Note : All deposit is refundable
চাঁদের পাহার- এই অসাধারন বইটি একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠা কঠিন।চমৎকার ভাষার প্রয়োগ,সুস্পষ্ট ভাবে পরিপার্শ্বিকের বর্ণনা,আনন্দ-বেদনার সংমিশ্রনে বইটি বাংলা সাহিত্যের সেরা অ্যাডভাঞ্চার বইয়ে পরিনত করেছে।অ্যাড ভাঞ্চার প্রিয় মানুষদের আবেগ যথাযত ভাবেই উপলদ্ধি করেছেন লেখক। অ্যাডভাঞ্চারে যাদের অনীহা,তাঁদেরও মনে অ্যাডভাঞ্চারের প্রবল ইচ্ছা জাগাবে এতি।আফ্রিকার গহিন অরন্য,ভয়ঙ্কর সব প্রাণী,বিশাল মরু,ভবঘুরে মানুষদের বিপদের নেশায় ঘুরে বেরানো ,সবি যেন চোখের সামনে ভেসে উঠে।মনে সৃষ্টি করে সত্যিকারের আনন্দ।
( Bibhutibhushan Bandyopadhyay ,জন্ম ইংরেজি -১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বাংলা ১৩০১ সনের ২৮শে ভাদ্র) তার মামার বাড়ি কঁচরাপাড়ার কাছাকাছি মুরাতিপুর গ্রামে। পিতা মহানন্দ। মাতা মৃণালিনী দেবী। পৈতৃক নিবাস যশোহর জেলার বনগ্রাম মহকুমায় ইছামতী নদীতীরবতী বারাকপুর গ্রামে। শিক্ষণ স্বগ্রাম ও অন্য গ্রামের পাঠশালায়। পরে বনগ্রাম উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে। ১৯১৪ খ্রি. ম্যাট্রিক, ১৯১৬-তে আই.এ. এবং ১৯১৮ খ্রি. ডিস্টিংশনে বি.এ. পাশ করে এম.এ. এবং ল্য-ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু পড়া অসমাপ্ত রেখে প্রথমে জাঙ্গীপাড়ার স্কুলে ও পরে সোনারপুর হরিনাভি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। মাঝে কিছুদিন গোরক্ষিণী সভার প্রচারক, পরে খেলাৎ ঘোষের বাড়িতে সেক্রেটারি, গৃহশিক্ষক এবং এস্টেটের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার-রূপে কাজ করলেও আমৃত্যু শিক্ষকতা করেন। কলেজে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রাবস্থায় প্রথম বিবাহ। এক বছরের মধ্যে পত্নী গৌরীদেবীর মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন প্রায়-ভবঘুরের জীবনযাপন। দ্বিতীয় বিবাহ রামাদেবীর সঙ্গে ১৯৪০ সালে। একুশ বছরের দিনলিপি, ছোটোগল্প, ভ্ৰমণকাহিনি এবং কিশোর-সাহিত্য রচনা করেন। তার লেখা “দৃষ্টিপ্ৰদীপ’, ‘আরণ্যক’, ‘ইছামতী’, ‘কিন্নরদল, প্রভৃতি। ১৯৩০ সাল থেকে ঘাটশিলা-গালুডি অঞ্চলের প্রতি আকর্ষণ-ওখানেই বাড়ি কেনেন। স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র রেখে ১৯৫০ সালের ১ নভেম্বর ঘাটশিলায় প্রয়াত হন।