যে কোনাে পরিবারের যাত্রা শুরু হয় বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে। এই বন্ধন একটি পবিত্র বন্ধন। যার পরতে পরতে রয়েছে বরকতের ছড়াছড়ি। কিন্তু আমাদের সমাজে এই বরকতময় বন্ধনের শুরুটা হয় নানারকম অ-বরকতী কাজের। মধ্য দিয়ে। সুন্নাহ পরপিন্থী নানাবিধ কার্যকলাপ ও রুসুম-রেওয়াজ পালন করার মাধ্যমে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত বরকতময় এই বিবাহ-বন্ধনে বরকত আর থাকে । এর পরণতি হল সংসার জীবনে নানাবিধ ঝগড়া-কলহ আর অশান্তি। ক্ষেত্রবিশেষ ডিভাের্স-ছাড়াছাড়ি।
উস্তাদ আমাদের সমাজে বর্তমানে বিয়ে নিয়ে যেসব জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা সম্পর্কে আলােচনা করেছেন এবং নবীজির সুন্নাহের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
নবীজির উম্মতের কাউকে আমরা ছুঁড়ে ফেলে রাখি না। সমাজের কোনাে অংশকে অচল রেখে গােটা সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। তাই বিয়ের ক্ষেত্রে তিনি বিধবা কিংবা তালাকপ্রাপ্ত নারীদের যথাযােগ্য সম্মান দিয়েছেন এবং সমাজে তাদেরকে বাঁকা চোখে দেখার ভ্রান্তির কথা তুলে ধরেছেন।
আবার বিয়ে নিয়ে নারীদের মতামত কে গ্রাহ্য না করা, তাদেরকে কাঁধের বােঝা মনে করার মতাে ধারণারগুলােরও অপনােদন করেছেন। আল্লাহ বলছেন বিয়ের সকল প্রক্রিয়ায় বিশেষ করে মেয়েদের সক্রিয় ভূমিকা থাকবে। তাদেরকে সমাজের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়াটা অন্যায়। বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন যাতে আল্লাহর রহমত থাকে। কিন্তু আমাদের নানান ভুলের কারণেই আমরা এই রহমতের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হই। তাই বিয়ের সঠিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানতে হবে।
স্বামী-স্ত্রী উভয়ের সহযােগিতায় বিয়ের সম্পর্ক টিকে থাকে। তাই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে যথেষ্ট স্বচ্ছতা, বিশ্বাস এবং সম্মান থাকা প্রয়ােজন। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা স্বামীকে যেমন মর্যাদা দিয়েছেন ঠিক তেমনি স্ত্রীর প্রতি তার কর্তব্য-ও স্পষ্টকরে উল্লেখ করেছেন। পারস্পরিক দাম্পত্য সম্পর্কে সমস্যা আসে তখনই যখন আমরা আমাদের প্রদত্ত অধিকার আদায়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠি। অথচ নিজের কর্তব্যের ব্যাপারে বেখবর থাকি।
নোমান আলী খান হলেন একজন পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত আমেরিকান মুসলিম বক্তা। তিনি "দ্য বাইয়্যিনাহ ইন্সটিটিউট ফর এ্যারাবিক এ্যান্ড কুর'আনিক স্টাডিজ"-এর প্রতিষ্ঠাতা, সি.ই.ও. এবং প্রধান উপদেষ্টা| ইসলামী ব্যক্তিত্বগণের জীবনীভিত্তিক অভিধান "দ্য ফাইভ হান্ড্রেড মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল মুসলিমস" এটির পঞ্চম সংষ্করণে নোমান আলী খানকে কোন র্যাংঙ্কিং ছাড়াই বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিমদের মধ্যে একজন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। নাসাঊ ইউনিভার্সিটি কলেজে আরবির অধ্যাপক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনের পর, নোমান আলী খান ২০০৬ সালে বায়্যিনাহ ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।বর্তমানে তিনি টেক্সাসের ডালাসে বসবাস করছেন। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিকভাবে কুরআনের তাফসীর ও কুরআন বোঝার জন্য আরবি ভাষা শিক্ষার উপর লেকচার দিয়ে থাকেন।