রয়েছে। 

২৫. যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তাদেরকে সুখবর দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচে নদী বইবে। যখন তাদেরকে ফলমূল খেতে দেওয়া হবে তখন তারা বলবে, আমাদেরকে আগে যে-জীবনােপকরণ দেওয়া হত এ তাে তা-ই। তাদের অনুরূপ ফলই দেওয়া হবে ও সেখানে তাদের জন্য থাকবে, পবিত্র সঙ্গিনী আর তারা সেখানে থাকবে চিরকাল।

২৬. আল্লাহ্ মশা বা তার চেয়ে বড় কোনাে জিনিসের উদাহরণ দিতে বিব্রত বােধ করেন না। তাই যারা বিশ্বাস করে তারা জানে যে, এ-সত্য উপমা তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে এসেছে; কিন্তু যারা অবিশ্বাস করে তারা বলে, “আল্লাহ্ কী উদ্দেশ্যে এমন এক উপমা দিয়েছেন?' এ দিয়ে তিনি অনেককে বিভ্রান্ত করেন, আবার অনেককে সৎপথে পরিচালিত করেন। আসলে সত্যত্যাগীদেরকে ছাড়া আর কাউকেও তিনি বিভ্রান্ত করেন না।

২৭. যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করে, আল্লাহ্ যে-সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখতে আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে ও পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায়, তারাই তাে ক্ষতিগ্রস্ত।


রাহে বেলায়াত (হার্ডকভার)

সারা বিশ্বে ভন্ড বাবার উৎপাত বাড়ছে। সে হিসাবে আমাদের দেশেও এর একটা প্রভার বাড়ছে। সাধারন মুসলিম জনতা যাকে তাকে আল্লাহর অলিও মনে করেন। এদের প্রতারনার ফাদে পড়ে অনেকেই নিজের ঈমান হারিয়ে ফেলেন। এদের কেউ কেউ বাবা সেজে আবার টাকা কামাই করেন। আসলে সতিক্যার ওলি কে হবেন , তার পর পরিচয় কি ? অন্য দিকে যারা সহিহ হাদীসের আলোকে বিভিন্ন দোয়া -দুরুদ পালন করতে চান তাদের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী। বইটি সকলের পড়া দরকার।


কোরআন ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পর্দা (হার্ডকভার)

আরেক শ্রেণীর লােকের নিকট এটি একটি সমালােচনার বিষয়। তাদের ভাষায়, সেকেলের গােড়ামী চিরতরে বন্ধ হােক। এটি সকল প্রকার প্রগতি ও উন্নতির অন্তরায়, তাই একে সমাজের সর্বস্তর থেকে বাদ দিতে হবে। পর্দার দ্বারা মানুষের স্বহজাত ধর্মে আঘাত করা হয়, তাই তারা প্রকৃতির সন্তান হিসাবে বেঁচে থাকতে চান । যথেচ্ছা যৌনাচার, বিজ্ঞাপনে নারীর মাংসল দেহ প্রদর্শনী, সর্বত্র নারীকে ভােগের সামগ্রী বানিয়ে তাদের দ্বারা ফায়দা লুটতে চায়। পর্দার মূল কথা হচ্ছে, পর পুরুষের সামনে নারীদের রূপ লাবণ্য প্রকাশ না করা । এমনিভাবে পুরুষদের জন্যও পর্দা সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। পর্দার বহু অর্থ হতে পারে, কেবল বাহ্যিক পর্দাই যে সীমাবদ্ধ তা নয় বরং মনের পর্দাও একটি বিরাট স্থান দখল করে আছে। এমনিভাবে কথা, কাজ, বাচন ভঙ্গি, দৃষ্টি, আচার। আচরণ, মােটকথা সব কিছুতেই ক্ষেত্র বিশেষ পর্দার বিধান প্রযােজ্য। এমনিভাবে মুহরিমদের সাথে এক রকম পর্দা ও গায়রে মুহরিমদের সাথে আরেক রকম পদার বিধান রয়েছে। নিজের মাতা, স্ত্রী, বােন, ভাই, বন্ধু, পিতা, পরিচিত, অপরিচিত সর্ব ক্ষেত্রে পর্দা করার বিভিন্ন স্তর রয়েছে।


সূফী তত্ত্ব বা মারেফাতের গোপন বিধান

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য ,যিনি মানুষকে শুধু তাঁরই ইবাদত বন্দেগী করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর অসংখ্য দরূদ ও সালাম, যাঁর উসিলায় আমরা আমলের ইলিম পেয়েছি এবং যা্ দ্বারা পরকালে মুক্তি পেতে পারি। ইসলামের মহান আদর্শ আমাদের সম্মুখে থাকা সত্বেও আমরা অনেক কাজে ইসলাম বিরোধী লোকদেরকে অনুকরণ করতে শিখেছি। বিশেষ করে যারা পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে তাদের অনেকেই ইসলামের পথে আছেন তারা বাজারের বিভিন্ন রকম ভুল তথ্য যুক্ত বই পুস্তক পড়ে বিপদগামী হচ্ছেন। তাই সবদিক বিবেচনা করে, মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে আমি বিভিন্ন সহীহ কিতাব যেমন আর রুহ, শরীয়ত ও মারেফাত সম্পর্কিত মাওলানা আশ্রাফ আলী থানভী (রঃ) ও ইমাম গাজ্জালীল বিভিন্ন কেতাবের অংশ থেকে এ গ্রন্থটি সংকলন করেছি। এ কিতাব প্রণয়নে যারা কঠোর শ্রম ও কষ্ট স্বীকার করে বিভিন্ন প্রকারে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রত্যেককে তাঁর অশেষ রহমত মাগফিরাত দান করেন এবং খাতেমা বিল খায়ের নছীব করেন। আর তাঁর প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহব্বত দ্বারা তাদের ও আমাদের ক্ববরকে সিক্ত ও জিন্দা করে দেন। এ কেতাবখানা পাঠ করে মুসলিম সমাজ উপকৃত হলে আমার ও আমাদের শ্রম সার্থক হবে বলে আমি আশা রাখি।


ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান (হার্ডকভার)

মনে আছে তালেবানের হাতে বন্দী সেই খৃস্টান নারী সাংবাদিকের কথা? ২০০১ সালে আমেরিকার সন্ত্রাসবাদী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আফগানিস্তানে তালেবানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহৃত হয়েছিলেন এ নারী সাংবাদিক এবং পরবর্তীতে মুক্তি পেয়ে গ্রহণ করেছিলেন ইসলাম। শুধু তাই নয়, ইসলাম গ্রহণের পর তিনি হয়ে উঠেন ইসলামের একজন অকুতোভয় দায়ি। মনে আছে সেই সাহসী নারীর কথা? পুরো পশ্চিমাবিশ্বকে যিনি কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তার আত্মজীবনী বয়ান করে। তার নাম ইভন রিডলি। পশ্চিমাবিশ্বে যিনি এক বিস্ময়ের নাম! ‘ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান’ তারই আত্মজীবনী গ্রন্থ। যেখানে তিনি টুইন টাওয়ার হামলা থেকে শুরু করে সংবাদ সংগ্রহের জন্য তার আফগান যাত্রা, ওয়ার অন টেরর, তালেবানের হাতে বন্দী হওয়া, মুক্তি, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার চমকপ্রদ কাহিনি বর্ণনা করেছেন নিঃশঙ্কোচে। ইউরোপ ও আমেরিকায় ইসলাম নিয়ে যে ভীতি ও শঙ্কা দিন দিন ঘৃণার জন্ম দিচ্ছে, কীভাবে পশ্চিমারা ইসলাম ও মুসলিমদের দোষী সাব্যস্ত করে পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করছে, নির্দোষ মানুষকে কীভাবে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, মানবতার শত্রু বলে চিহ্নিত করছে- তার এক নির্মোহ বয়ান এ গ্রন্থ।


আল কুরআন এক মহাবিস্ময়

ভূমিকা

আল কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান : ডঃ মরিস বুকাইলি

আল কুরআনে ভ্রণতত্ত্ব : ডঃ কিথ এল. মূল 

আল কুরআন - এক মহাবিস্ময় : গ্যারি মিলার

পরিশিষ্ট : খোন্দকার রোকনুজ্জামান

বিস্ময়ের সেকাল

বিস্ময়ের একাল


ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)

সঠিক নিয়মে নামাজ পড়ার জন্য এটা একটা ভাল মানের বই । এই বইয়ে নামাজের যে দলিল দেওয়া হয়ছে তার হাদিস নাম্বার দেওয়া আছে । যে কেও ইচ্ছা করলে হাদিস নাম্বার মিলিয়ে দেখতে পারে । বইটি কোন একটি মাযহাবের জন্য না, বইটা সকলের জন্য । যদি সঠিক নিয়মে নামাজ পড়তে চান , তাহলে একবার হলেও বইটি পড়তে পারেন ।নামাজই প্রধান ইবাদত, তাই এই নামাজ সঠিক নিয়মে পড়া দরকার ।সঠিক নিয়ম না জানলে নামাজ কবুল হবে না। এই জীবনে নিজের জন্য কিছু কিনতেগেলে অনেক চিন্তা করি , যে কোনটা ভাল হবে ?


উল্টো নির্ণয় (পেপারব্যাক)

উল্টো নির্ণয় বই টা নাস্তিকদের কঠিন প্রশ্নের জবাবে কোরআনের আলোকে বিজ্ঞানের বিবর্তনে যৌক্তিক ব্যখ্যা দিয়ে ইশ্বর আছেন তার উপযুক্ত প্রমাণ দিয়েছেন। যারা শুধুমাত্র বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করে, আল্লাহ নেই এই অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়েছেন। তাদের যুক্তির উপর পাল্টা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, পৃথিবীর স্রষ্টা অবশ্যই কেউ আছে। এই বিশ্বজগৎ আপনা আপনি সৃষ্টি হয় নি। রহস্যময় মহাবিশ্বেরর সব রহস্যই যেখানে উৎঘাটন করতে পারেনি।


রাসূলের চোখে দুনিয়া (পেপারব্যাক)

আবু হুরায়রা (রদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনাে কোনাে খাবারের দোষ অন্বেষণ করতেন না: পছন্দ হলে খেতেন, নতুবা চুপ থাকতেন। [তুলনীয়: হাদীস নং ১১] এক ইয়াহূদির নিমন্ত্রণে নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাড়া দিয়েছিলেন [১৫] আনাস (রদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘এক ইয়াহুদি রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যবের রুটি ও বাসি গন্ধযুক্ত চর্বি খাওয়ার জন: ডাকলে তিনি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন।

দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাঁর নিকট কোনাে খেজুর ও পানি ছিল না। [১৬] কুররা ইবনু ইয়াস মুযানি (রদিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর ছেলেকে বলেন, ‘আমরা এক দীর্ঘসময় আমাদের নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে অতিক্রম করেছি, যখন আমাদের নিকট দুই কালাে খাবারের কোনােটিই ছিল না। তুমি কি জানাে, দুই কালাে খাবার কী? ছেলে জবাব দিলেন, না।' তিনি বললেন, ‘খেজুর ও পানি।

তিনি কখনাে পেটভরে গমের রুটি খাননি [১৭] আয়িশা (রদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, “হায় আফসােস! নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন; তিনি তাে পেটভরে গমের রুটি খাননি!

 

[৩৬]


নবীদের কাহিনী (১-৩ খণ্ড)

আশরাফুল মাখলূক্বাত মানবজাতির কল্যাণে প্রেরিত বিধান সমূহ প্রচার ও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে আদম (আঃ) থেকে মুহাম্মদ (ছাঃ) পর্যন্ত যুগে যুগে যে অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে মাত্র পঁচিশজন নবীর নাম আল্লাহ পবিত্র কুরআনে গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেছেন এবং সত্যের পথে তাঁদের দৃঢ়চিত্ত সংগ্রামের হৃদয়গ্রাহী কাহিনী বর্ণনা করে মানবতার সামনে সত্য, ন্যায় ও সুন্দরের অনুপম মানদণ্ড উপস্থাপন করেছেন। এসব কাহিনী কেবল চিত্তবিনোদনের খোরাক নয় বরং এক অবিরাম বিচ্ছুরিত আলোকধারা, যার প্রতিটি কণায় বিকশিত হয় মানবতার সর্বোচ্চ নমুনা। নবী ও রাসূলগণের জীবনালেখ্য জানা ও তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বাংলা ভাষায় এ সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস খুবই দুর্লভ। তাই বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে মাননীয় লেখক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব বগুড়া জেলা কারাগারে অবস্থানকালে পবিত্র কুরআনের তাফসীর ও মিশকাতুল মাছাবীহের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা রচনার ফাঁকে ফাঁকে এই মূল্যবান পাণ্ডুলিপিটি সমাপ্ত করেন। মুহতারাম লেখক এই ইতিহাস রচনায় কেবল বিশুদ্ধ সূত্রগুলোরউপর নির্ভর করেছেন এবং যাবতীয় ইসরাঈলী বর্ণনা ও সমাজে প্রচলিত নানা উপকথা ও ভিত্তিহীন কেচ্ছা-কাহিনী থেকে সর্বতোভাবে মুক্ত থাকার চেষ্টা করেছেন। তাঁর সবচেয়ে মূল্যবান সংযোজন হ’ল আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনী থেকে বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ পাঠকের সামনে তুলে ধরা। মার্চ’১০-যে ১৩জন নবীর জীবনী নিয়ে ১ম খণ্ডের ‘প্রথম সংস্করণ’ বের হবার পর কয়েক মাসের মধ্যে সব কপি শেষ হয়ে যায়। এবারে ২য় সংস্করণে কিছু সংযুক্তি ও বিযুক্তি ছাড়াও বইয়ের শেষে ‘প্রশ্নমালা’ সংযোজন করা হয়েছে, যা ব্যস্ত পাঠক ও শিক্ষক-ছাত্রদের জন্য সহায়ক হবে। বাকী ১১ জন নবীর জীবনী নিয়ে ২য় খন্ড এবং শেষনবী মুহাম্মদ (ছাঃ)-এর জীবনী নিয়ে ৩য় খণ্ড সত্বর বের হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা দৃঢ় আশাবাদী যে, এর মাধ্যমে পাঠকসমাজ মানবজাতির প্রাচীন ইতিহাসের পাদপীঠে নিজেদেরকে নতুনভাবে মূল্যায়ন করতে সক্ষম হবেন এবং নবীগণের উন্নত জীবনকে উত্তম আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করার প্রেরণা লাভ করবেন।