Note : All deposit is refundable
পাকিস্তান ভাংগিয়া দুই দুই টুকরা হইয়াছে। পূর্বাঞ্চল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রে উন্নীত হইয়াছে। স্বাধীন বাংলাদেশ আজ বাস্তব সত্য। এই রুপেই সে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করিয়াছে। গনতন্ত্রী আধুনিক রাষ্ট হিসাবে গণ-প্রজান্ত্রী বাংলাদেশ যে বিশ্বের দরবারে তার যথাযোগ্য মর্যদারে সাথে স্থান দখল করিবে , সে সম্বন্ধে কারও মনে দ্বিধা সন্দেহের অবকাশ নাই।
তিনি ময়মনসিংহে জেলার ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা গ্রামে ১৮৯৮ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতার নাম মীর জাহান খাতুন, পিতার নাম আব্দুর রহিম ফরাযী। তিনি ১৯১৭ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা পাশ করেন এবং ১৯১৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। তিনি কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পাশ করেন। এই সময়টা ছিল খিলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের। তিনি ৯ বছর ময়মনসিংহে আইন বিভাগে পাশ করেন। তারপর কলকাতায় পেশাদার সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেন। তিনি বিশিষ্ট আইনজীবীও ছিলেন। তিনি সাংবাদিক হিসেবে নানান সংবাদপত্রে কাজ করেছেন, যেমন : ইত্তেহাদ, সুলতান, মোহাম্মদী, নাভায়ু আবুল মনসুর আহমেদ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কংগ্রেস আন্দোলনসমূহের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পরে তিনি বাংলার মুসলীম লীগের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং ১৯৪০ সাল থেকে পাকিস্তানের আন্দোলনসমূহের সাথে যুক্ত হন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তিনি ত্রিশাল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নেতৃত্বে প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী হন আবুল মনসুর আহমেদ একজন শক্তিমান লেখক ছিলেন। তিনি ব্যঙ্গাত্মক রচনায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। আয়না ও ফুড কনফারেন্স গল্পগ্রন্থদ্বয়ে তিনি মুসলিম সমাজের গোঁড়ামি, ধর্মান্ধতা, ভণ্ডামিসহ নানা কুসংস্কারের ব্যঙ্গ করেছেন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে।