Categories

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য আগষ্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর (হার্ডকভার)

Author: কর্ণেল শাফায়াত জামিল (অব.)
Publisher: সাহিত্য প্রকাশ
ISBN: 9844651441
Pages: 151
Type: New Book

Rent

98 TK
Return Date Dec 01 2024

This book requires deposit of 295 TK.

Please Login to Rent.

Note : All deposit is refundable

তার নেতৃত্বে মুক্তি বাহিনী গঠন এবং পাকিস্তানি সৈন্যদের সাথে সামনাসামনি যুদ্ধে অংশগ্রহনের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। অংশ গুলো-বিদ্রোহ,শুরু হলো প্রতিরোধ যুদ্ধ, তৃতীয় বেঙ্গলের দায়িত্ব গ্রহণ, স্বদেশের মাটিতে যুদ্ধ ,সিলেট অঞ্চলে অভিযান ও চূড়ান্ত যুদ্ধ। এভাবে বিভক্ত। ২য় এবং ৩য় অধ্যায়ে ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর যে হস্তক্ষেপ তা নিয়ে বর্ণনা হয়। অধ্যায় দুটি রক্তাক্ত মদ্য-আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর নামে বিভক্ত। যুদ্ধ পরবর্তী সামরিক অবস্থা, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় থেকে ৩ এবং ৭ নভেম্বর দুটি সেনা অভ্যূত্থান এর বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ ঘটনা উল্ল্যেখ করেছেন। তিনি এরকম কিছু কাহিনী তুলে ধরেন, যেখানে বলা হয় - মুক্তিযুদ্ধের পর এমন কিছু বাঙালী সেনাবাহিনী সৈন্য সামরিক বাহিনীতে যুগ দেন, যারা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সাথে বেইমানী করেছে। যুদ্ধের পর এরাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন কারী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। এর ফলে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধ অনেক সেনা অফিসার প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আরো বলেন যুদ্ধের সর্বশেষ দিন পর্যন্ত যে বাঙালি মেজর পাকিস্তানিদের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে বাঙালি নিধনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তার পরবর্তীতে মন্ত্রীত্বলাভ করার মতো ঘটনা।

You need to Login to write a review

Add your review and rating

কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) শাফায়াত জামিল (জন্ম: ১ মার্চ, ১৯৪০ - মৃত্যু: ১১ আগস্ট, ২০১২) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে। শাফায়াত জামিল ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। এই রেজিমেন্টের অবস্থান ছিল কুমিল্লা সেনানিবাসে। সম্ভাব্য ভারতীয় আগ্রাসনের কথা বলে পাকিস্তানি সেনারা এই রেজিমেন্টের দুটি কোম্পানিকে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠায়। একটি কোম্পানির নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের সংবাদ পেয়ে তিনি তাঁর ও অপর কোম্পানির সবাইকে নিয়ে বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। প্রতিরোধপর্বে আশুগঞ্জ-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়া-গঙ্গাসাগর এলাকায় যুদ্ধ করেন। এরপর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মতিনগরে যান। তাঁকে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি দেওয়ানগঞ্জ, সিলেটের ছাতকসহ আরও কয়েক স্থানে যুদ্ধ করেন।