আমাদের প্রিয় নবীর
জন্ম দিন ।
হযরত মুহাম্মদ (সা.)
আমাদের নবী। তিনিই শেষ নবী
তিনিই সেরা নবী ! এই নবীই মানুষকে।
দেখালেন শান্তির পথ।
দেখালেন ভাল হওয়ার পথ। তাই নবী দিবসে দিকে দিকে আজ
আলােচনা সভা। আমরা এক সভায় রওয়ানা হলাম।
চেয়ে দেখি।
তারেক আসছে। তারেক বলল
আস্সালামু আলাইকুম। আমরা বললাম :
ওয়া আলাইকুমুস্ সালাম।
খােরাসান রাজ্যের এক বাদশাহ সুলতান মাহমুদ ইবনে সবুক্তগীনকে স্বপ্নে দেখলেন, তার সারা শরীর পঁচে গলে মাটির সাথে মিশে গেছে। কিন্তু শুধু চোখ দুটি কোটরের মধ্যে ঘুরছে এবং তিনি চার দিকে দেখছেন। এ স্বপ্নের তাবির করার জন্য অনেক আলেমকে আহ্বান করা হল। সকল আলেমরা তার স্বপ্নের তাবির বর্ণনা করতে অপারগ প্রকাশ করলেন। কিন্তু। একজন দরবেশ সেখানে গিয়ে উপস্থিত হলেন এবং উক্ত স্বপ্নের তাবির বলে দিলেন, সুলতান মাহমুদ কবরে বসে এখন পর্যন্ত দেখছেন, তাঁর রাজ্য অন্যের হাতে চালিত হচ্ছে।
তাই এ বিশ্বচরাচরে আল্লাহ্র অমােঘ বিধানে একটি নর ও একটি নারীর পবিত্র মিলনের দ্বারা অন্য একটি জীবন সৃষ্টি হয়ে আসছে। এ নিয়মটি সর্বজনবিদিত। এ নিয়মের এখন পর্যন্ত কোন ব্যতিক্রম হয়নি। এ নিয়মের মাধ্যমে আল্লাহ্ তা'আলা শুধু মানুষ সৃষ্টি করেন নি, পৃথিবীর অন্যান্য জীবও ঠিক এ নিয়মেই জন্ম গ্রহণ করে আসছে। এটাই আল্লাহর কুদরতী বিধানের এক স্বাভাবিক নিয়ম। এ ধারাবাহিকতার বাইরে অন্য কোন অবস্থায় জন্ম লাভ তাে দূরের কথা, এমন কোন অবাস্তব কাহিনী বা ঘটনা ঘটেনি যে, কোন স্ত্রী জীব। কোন পুরুষ জীবের যৌন মিলন ব্যতীত কখনাে গর্ভধারণ করেছে। যদিও বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানের আবিস্কার টেষ্টটিউব এর মাধ্যমে যৌন মিলন ব্যতীত মানব বা প্রাণী জন্মদান সম্ভব তবু এক্ষেত্রে পুরুষ বীর্যের প্রয়ােজন। যা ইনজেকশনের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করাতে হয়। আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টিতে এ ধরনের জন্মদান নিষিদ্ধ ঘােষণা করা হয়েছে। তাই ইসলামী চিন্তাবিদগণ এ জন্মদানকে জারজ সন্তান নামে অভিহিত করেছেন। ইসলামের বিধি-বিধান না জানার কারণে অনেক নিঃসন্তান মহিলাই এ ধরনের গর্হিত কাজে লিপ্ত হতে দেখা যায়। এ অশুভ তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য ইসলাম কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। এক্ষেত্রে, মানুষের এ চিরন্তন রীতির এমনই এক ধারণা আর সুদৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে যে, কোন পুলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গের যৌন মিলন ব্যতীত কোন নতুন প্রাণের জন্ম লাভ সম্ভব নয়। মােটকথা জীব সৃষ্টির জন্য স্ত্রী-পুরুষের যৌনমিলন প্রয়ােজন। এটাই আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন। মানুষ যখন এ বাস্তবধর্মী রীতির প্রতি সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপনে আস্থাশীল হয়, ঠিক তখনই বিশ্ব-স্রষ্টা পৃথিবীতে মানব-সন্তান জন্মের বিস্ময়কর এক অদ্ভুত ঘটনা স্থাপন করে নিজ মহিমার নিদর্শন উপস্থাপন করেছেন।