Note : All deposit is refundable
২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে আমি প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ি। ধার করে, জমি বিক্রি করে চাকরির জন্য ঘুষ দিয়েছিলাম ১২ লক্ষ টাকা। চাকরিও হয়নি, টাকাও ফেরত পাইনি। আবার আমার বেতনের চেক দিয়েও ধার নিয়েছিলাম দুই লক্ষ টাকা। বেতন পেতাম মাসে ১২ হাজার। এর মধ্যে সুদই দিয়ে গেছি মাসে ১০ হাজার করে। ছয় বছর পর্যন্ত শুধু সুদই দিয়ে গেছি। পাওনাদাররা আমার বিরুদ্ধে মামলা করে। আমার পারিবারিক এবং শিক্ষকতা জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলে।
অনলাইনে অনেক ফাপড়বাজ মানুষের সাথেও পরিচয় হয় যারা ভাব নেয় অনেক কিছু পারে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই পারে না তবে ডিমোটিভেট করার জন্য প্রস্তুত। এসব মানুষ আরো বেশি হতাশ করে দিত। তখন থেকেই বেছে বেছে ডিমোটিভেট মানুষদের কাছ থেকে দুরে সরতে থাকি। এটাও বলতে গেলে কাজেরই একটা অংশ।
মো. আমিনুর রহমান। লেখাপড়া করেছেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বর্ষে পড়ার সময় থেকেই প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে লেখালেখি শুরু করেন, চলছে এখনো। তৃতীয়বর্ষে পড়ার সময় ডাক্তারদের জন্য তৈরি করেন ডক্টর প্রেসক্রিপশন নামের একটি সফ্টওয়্যার। সেটি নিয়ে ১৮-০৭-২০০৮ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে এবং ২১-০৭-২০০৮ তারিখ দৈনিক ইনকিলাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কয়েকজন ডাক্তার এখনো এই সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করছেন। চতুর্থবর্ষে পড়ার সময় তৈরি করেন এসএমএসে টিকেট কাটার সফ্টওয়্যার। ২৩-১০-২০০৯ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে সেটি নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার মাস ছয়েক পর মোবাইল কোম্পানিগুলো এই ধরনের একটি সফ্টওয়্যার তৈরি করে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য ব্যবহার করেন। অনেকটা শখের বসেই লেখালেখি করেন। পেশায় তিনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ভালোবাসেন বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে, সমরেশ মজুমদার এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই পড়তে, সিনেমা দেখতে, আনিসুল হকের লেখা নাটক দেখতে এবং মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা কলাম পড়তে।