Note : All deposit is refundable
মক্কা নগরীর লােকেরা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা হিসাবে মানলেও তিনিই যে একমাত্র ইলাহ, যাবতীয় ইবাদাত বন্দেগী লাভের একমাত্র মায়ূদ (উপাস্য), সকল ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিকারী, আইন দাতা, বুদ্ধিদাতা, বিপদে উদ্ধারকর্তা, একমাত্র হুকুম-বিধান দাতা এটা তারা স্বীকার করত না। তারা নানান দেবদেবীর পূজা করত এবং বিশ্ব পরিচালনায় সে সব দেবদেবীকে আল্লাহর অংশীদার মনে করত। তাই আল্লাহ তাআলা তার নাবীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন, যারা আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ বলে স্বীকার করে নিবে এবং এ বিশ্বাসের উপর অটল থেকে শিকমুক্ত অবস্থায় মারা যাবে, জাহান্নাম তাদের জন্য হারাম করে দেয়া হবে। নবুয়তের প্রাথমিক অবস্থায় সলাত, সওম, হজ্জ, যাকাত কিছুই ফরয করা হয়নি। সে সময়ে আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ হিসাবে বিশ্বাস করে নেয়াই ছিল বড় কঠিন ব্যাপার। তাই তখন তাওহীদের প্রতি ঈমান আনাই জান্নাতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। অতঃপর যখন উক্ত ইবাদাতগুলাে ফরয। হিসাবে বিধিবদ্ধ করা হল, তখন শুধুমাত্র আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মাবুদ নেই’ এর স্বীকৃতি প্রদানই জান্নাতে প্রবেশের জন্য আর যথেষ্ট থাকল না। অতএব এখন আল্লাহর তাওহীদে বিশ্বাস করার অর্থই হল তার যাবতীয় নির্দেশকে মান্য করা। তবে বর্তমানে কেউ যদি নতুনভাবে ইসলাম কবুল করে কোন ফরয ইবাদাত কার্যকর করার আগেই তার মৃত্যু হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে এ হাদীস প্রযােজ্য। হবে। তাওহীদে বিশ্বাসী কোন লোেক যদি এমন অবস্থা ও পরিবেশে বাস করেন যেখানে কোন ফরয এবাদত করা একেবারেই অসম্ভব তবে সেক্ষেত্রেও এ হাদীস প্রযােজ্য হতে পারে।