Note : All deposit is refundable
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি, দর্শন, কর্মময় জীবন, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড এবং সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে প্রচুর গবেষণালব্ধ গ্রন্থ এবং বিশ্লেষণমূলক গ্রন্থ রচিত হয়েছে। তাঁর বাহ্যিক জীবন বইয়ের পাতায় যতোটা উঠে এসেছে, ব্যক্তিগত জীবন ততোটা উঠে আসে নি। হয়তো, নেতা মুজিব ব্যক্তি মুজিবকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন বলেই। ব্যক্তি মুজিবকে বইয়ের পাতায় তুলে আনার প্রচেষ্টা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা গেলেও তা যথেষ্ট নয়। তদুপরি তাঁর সংস্পর্শে আসা বেশিরভাগ মানুষই বেঁচে নেই, যে কারণে ভবিষ্যতে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ভুল চিত্রায়নের আশংকা থেকেই যায়। শেখ মুজিবের সংস্পর্শে আসা এবং তাঁকে অনেকদিন ধরে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য অর্জনকারী সাংবাদিক এবিএম মূসা তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণায় ব্যক্তি মুজিবকে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন তাঁর ‘মুজিব ভাই’ বইটিতে। এবিএম মূসা সাংবাদিকতা করেছেন প্রায় পাঁচ দশক। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক নানা সংস্থায় সাংবাদিকতার সুবাদে দেশের রাজনীতির অন্দরমহলে তাঁর যাতায়াত ছিল অবাধ। বহু ব্যক্তিত্বকে কাছ থেকে দেখেছেন, দেখেছেন রাজনীতি কিংবা অন্যান্য অঙ্গনে। শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ এবং ঘনিষ্ঠতা ছিল প্রায় দুই যুগ। এবিএম মূসা ব্যক্তি শেখ মুজিবের একেবারে কাছাকাছি আসতে পেরেছিলেন। তাই তো অন্যদের কাছে যখন শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘নেতা’ বা ‘লিডার’, এবিএম মূসার মতো কিছু ঘনিষ্ঠজনের কাছে তিনি শুধুই ছিলেন ‘মুজিব ভাই’। এই মুজিব ভাইয়ের সম্বন্ধে এবিএম মূসা নানা সময়ে পত্রিকা কিংবা বিশেষ ক্রোড়পত্রে স্মৃতিচারণমূলক কিছু নিবন্ধ লিখেছিলেন।
এ বি এম মূসা (জন্মঃ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩১ - মৃত্যু: ৯ এপ্রিল, ২০১৪ একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী সাংবাদিক। তিনি একাধারে একজন সাংবাদিক, সম্পাদক ও কলামিস্ট। বর্ণাঢ্য কমজীবনের তিনি দীর্ঘকাল ইংরেজী দৈনিক বাংলাদেশ অবজার্ভার-এর বার্তা সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক-এর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু পর্যন্ত টানা ছয় দশক তিনি সাংবাদিকতা করে গেছেন। ১৯৭১-এ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সরকারের নিমোর্হ সমালোচনায় তিনি ছিলেন নির্ভীক ও সোচ্চার। তাঁর লেখনী ছিল ক্ষুরধার। তিনি আমৃত্যু সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। মৃত্যুর পূর্ববর্তী বছরগুলোতে তিনি টেলিভিশন টক-শোতে গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে কথা বলে জনপ্রিয়তা অর্জ্জন করেন।তাঁর মৃত্যু পরবতী সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয় "এবিএম মূসা ছিলেন আমাদের সাংবাদিক সমাজের জ্যেষ্ঠতম সদস্য ও অভিভাবক।