একজন মানুষ কিংবা যেকোন প্রাণীর সবচেয়ে কাছের জন কে? কে সেই জন যে তাকে আগলে রাখে মায়া মমতায়? অবশ্যই মা। কিন্তু এই মা-ই যখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে যায় তখন তার চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে? “আমি তপু” মুহাম্মদ জাফর ইকবালের এক অনন্য কিশোর উপন্যাস। এই উপন্যাসে লেখক মানুষের এমন বয়সের এমন এক পরিস্থিতির করেছেন যেই বয়সে যেই পরিস্থিতিতে আমরা কেউ পড়লে কি ঘটবে আমাদের জীবনে তা এই বই পড়লে সহজেই উপলব্ধি করা যায়। খুব কাঠখোট্টা শব্দ বা বাক্য বা ঘটনা নেই, খুবই সাদাসিধে কাহিনী,নেই সেই রকম নীতিবাক্য, নেই মাথা এলোমেলো করে দেওয়া বাক্যরীতি, তাই পড়তে গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। ১৩ বছর বয়সের এক কিশোর তপু। পুরো নাম আরিফুল ইসলাম তপু। বি.কে. সরকারি হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। তিন বছর আগে যখন তপু এক রোড এক্সিডেন্টে তার বাবাকে হারায় ঠিক তখন থেকে দুই ভাই এক বোনের সুখী সংসারটা তছনছ হয়ে। তাকে নিয়ে তার জন্য ব্যাট কিনতে যেয়ে মারা যাওয়ায় তপুর মার একটা বদ্ধমূল ধারণা হয় যে তপুর জন্যই তপুর বাবা মারা গিয়েছেন।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্মঃ ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃত হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান।