Note : All deposit is refundable
ভালো প্রোগ্রামার হতে গেলে দরকার হচ্ছে অনুসন্ধিৎসু মন। এটি অবশ্য কেবল প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রেই নয়, বরং আরো অনেক ক্ষেত্রেই দরকার। বাংলাদেশে থাকার সময় যখন গণিত অলিম্পিয়াডের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম, সেখানে স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা আমার কাছে প্রোগ্রামিং নিয়ে জানতে চাইত। তাদের সেই জানার আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করলেও তারা ঠিক কোন বই পড়ে প্রোগ্রামিং শুরু করবে, সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর আমার জানা ছিল না, কারণ আমাদের দেশের স্কুলের শিক্ষার্থীদের পক্ষে একটি ইংরেজি বই দিয়ে প্রোগ্রামিং শেখাটা বেশ কঠিনই বটে। তাই তাদের জন্য ২০০৯ সালে একটি বই লেখা শুরু করি এবং ২০১১ সালে সেটি প্রকাশিত হয়, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নামে। তার কয়েক মাস পরে http://cpbook.subeen.com ওয়েবসাইটে আমি বইটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিই। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জানার ও শেখার আগ্রহ যেন আরো বেড়ে গেল। প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক তো শিখলাম, কিন্তু আরো ভালোভাবে সি শিখব কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য লিখে ফেললাম, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ২য় খণ্ড। বইটি ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়।
এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগ্রামিং ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তারা বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার অনেক সমস্যার সমাধান করতেই ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম বিষয়টি জানা প্রয়োজন। তাই আমার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ১ম খণ্ড ও ২য় খণ্ড বইয়ের পাঠকদের ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই বইটি লিখলাম। আশা করি, বইটি পড়লে প্রোগ্রামিংয়ের সৌন্দর্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুনভাবে ধরা দেবে, তাদের মধ্যে যৌক্তিক চিন্তাভাবনার ভিত গড়ে উঠবে এবং তারা একটু অন্যভাবে ভাবতে শিখবে। আমি যেহেতু বইটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য লিখেছি, তাই বইটি যারা পড়বে, তারা যে সবাই ভবিষ্যতে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে পড়বে এমনটি আমি আশা করি না, চাইও না। বিভিন্ন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবে, তাদের নিজেদের পছন্দ বিবেচনা করে ও অভিভাবকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে। কিন্তু তারা ভবিষ্যতে যে বিষয়েই লেখাপড়া করুক না কেন, প্রোগ্রামিংয়ের এই জ্ঞান ও চর্চা তাদের নিঃসন্দেহে অন্যরকম মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। তবে একথা বলে নেওয়া দরকার যে, ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম বিষয়টির ব্যাপ্তি অনেক বেশি। এই বইতে কেবল খুব প্রচলিত ও সহজ কিছু ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে তারা কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে আরো লেখাপড়া করলে, আরো অনেক ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম সম্পর্কে জানতে পারবে।
তামিম শাহরিয়ার সুবিন (ডাকনাম : সুবিন)-এর জন্ম ১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর ময়মনসিংহে। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার হারং গ্রামে। তাঁর বাবা মো: মোজাম্মেল হক ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা ফেরদৌসি বেগম গৃহিণী। স্ত্রী সিরাজুম মুনিরা পুত্র আরাভ শাহরিয়ারকে নিয়ে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন। লেখাপড়া করেছেন হোমনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এ কে উচ্চ বিদ্যালয়, নটর ডেম কলেজ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৬ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পাস করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে (২০০৭ ও ২০০৮ সালে) তিনি এসিএম আইসিপিসি ঢাকা রিজিওনাল-এর বিচারক ছিলেন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও পরে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন মুক্ত সফটওয়্যার লিমিটেড ও দ্বিমিক কম্পিউটিং। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে একজন একাডেমিক কাউন্সিলর। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে গ্র্যাব নামক একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। (ডাকনাম : সুবিন)-এর জন্ম ১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর ময়মনসিংহে। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার হারং গ্রামে। তাঁর বাবা মো: মোজাম্মেল হক ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা ফেরদৌসি বেগম গৃহিণী। স্ত্রী সিরাজুম মুনিরা পুত্র আরাভ শাহরিয়ারকে নিয়ে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন। লেখাপড়া করেছেন হোমনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এ কে উচ্চ বিদ্যালয়, নটর ডেম কলেজ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৬ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পাস করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে (২০০৭ ও ২০০৮ সালে) তিনি এসিএম আইসিপিসি ঢাকা রিজিওনাল-এর বিচারক ছিলেন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও পরে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন মুক্ত সফটওয়্যার লিমিটেড ও দ্বিমিক কম্পিউটিং। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে একজন একাডেমিক কাউন্সিলর। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে গ্র্যাব নামক একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন।