Note : All deposit is refundable
চন্দ্রা নদী তীর ভাঙতে ভাঙতে এগিয়ে এসে পলাশপুর গ্রামের বড় হিজল গাছটা পর্যন্ত এসে হঠাৎ করে থেমে গেল। হিজল গাছটার অর্ধেক তখন শুন্যে নদীর কালাে পানির উপর ঝুলছে, বাকী অর্ধেক কোন ভাবে মাটি কামড়ে আটকে আছে- দেখে মনে হয় যে কোন মুহূর্তে পুরাে গাছটা বুঝি পানিতে হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়বে। এই গাছটা ছিল পলাশপুর গ্রামের বাচ্চা কাচ্চাদের সবচেয়ে প্রিয় গাছ। তারা এর মােটা ডাল বেয়ে উপরে উঠত, মাঝারী ডালগুলিতে ঘােড়ার মত চেপে বসে দুলত, সরু ডালগুলি ধরে ঝুল খেয়ে নিচে লাফিয়ে নামত। নদীর ভাঙ্গনের মাঝে পড়ে যাওয়ায় প্রথম প্রথম বাচ্চারা কেউ এই গাছে উঠতে সাহস করত না। এক দুই দিন যাবার পর গ্রামের দুর্দান্ত আর ডানপিটে কয়েকজন একটু একটু করে গাছটায় আবার ওঠা শুরু করল, কিন্তু ঠিক তখন জমিলা বুড়ী একদিন নদীর তীরে দাড়িয়ে হিজল গাছটা নিয়ে তার বিখ্যাত ভবিষ্যত্বাণীটা ঘােষণা করল। তারপর আর কাউকে হিজল গাছের ধারে কাছে দেখা যায় নি।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্মঃ ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃত হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান।