Note : All deposit is refundable
অটোসাজেশন বা নিজে নিজে কথার বৈজ্ঞানিক প্রভাব নিয়ে এখন আর কোনো সংশয় নেই। ফরাসী মনোবিজ্ঞানী ডা. এমিল কোয়ে সর্বপ্রথম নিরাময়ের কাজে অটোসাজেশনকে ব্যবহার করেন। নিজের প্রতিষ্ঠিত সাইকোথেরাপির ক্লিনিকে ১৯১০ থেকে ১৯২৬- এই ১৬ বছর একটানা তিনি স্রেফ অটোসাজেশন প্রয়োগ করেই সারিয়ে তুলেছিলেন হাজার হাজার মাইগ্রেন, বাতব্যথা, অ্যাজমা, প্যারালাইসিস, তোতলামি, টিউমার, গ্যাস্ট্রিক, আলসার ও অনিদ্রার রোগীকে। রোগীদের তিনি প্রতিদিন সকাল ও বিকাল দুবেলা একাগ্র মনোযোগ দিয়ে যে বাক্যটি বলতে বলতেন তাহলো 'ডে বাই ডে ইন এভরি ওয়ে আই অ্যাম গেটিং বেটার অ্যান্ড বেটার'। প্রতিদিন ২০ বার বলতে বলতেই একসময় রোগীরা দেখতেন তাদের রোগ উধাও।
৮০ র দশকে বাংলাদেশে মনোশক্তি বিকাশের বৈজ্ঞানিক চেতনা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে কোয়ান্টামের। বাংলাভাষায় অটোসাজেশনকে কোয়ান্টামই প্রথম সুবিন্যস্ত এবং সুপরিকল্পিতভাবে অনুশীলনের প্রক্রিয়ার সূচনা করে। বাংলাভাষায় ১০০১ টি অটোসাজেশন নিয়ে ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয় ‘জীবন বদলের চাবিকাঠি’ অটোসাজেশন বইটি। আর ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় এর ইংরেজি ভাষান্তর "1001 Autosuggestions : To Change Your Life". অটোসাজেশনের এই বাণী এখন ছড়িয়ে যেতে পারে সারা পৃথিবীতে।