Note : All deposit is refundable
জানুয়ারিতে আর্জেন্টিনার গ্রীষ্মের গুমােট রাত। কালাে আকাশ ছেয়ে গেছে তারায়। শান্তভাবে নােঙর ফেলে আছে ‘জেলি-মাছ' জাহাজ। জলের ছলাৎ বা মাস্তুলের কঁাচকঁাচানি কিছুই নেই, নিঝুম রাত। মনে হয় গভীর ঘুমে ঢলে পড়েছে মহাসাগর। | ডেকে শুয়ে আছে অর্ধনগ্ন মুক্তো-সন্ধানীরা। কাজের চাপ ও প্রচণ্ড রােদে অবসন্ন তারা ঘুমের মধ্যেই এপাশ-ওপাশ করছে, চেঁচিয়ে উঠছে। থেকে থেকে চমকে উঠছে। হাত-পা। স্বপ্নে হয়তাে দেখেছে তাদের দুশমন কোনাে হাঙর। নির্বাত এই তপ্ত। দিনগুলােয় ওরা এতই ক্লান্ত যে নৌকাগুলােকেও ডেকে তােলেনি। তবে তার দরকারও ছিল না, আবহাওয়া বদলাবার কোনাে লক্ষণ দেখা যায় নি, নােঙরের শেকলে বেঁধে তাদের জলেই রেখে দেওয়া হয়েছে। পালটাল কিছুই কষে বাঁধা হয়নি, সামান্য বাতাসেই তিরতিরিয়ে কেঁপে উঠছে সামনের মাস্তুলের তেকোনা পালটা। ডেকের প্রায় সবটা জুড়ে ঝিনুকের স্তুপ, ভাঙা প্রবালের চুনাপাথর, ডুবুরির দড়ি, ঝিনুক জমাবার ক্যানভাসের বস্তা আর ফঁাকা পিপে ছড়ানাে।
মিজেন মাস্তুলের কাছে ছিল একটা পানীয় জলের প্রকাণ্ড পিপে, তাতে শেকলে বাঁধা একটা লােহার মগ। পিপেটার আশেপাশে জল পড়ে কালাে দাগ ফুটেছে। | থেকে থেকেই এক-একজন ডুবুরি উঠে আধ-ঘুমে টলতে টলতে ঘুমন্তদের মাড়িয়ে জল খাবার জন্য যাচ্ছিল পিপেটার কাছে।