Note : All deposit is refundable
এই বইটির বিষয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক সমকালকে বললেন, গ্রাফিক নভেল সিরিজ 'মুজিব'-এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সামনে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনকে জানা যাবে। বইটির প্রথম পর্বে খেলাধুলা, পড়াশোনা, ডাক্তারের কাছ থেকে পলায়নের মতো বিভিন্ন ব্যতিক্রমী ও সাহসী কাজের পাশাপাশি তরুণ মুজিবের গ্রামীণ জীবনযাপনের ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। গ্রাফিক জীবনকথার মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে মানুষ এবং দেশের প্রতি তরুণ বয়স থেকেই তার বিশ্বস্ততার অঙ্গীকার। বঙ্গবন্ধু নিজের বিশ্বাসের পক্ষে দাঁড়াতে কখনও কুণ্ঠাবোধ করেননি। তিনি তার বাবার সঙ্গে অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলেন, যিনি একজন স্নেহশীল বাবার পাশাপাশি ন্যায়-অন্যায় বোধসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। তার কাছ থেকেই তরুণ মুজিব নিজের কাজের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেছিলেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তার হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। ১৯৬৭ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় স্ত্রী ও সহযোদ্ধাদের উৎসাহে আত্মজীবনী লেখার কাজে হাত দিয়েছিলেন শেখ মুজিব, যা আর শেষ করা হয়নি। ৪৪ বছর পর তার মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে সেই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই আকারে প্রকাশিত হয়। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কথা বলেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। তিনি বলেন, “আমার জন্ম ১৯৮০ সালের দিকে। আমার নানা, মামা-মামি কাউকে দেখিনি। তবে ছোটবেলা থেকেই মা-এর কাছ থেকে তাঁদের গল্প শুনেছি। আমি মাকে জিজ্ঞাসা করতাম, “তোমরা দুষ্টুমি করলে নানা তোমাদের বকত কি না।” নানার বিষয়ে জানতে মাকে শুধু প্রশ্ন করতাম। বলতাম আরেকটি বলো।” বক্তৃতায় তাঁর ছেলেবেলার স্মৃতিচারণা করে রাদওয়ান বলেন, “মার কাছ থেকে শোনা গল্প স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের বলতাম। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুকে চিনত না। অনেক টিচার বলত, “বঙ্গবন্ধুর নাম এত বেশি বেশি বোলো না। অনেকে তাঁর নাম শুনলে ঘাবড়ে যায়।” একদিন এক টিচার বলল, “বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু ছিলেন না, ছিলেন বঙ্গশত্রু”। রাদওয়ান বলেন, “আজ এই বইটা হাতে নিয়ে খুব আনন্দ লাগছে। আশা করি সকলেই পছন্দ করবে। নাতি হয়ে নানার জন্য এই ক্ষুদ্র কাজটুকু করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে”। জানা যায়, ‘মুজিব’ নামের গ্রাফিক নভেলটি বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই অবলম্বনে রচিত হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে ১২টি খণ্ডে প্রকাশিত হবে এই গ্রাফিক নভেলটি। এই নভেলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সময় একটি অ্যানিমেটেড সিনেমাও তৈরি করা হতে পারে। নভেলটিতে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, জন্ম ও শৈশব, স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা।