স্কুলে অষ্টম শ্রেনীর ক্লাসে ইবু, সাচ্চু, সাজু, অনিক এই চারজন ভালো বন্ধু। ইবু এখানে গল্পকথক, সাচ্চু বই-টই বিশেষ পড়েনা, তবে দুনিয়ার সব খবর রাখে। অনিক মোটামুটি ভালো ছাত্র, বই-টই পড়ে। সাজু ক্লাশের ফার্স্ট বয়, সবচেয়ে ভালো ছাত্র। একটু লাজুক টাইপের, সবাইকে তুমি তুমি করে বলে। সেই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে একদিন ভর্তি হয় নতুন একটা ছেলে, নাম খায়রুল হাসান ওরফে সেন্টু। শুকনো পাতলা একটা মানুষ, মাথাভর্তি এলোমেলো চুল, মুখ গম্ভীর। সেন্টু হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে পারে না। দুটো পা নীচ থেকে প্যারালাইজড। ওপরে যে চার বন্ধুর কথা লেখা হলো, তাদের সাথে সেন্টুর বন্ধুত্ব হতে খুব বেশি সময় লাগেনা। ক্লাসের গুন্ডা বকর, যে কী না বহুবছর ধরে ক্লাস এইটে আটকে আছে তাকে টাইট দেয়া, গরিলার মত দেখতে ভূইয়া স্যারের অপকর্ম ফাঁস করে দেয়া, জাল নোটের কারবারিকে ধরিয়ে পুলিশে দেয়া.. এগুলো করতে করতেই দিন কেটে যায় তাদের। সেন্টু একসময় গোটা ক্লাসের হিরোতে পরিণত হয়। এরকম একটা সময়ে হঠাৎ সেন্টু স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কেন? ব্যক্তিগত মতামতঃ জাফর ইকবাল স্যারের কিশোর উপন্যাস আর সায়েন্স ফিকশম পড়েই ছোট থেকে বড় হয়েছি। বাংলাদেশে আমার অত্যন্ত প্রিয় লেখক তিনি। তবে, বেশ কয়েকবছর ধরে তাঁর কিশোর উপন্যাসগুলো অতটা ভালো হচ্ছিলো না। গত বইমেলায় সে অচলাবস্থা ভেঙ্গে যায়। "গ্রামের নাম কাঁকনডুবি" যথেষ্ট জনপ্রিয়ও হয়।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্মঃ ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃত হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান।