Note : All deposit is refundable
তারপরই ডোর-বেল বাজল ৷ কর্নেল যথারীতি হাঁক দিলেন,-ষষ্ঠী ! একটু পরে একজন বেঁটে নাদূস-নূদুস গড়নের মধ্যবয়সী ভদ্রলােক ঘরে ঢুকে বললেন,-নমস্কার কর্নেলসায়েব ! আমি ঘনশ্যাম মজুমদার ৷ কাল কপালীগড় থেকে আপনাকে টেলিফোন করেছিলুম ৷ কর্নেল বললেন,-বলুন ঘনশ্যামবাবু ৷ আলাপ করিয়ে দিই । ইনি পাইভেট ডিটেকঢিভ মিঃ ক কে হালদার ৷ রিটায়ার্ড পুলিশ ইন্সপেক্টর ৷ গণেশ অ্যাভেনিউতে এঁর ডিটেকটিভ এজেন্সি আছে ৷ আর'-'জয়ন্ত চৌধুরি ৷ দৈনিক সত্যসেবক পত্রিকার সুখ্যাত ক্রাইম-রিপোর্টার ৷ ঘনশ্যামবাবূ আমাদের নমস্কার করে বললেন,-আমার পরিচয় দেবার মতো কিছু নেই । কপালীগড় রাজবাড়ির কেয়ারটেকার।
খ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ মুর্শিদাবাদ খোশবাসপুর গ্রামে ১৯৩০ সালে অক্টোবর মাসে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম জীবনে বাড়ি থেকে পলাতক কিশোরের জীবন অতিবাহিত করেছেন। রাঢ় বাংলার লোকনাট্য "আলকাপের" সঙ্গে যুক্ত হয়ে নাচ-গান-অভিনয়ে অংশ নিয়ে জেলায় জেলায় ঘুরেছেন৷ তিনি ছিলেন 'আলকাপ' দলের "ওস্তাদ" (গুরু)। নাচ-গানের প্রশিক্ষক। নিজে আলকাপের আসরে বসে হ্যাসাগে (পোট্রোম্যাক্স) র আলোয় দর্শকের সামনে বাঁশের বাঁশি বাজাতেন। নিজের দল নিয়ে ঘুরেছেন সারা পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, এমনকি বিহার-ঝাড়খন্ডেও। তাই পরবর্তী জীবনে কলকাতায় বাস করলেও নিজেকে কলকাতায় প্রবাসী ভাবতেই ভালোবাসতেন। সুযোগ পেলেই বার বার মুর্শিদাবাদের গ্রামে পালিয়ে যেতেন। সেই পলাতক কিশোর তাঁর চরিত্রের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। ঘুরতেন সেই রাখাল বালকের মাঠে, হিজলের বিলে, ঘাসবন ও উলুখড়ের জঙ্গলে, পাখির ঠোঁটে খড়কুটো আর হট্টিটির নীলাভ ডিম -সেই মায়াময় আদিম স্যাঁতসেতে জগতে।