Note : All deposit is refundable
সুপ্রাচীন মহাকাব্য মহাভারতে এবং পুরাণে ত্রিপুরা নামটির উল্লেখ পাওয়া যায়। এরপর ১৪শ শতকে রচিত রাজমালাতেও ত্রিপুরার উল্লেখ পাওয়া গেছে। এটি ছিল ত্রিপুরার মাণিক্য রাজবংশের কাহিনী। মাণিক্য রাজবংশ ১৯৪৭ সালে ত্রিপুরা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পূর্বাবধি অঞ্চলটি ধারাবাহিকভাবে শাসন করে। কথিত আছে প্রায় ২৫০০ বছর ধরে ১৮৬জন রাজা এই অঞ্চলটি শাসন করেছেন। ভারতে ব্রিটিশ শাসনকালে ত্রিপুরা ছিল একটি স্বাধীন করদ রাজ্য। দক্ষিণ ত্রিপুরায় অবস্থিত উদয়পুর ছিল ভূতপূর্ব স্বাধীন রাজতান্ত্রিক ত্রিপুরার রাজধানী। খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতকে মহারাজ কৃষ্ণ মাণিক্য পুরাতন আগরতলায় রাজধানী স্থানান্তরিত করেন এবং পরবর্তীকালে খ্রিস্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে রাজধানী অধুনা আগরতলায় স্থানান্তরিত হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীকে ত্রিপুরার আধুনিক যুগের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে কারণ এই সময় মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুর দেববর্মা ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার অনুকরণে তাঁর প্রশাসনকে পুনর্গঠিত করেন এবং বিভিন্ন সংস্কার সাধন করেন।
শোভা রানী ত্রিপুরা পেশায় শিক্ষক। তিনি সারাজীবন জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন। শিক্ষক হলেও সংস্কৃতিচর্চা আর লেখালেখিতে থাকেন ব্যস্ত। পাহাড়ি জীবনযাত্রা ছাড়াও শোভা ত্রিপুরা গল্প, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনি লিখেন। ছোটকাল থেকে সাহিত্যচর্চাই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। বিশেষত কথাসাহিত্য আর লোকসাহিত্যের প্রতি বিশেষ দুর্বলতা তাঁর। শোভা ত্রিপুরার সাহিত্যকর্মের বেশি অংশজুড়ে নিজস্ব জাতি-ধর্ম, সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা ও ইতিহাস জায়গা পেয়েছে .