Note : All deposit is refundable
রান্নায় রসনার তৃপ্তি। বাংলাদেশের পুরনো ঐতিহ্যের মধ্যে রানাও একটি। সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তিত বর্তমান রান্নার ধারাকে সেই ঐতিহ্যের সাথে মেলবন্ধনে আবদ্ধ করেছেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ও রন্ধন-বিশেষজ্ঞ অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীর। খাদ্য ও পুষ্টি এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দীর্ঘকালের অধ্যাপনায় তিনি খাদ্য ও পুষ্টি সম্বন্ধে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, সেই অভিজ্ঞতার ফসল রান্না খাদ্য পুষ্টি বইটি। লেখকের চিন্তা-ভাবনা-অভিজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশে রান্না খাদ্য পুষ্টি বই-এর মাধ্যমে রান্না একটি শিল্পের মর্যাদায় আসীন হয়েছে। বইটি শুধু দেশে নয়, বহির্বিশ্বেও সমাদৃত হচ্ছে। অতি সম্প্রতি প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘গুরমান্ড ওয়ার্ল্ড কুকবুক অ্যাওয়ার্ড-২০১১’ লাভ করেছে। আশা করা যায়, আধুনিক রুচিসম্মত পাঠক-পাঠিকা চিরাচরিত খাবার-দাবারের পাশাপাশি আধুনিক খাবারের পরিচয়পর্ব, আনুষঙ্গিক ঘ্রাণ-রং ও নান্দনিক পরিবেশন রীতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে গণিতশাস্ত্ৰে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ইডেন গার্লস কলেজে গণিতের প্রভাষিকা পদে যোগদান করেন। ১৯৬১ সালে তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপ নিয়ে ওকলাহােমা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে খাদ্য ও পুষ্টি এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এম. এস. ডিগ্রি লাভের পর ঢাকায় গাৰ্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ে ১৯৬৩ সালে সহকারী অধ্যাপক পদে নিযুক্তি পান। ১৯৯৩ সালে তিনি গাৰ্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যক্ষার পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন । সমাজকে পুষ্টিমান সম্পন্ন রান্নায় সচেতন করার জন্য বিভিন্ন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন। সাম্প্রতিককালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত “সিদ্দিকা কবীর’স রেসিপি’ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি একটি মশলা প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক রান্না প্রতিযোগিতায় বিশেষজ্ঞ ও অন্যতম জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৯৯৬ সাল থেকে দশ বছর নেসলে বাংলাদেশ-এর নিউট্রিশন এবং কালিনারি কনসালটেন্টের কাজ করেন। তিনি অনন্যা শীর্ষ দশ, শেলটেক পদক ও বুড়িগঙ্গা রোটারি ক্লাব পুরস্কার অর্জন করেন।