তাই কথা বলতাম খুব কম কাজ করতাম আরো কম।" এই যে প্রথমেই তাঁর বোকা- বোকা সরল উক্তি এই বোকা ভাবের কারণেই তিনি স্কুলজীবনের পুরোটা সময়ই কখনো দুষ্টুমি করে পাড় পেয়ে গেছেন কখনো বোকা ভাবের কারণে বড় বিপদের হাত থেকেও বেঁচে গেছেন। স্যারের বাবার পুলিশে চাকরির সুবাদে তাকে নানা সময়ে নানা স্কুলে পড়াশোনা করতে হয়েছে। যার শুরুটা হয়েছিল সিলেটের প্রাইমারী স্কুলে আর শেষ বগুড়ার জিলা স্কুলে। বাঙালী সমাজে যেহেতু পরিবারগুলোতে কাজের লোক রাখার চল থাকে তাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সেই পরিবারের ছেলে- মেয়েরা বাবা- মায়ের কাছে গৎবাঁধা শিক্ষার বাইরে আজব বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে বাড়ীর সেই কাজের ছেলে/ মেয়েটার কাছে। তখন সেই কাজের মানুষটাই হয়ে উঠে তাদের প্রথম শিক্ষক বাবা- মায়ের বাইরে। জাফর স্যারেরও প্রথম শিক্ষক ছিল তাদের বাসার কাজের ছেলে রফিক। যার থেকে তিনি শিখেছিলেন মাকড়শার পেট থেকে সুতা বের করা, রক্তচোষা দেখলে কিভাবে তারা রক্ত টানতে না পাড়ে। মোটকথা স্কুলে ভর্তির আগেই শিশুসুলভ দুষ্টুমির কিছুটা শিক্ষা রফিকের মাধ্যমে তাঁর হয়েছিল।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্মঃ ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃত হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান।