ব্যাঙের বিশ্বদর্শন এই বইটি একটি কাল্পনিকগল্পচিত্র। এটি শিশু কিশোরদের জন্য রচিত। এখানে রম্যভাবে একটি হাস ও ব্যাঙ এর কল্পচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যা শিশু কিশোর দৃষ্টি আর্কষন করবে। নিচে গল্পের কিছুটা তুলে ধরা হল। হঠাৎ মাথার ওপর অনেক উঁচুতে হালকা, কাটা-কাটা শিস টানার একটা আওয়াজ কানে এল ব্যাঙের। আকাশে তখন একঝাঁক হাঁস উড়ে যাচ্ছিল, আর তাদের ডানার ঘায়ে বাতাস কেটে যাওয়ার সময় অমন একটা গানের, কিংবা বলা যায় শিস দেয়ার আওয়াজ উঠছিল। হাঁসেরা সাধারণত আকাশের এত ওপর দিয়ে ওড়ে যে খালিচোখে তাদের প্রায় দেখাই যায় না, কেবল ওই শিসের শব্দ শুনে বোঝা যায় যে হাঁসের ঝাঁক উড়ে যাচ্ছে। ওইদিন অবিশ্যি হাঁসের ঝাঁকটা নিচে নেমে এসেছিল আর শূন্যে প্রকাণ্ড একটা অর্ধবৃত্তের আকারে একচক্কর ঘুরপাক খেয়ে ঝাঁকটা এসে নামল ঠিক ওই জলার জলেই যেখানে ছিল ব্যাঙের বাসা। ঝাঁকের একটা হাঁস হেঁকে বললে, ‘প্যাঁক-প্যাঁক! আমাদের এখনও বহু দূর পাড়ি দিতে হবে হে। এস, এখানে বরং কিছুমিছু খেয়ে নেয়া যাক।’ কথাটা শুনেই ব্যাঙ তাড়াতাড়ি ঝুপ করে জলে পড়ে লুকোল। সে অবিশ্যি জানত যে হাঁসেরা তার মতো প্রকাণ্ড আর মোটাসোটা কোলা ব্যাঙকে খাবে না, তবু সাবধানের মার নেই ভেবে সে ডুব দিল খোঁটার নিচে।