Note : All deposit is refundable
১৮. তারা বধির, বােবা, অন্ধ; সুতরাং তারা ফিরবে না।
১৯. বা, যেমন আকাশ থেকে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে, তার মধ্যে ঘাের অন্ধকার, বজ্রের গর্জন ও বিদ্যুতের ঝলকানি। বজ্রধ্বনি হলে মৃত্যুর ভয়ে তারা কানে আঙুল দেয়। আল্লাহ্ অবিশ্বাসীদেরকে ঘিরে রেখেছেন।
২০. বিদ্যুতের ঝলকানি তাদের দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়। যখনই বিদ্যুতের আলাে তাদের সম্মুখে উদ্ভাসিত হয় তখনই তারা পথ চলতে থাকে, আর যখন অন্ধকার ছেয়ে ফেলে তখন তারা থমকে দাঁড়ায়। আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তাদের শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি নিয়ে নিতে পারেন। আল্লাহ্ তাে সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
২১. হে মানুষ! তােমরা উপাসনা করাে তােমাদের সেই প্রতিপালকের যিনি তােমাদেরকে ও তােমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সষ্টি করেছেন, যাতে তােমরা আত্মরক্ষা করতে পার,
২২. যিনি পৃথিবীকে তােমাদের জন্য বিছানা ও আকাশকে ছাদ করেছেন, আর তােমাদের জীবিকার জন্য আকাশ থেকে পানি ঝরিয়ে ফলমূল উৎপাদন করেন। সুতরাং জেনেশুনে কাউকেও তােমরা আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় করিয়াে না।
২৩. আমি আমার দাসের প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি তাতে তােমাদের কোনাে সন্দেহ থাকলে তােমরা তার মতাে কোনাে সুরা আননা। আর তােমরা যদি সত্য বল, আল্লাহ্ ছাড়া তােমাদের সব সাক্ষীকে ডাকো।
২৪. যদি না কর, আর তা কখনও করতে পারবে না, তবে সেই আগুনকে ভয় করাে যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, অবিশ্বাসীদের জন্য যা প্রস্তুত রয়েছে।
২৫. যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তাদেরকে সুখবর দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচে নদী বইবে। যখন তাদেরকে ফলমূল খেতে দেওয়া হবে তখন তারা বলবে, আমাদেরকে আগে যে-জীবনােপকরণ দেওয়া হত এ তাে তা-ই। তাদের অনুরূপ ফলই দেওয়া হবে ও সেখানে তাদের জন্য থাকবে, পবিত্র সঙ্গিনী আর তারা সেখানে থাকবে চিরকাল।
২৬. আল্লাহ্ মশা বা তার চেয়ে বড় কোনাে জিনিসের উদাহরণ দিতে বিব্রত বােধ করেন না। তাই যারা বিশ্বাস করে তারা জানে যে, এ-সত্য উপমা তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে এসেছে; কিন্তু যারা অবিশ্বাস করে তারা বলে, “আল্লাহ্ কী উদ্দেশ্যে এমন এক উপমা দিয়েছেন?' এ দিয়ে তিনি অনেককে বিভ্রান্ত করেন, আবার অনেককে সৎপথে পরিচালিত করেন। আসলে সত্যত্যাগীদেরকে ছাড়া আর কাউকেও তিনি বিভ্রান্ত করেন না।
২৭. যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করে, আল্লাহ্ যে-সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখতে আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে ও পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায়, তারাই তাে ক্ষতিগ্রস্ত।
বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান (৩ ডিসেম্বর ১৯২৮ - ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ) বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তথা দেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একাধারে গবেষক, লেখক, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ, ভাষা সৈনিক, অভিধানপ্রণেতা। ১৯৪৯ হতে ৫২ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।