Note : All deposit is refundable
জন্মদিনের শুরুটা হল খুব সুন্দর। ভোরবেলা থেকে সবাই টেলিফোন করছে-হ্যাপি বার্থডে সুমি। শুভ জন্মদিন সুমি। জন্মদিনের শুভেচ্ছা নাও সুমি।
একেবার টেলিফোন আসে আর কী যে ভালো লাগে সুমির! বিকেল থেকেই খালা এবং ফুপুরা আসতে শুরু করলেন। বাড়ি ভর্তি হয়ে গেল মানুষে। কেক কাটা হলো। জন্মদিনের গান গাওয়া গলো। তারপর শুরু হলো জন্মদিনের উপহারের প্যাকেট খোলার পালা।
সুমির বাবা সুন্দর কাগজে মোড়া একটা প্যাকেট দিয়ে বললেন, ‘তোমার হলুদ পরী বাজারে কোথাও খুঁজে পাইনি, তার বদলে নিয়ে এসেছি রিমোট কনট্রোল মোটর কার’।
সুমি বলল, ‘আমি তো সত্যিকারের পরী চেয়েছি।’
‘সত্যিকারের পরী মানে?’
‘যে পরী আকাশে উড়তে পারে। কথা বলতে পারে। গান গাইতে পারে। নাচতে পারে।’
হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও হুমায়ূন আহমেদ সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলি চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি।