Note : All deposit is refundable
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির আবেদন বহুমাত্রিক। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি আত্মজৈবনিক বই হয়ে থাকেনি, হয়ে উঠেছে ১৯৩৯ থেকে ১৯৫৪-৫৫ সাল পর্যন্ত উপমহাদেশের বিশেষত পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের অনবদ্য, নিরপেক্ষ, নির্মোহ দলিল; একজন হৃদয়বান নেতার এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলোকে গভীরভাবে অনুধাবন করে সেসব সমাধানের সংগ্রামের অসাধারণ আখ্যান; টুঙ্গিপাড়া গ্রামের এক দুরন্ত কিশোরের সারা বাংলার মানুষের প্রতিনিধি হয়ে ওঠার এক অন্তরঙ্গ গল্প। বইটির ভাষারীতি অত্যন্ত সহজ, সুন্দর এবং সাবলীল, অনেকটাই শেখ মুজিবুর রহমানের মুখের ভাষার কাছাকাছি। অসাধারণ চড়াই-উৎরাইয়ে ভরা লেখকের জীবনের গল্প যে কোন রোমাঞ্চ উপন্যাসকেও হার মানায়। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির পরিক্রমা মূলত দুইটি প্রধান কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত। ধারা দুটো হল লেখকের রাজনৈতিক জীবন এবং লেখকের ব্যক্তিগত জীবন। বইটির আঙ্গিক, ধরন এবং বই সংশ্লিষ্ট বিতর্ক সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক আলোচনার পূর্বে বিষয়বস্তুর এই দুই অলিন্দ – লেখকের রাজনৈতিক জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির সাথে প্রথম প্রত্যক্ষ সংস্রব ঘটে ১৯৩৮ সালে । যদিও তখনও তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় নি। সে বারে তৎকালীন বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এবং শ্রমমন্ত্রী শহীদ সাহেব গোপালগঞ্জে এসেছিলেন একটি সভা উপলক্ষে। সেখানেই প্রথম মিশন স্কুলে শহীদ সাহেবের সাথে শেখ মুজিবুর রহমানের কথা হয়। পরবর্তীতে এই পরিচয়ের সূত্র ধরে লেখক শহীদ সাহেবকে নিয়মিত চিঠি লেখা শুরু করেন এবং ১৯৩৯ সালে কলকাতায় বেড়াতে গিয়ে শহীদ সাহেবের সাথে দেখা করেন। এবং সেখান থেকে ফিরে এসেই গোপালগঞ্জে মুসলিম ছাত্র লীগ গঠন করেন এবং তিনি তাঁর সম্পাদক হন। এভাবেই শুরু হয় লেখকের রাজনৈতিক জীবন। লেখকের রাজনৈতিক জীবনের বিস্তৃত বর্ণনা এই আলোচনায় বাহুল্য। তবে রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে দুর্ভিক্ষ এবং তারপর বিহার ও কলকাতার দাঙ্গায় লেখকের সক্রিয় ভূমিকার কথা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য
আরিফ আজাদ। জন্মেছেন চট্টগ্রাম। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট। লিখেন বিশ্বাসের কথা। বিচূর্ণ করেন অবিশ্বাসের আয়না। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭ -এ তার প্রথম গ্রন্থ ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ)