Note : All deposit is refundable
ডুংরু পাশেই শিশির ভেজা ঘাসের উপর বাজনাটা রেখে শুধু-গলায় গান ধরল। ওর কান ভালাে, তাই দুদিন শুনেই তুলে নিয়েছে গানটা। হনুমান ফটকের বাইরে বসে যে ভিখিরি গানটা গায়, সে অবিশ্যি সঙ্গে সঙ্গে বাজনাও বাজায়। তাই ডুংরুর শখ হয়েছিল সেও বাজাবে। এই বাজনাটা সবজিওয়ালা শ্যাম গুরুঙের। ডুংরু এক বেলার জন্য চেয়ে এনে রেখে দিয়েছে তিন দিন। ছড় টেনে সুর বার করা যে এত শক্ত তা কি ও জানত?
ডুংরু গলা ছাড়ল। সামনে ভুট্টা খেতের ওপরে দুটো মােষ আর কয়েকটা ছাগল ছাড়া কাছে-পিঠে কেউ নেই। ডুংরুর ঠিক পিছনেই খাড়া পাহাড়, তার নিচে একটা বাদাম গাছ, তারই ঠিক সামনে ডুংরুর বসার ঢিবি। ওই যে দূরে ইটের তৈরি টালির ছাতওয়ালা দোতলা বাড়ি, ওটা ডুংরুদের বাড়ি। ভুট্টার খেতটাও ওদের । উত্তরে কুয়াশার আবছা পাহাড়ের পিছনে তিনটে বরফে ঢাকা পাহাড়ের মধ্যে যেটার চূড়াে মাছের লেজের মতাে দু’ভাগ হয়ে গেছে, যেটার নাম মাচ্ছাপুছরে, সেটার ডগা এখন গােলাপী।
প্রথম দুটো লাইন গাইবার পর তিনের মাথায় যেখানে সুরটা চড়ে, সেখানে আসতেই আকাশ ভাঙল। গুড় গুড় শব্দটা শুনেই ডুংরু এক লাফে পাঁচ হাত পাশে সরে গিয়েছিল, নইলে ওই হাতির মাথার মতাে পাথরটা বাজনাটার সঙ্গে সঙ্গে ওকেও থেঁতলে দিত ।