সামান্য কারণেই গ্রামে একটা বিপর্যয় ঘটিয়া গেল। এখানকার কামার অনিরুদ্ধ কর্মকার ও ছুতার গিরিশি সূত্রধর নদীর ওপারে বাজারে-শহরটায় গিয়া একটা করিয়া দোকান দিয়াছে। খুব ভােরে উঠিয়া যায় ফেরে রাত্রি দশটায় ; ফলে গ্রামের লােকের অসুবিধার আর শেষ নাই। এবার চাষের সময় কি নাকালটাই যে তাদের হইতে। হইয়াছে, সে তাহারাই জানে। লাঙলের ফাল পাঁজানাে, গাড়ির হাল বাঁধার জন্য চাষীদের। অসুবিধার অন্ত ছিল না। গিরিশ ছুতারের বাড়িতে গ্রামের লােকের বাবলা কাঠের গুড়ি
আজও তূপীকৃত হইয়া পড়িয়া আছে সেই গত বৎসরের ফাল্গুন-চৈত্র হইতে; কিন্তু আজও তাহারা নূতন লাঙল পাইল না।