একজন মায়ের কাছে তার সন্তান কতটুকু আদরের তা কাউকে কখনও বলে বোঝানো যায় না। সেই বোঝে যে প্রচন্ড কষ্ট, ত্যাগ আর ধৈর্য্যের বিনিময়ে সন্তান তার নিজের শরীরে ধারন করে, সেই সন্তানকে পৃথিবীতে নিয়ে আসে আর লালন-পালন করে যোগ্য সন্তান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। সেই সন্তান হারা মায়ের কষ্ট কতটুকু কেউ কোনদিন বুঝতে পারে? নাকি বোঝা কোনদিন সম্ভব? একজন মাই জানে তার সন্তান হারানোর বেদনা কতটা গভীর, যন্ত্রণাদায়ক, সেই সময় কতটা নির্মম। মা-সন্তানের সম্পর্ক দুনিয়ার সবচেয়ে মধুরতম সম্পর্ক। আর সেই সন্তান যদি হয় প্রথম সন্তান তবে তার প্রতি ভালবাসাটা যেন একটু বেশিই থাকে। আমি একজন মা। তাই আমি জানি আমি সন্তানের একটুখানি কান্না, অভিমান, কষ্ট আমার জন্য কতটা যন্ত্রণাদায়ক। বর্তমান কালে আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। ছিলেন বলব না। এখনও আছেন। এখনও বইমেলায় তার বই সর্বাধিক বিক্রির তালিকায় থাকে। আমরা সবাই জানি দূরারোগ্য কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি আমাদের ফেলে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
জন্ম ১৯৩০ সালের ২৩ মার্চ, মোহনগঞ্জে। খুব শখ ছিল তার পড়াশোনা করার, ক্লাস টুতে বৃত্তিও পেয়েছিলেন। সেই সময় পড়াশোনার চল ছিল না বলে তা হয়ে ওঠেনি। বিয়ের পর লেখক স্বামীর উৎসাহে বেগম ও ডিটকেটিভ পত্রিকায় কিছু গল্প লিখেছেন। স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধে স্বামীর মৃত্যুর পর শুরু হয় তার ভয়াবহ জীবন। কঠিন সংগ্রামে তার ছয় ছেলেমেয়েকে মানুষ করেছেন। তার ছেলেমেয়েরা এখনো বলে, ‘মা না থাকলে আমরা ভেসে যেতাম!' মহীয়সী এই নারী মারা যান। ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর |