Note : All deposit is refundable
প্রতিভার নাম, অপ্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠক, জনপ্রিয় টিভি-উপস্থাপক, প্রাবন্ধিক, কবি, গল্পকার, অনুবাদক, নাট্যকার-তাঁর পরিচয়ের শেষ নেই। কিন্তু আরো একটা কারণে তাঁর পরিচয়ের শেষ নেই। কিন্তু আরো একটা কারণে তাঁর খ্যাতি দেশজোড়া, অসাধারণ বাগ্মী তিনি; তাঁর বক্তৃতা পাণ্ডিত্য, সরসতায়, সৌন্দর্যে অপূর্বতায় উজ্জ্বল। এই বইয়ে থাকলো প্রধানত স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সামনে দেওয়া বিভিন্ন উপলক্ষে তাঁর বক্তৃতাগুলো। হাসির ছটা দিয়ে বক্তৃতাগুলো মুরু হয়েছে সাধারণ, কিছুক্ষণের মধ্যেই গল্পচ্ছলে বক্তা ঢুকে গেছেন বিষয়ের গভীরে, কেবল তত্ত্বকথা নয়, জীবনরসিকের জীবনাভিজ্ঞতার আলোয় ঋদ্ধ এই বক্তৃতাগুলো। আছে সাধারণ কৌতুক থেকে শুরু করে মনীষীদের জীবনের সত্য ঘটনার উল্লেখ, আছে কবিতা কিংবা সাহিত্যের উজ্জ্বল উদ্ধৃতি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কিংবা রণদাপ্রসাদ সাহার মতো ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বক্তৃতাও ঠাঁই পেয়েছে এই দুই মলাটের মধ্যেই-যে ভাষণের উদ্দিষ্ট শ্রোতাদের সবাই হয়তো তরুণও নয়।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের নিজের অন্তর জুড়ে আছে ভালোবাসা-বেদনা, এই সমাজের জন্যে, এই রাষ্ট্রের জন্যে, মানবতার জন্যে, তাই তিনি নিরলসকর্মী, কর্মিষ্ঠ ভাবুক, অনলস লেখক, নাছোড় সমাজহিতৈষী-নিজে কাজ করে চলেছেন বলে তাঁর এই বক্তৃতামালা কেবল বাগাড়ম্বর বলে ধরার ধুলায় হারিয়ে যাবার নয়। এই বইয়ের পাঠ তাই বদলে দিতে পারে একজন তরুণের জীবন, তাকে জাগিয়ে তুলতে পারে ভারোবাসায়-বেদনায়।
সূচিপত্র
* লাইসেন্স দিয়ে বাঘ মারা
* পেতেই যদি হয় তো সোনার হরিণ
* যেমন চাই চকবাজার তেমনি চাই রমনা পার্ক
* ব্রাহ্মণের বাড়ির কাকাতুয়া
* একটুখানি পাশ দিয়ে
* সথ্যের সপক্ষে
* চাই বড় মন, বৃহতের স্পর্শ
* মনকে নিয়ে এসো একটি বিন্দুতে
* চাই মহৎ পাগল
* ছোট একটু সোনালি স্পর্শ
* চাই স্বপ্নে-ভরা আনন্দময় শৈশব
* আমগাছ তলার অবসর
* চলো আলোর দিকে, সৌন্দর্যের দিকে
* শিল্পপ্রেমিকের শুঁড়িখানা
* চাই বেদনা, চাই আত্মোৎসর্গ
অনুবাদক অনীশ দাস অপু : জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯। জন্মস্থান বরিশাল, পিতা প্ৰয়াত লক্ষী কান্ত দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স সহ এম, এ করেছেন। ১৯৯৫ সালে | লেখালেখির প্রতি অনীশের ঝোক ছেলেবেলা থেকে । ছাত্রাবস্থায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকাগুলোতে চিত্তাকর্ষক ফিচার, গল্প এবং উপন্যাস অনুবাদ শুরু করেন । হরর এবং থ্রিলারের প্রতি তাঁর ঝোকটা বেশি। তবে সায়েন্স ফিকশন, ক্লাসিক এবং অ্যাডভেঞ্জার উপন্যাসও কম অনুবাদ করেননি। এ পর্যন্ত তাঁর অনুদিত গ্ৰন্থ সংখ্যা ১০০’র বেশি। অনীশ দাস অপু লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি দৈনিক যুগান্তর- এ সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তবে লেখালেখিই তার মূল পেশা এবং নেশা ।