Note : All deposit is refundable
ইভা নারিনকে দেখতে পেয়েই ছুটে গিয়ে ইভা নারিনের মুখের উপর মুখ রেখে কেঁদে উঠল তার মা মেরী মার্গারিটা ! বাবা এবং অতি আদরের ছােট বােনও তার পাশে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসল। আহমদ মুসা দাঁড়িয়েছিল ডাক্তারদের পাশে নির্বাক বেদনা নিয়ে।
আহমদ মুসা ডাক্তারকে ফিসফিসে কণ্ঠে বলল, ম্যাডাম নারিনকে শীঘ্রই ও.টি-তে নেয়া দরকার। ওটি’র প্রধান ডাক্তার আরেভিক আভেডিস বলল, 'স্যার, সবে এসে বসলেন মেয়ের পাশে। কি করে বলি। আপনি আমাদের সাহায্য করুন।
আহমদ মুসা আস্তে আস্তে গিয়ে অ্যারাম আড্রানিকের পাশে দাঁড়াল। ধীরকণ্ঠে বলল, স্যার, দেরি হয়ে যাচ্ছে। ইভা নারিনকে ও.টি-তে নেয়া দরকার। | মাথা ঘুরিয়ে তাকাল আহমদ মুসার দিকে। উঠে দাঁড়াল সংগে সংগেই। জড়িয়ে ধরল আহমদ মুসাকে। বলল, কনগ্রাচুলেশন আহমদ মুসা। তুমি অসাধ্য সাধন করেছ । কিন্তু ইভা মা’র একি হল? | ‘দুঃখিত স্যার, যে গুলিটা আমাকে বিদ্ধ করত, সেই গুলি সে নিজের বুক। পেতে নিয়েছে। বলল আহমদ মুসা অশ্রুভেজা কন্ঠে ।
আবুল আসাদ (জন্ম: ৫ আগস্ট ১৯৪২) একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও কলামলিস্ট। তিনি দৈনিক সংগ্রামে সম্পাদক। তিনি ১৯৪২ আসলে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার নরসিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা এ, কে, ছামছালুল হক ভারতের বেনারসের মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা লাভকারী একজন আলেম ছিলেন। তার মাতার নাম মজিদা বেগম। আবুল আসাদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ পাশ করেন। ছাত্রজীবন থেকে তার লেখক ও সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। তিনি কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিকে রাজশাহী সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেছেন। ১৯৭০ সালে ১৭ই জানুয়ারী দৈনিক সংগ্রামে সহকারী সম্পাদক হিসাবে যোগদানের মাধ্যমে তিনি সার্বক্ষণিক সাংবাদিক জীবনের শুরু করেন। ১৯৮১ সালে তিনি দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি একজন প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক। এ পর্যন্ত প্রকাশিত তাঁর গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ইতিহাস গ্রন্থ 'কাল পঁচিশের আগে ও পরে' এবং 'একশ' বছরের রাজনীতি', ঐতিহাসিক ঘটনার চিত্রধর্মী গল্প 'আমরা সেই সে জাতি' (তিন খন্ড) এবং প্রবন্ধ সংকলন 'একুশ শতকের এজেন্ডা'। তাঁর সবচেয়ে সাড়া জাগানো সাহিত্যকর্ম হলো সাইমুম সিরিজ। এ পর্যন্ত এই সিরিজের ৬০ টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছেন।