Note : All deposit is refundable
টিটন বলল, “বদমাইশ পাজী পিঁপড়ার বাচ্চা পিঁপড়া—” তারপর প্যান্টের ভিতরে যেখানে স্বাভাবিকভাবে কোনাে পিপড়া যাবার কথা না—সেখান থেকে একটা পিপড়া ধরে বের করে নিয়ে আসে। মুখ খিচিয়ে বলে “এই পিপড়াটার আমি বােঝাব মজা! কতাে বড় সাহস—আমাকে কামড় দেয়? এটাকে আজকে আমি জন্মের মতাে শিক্ষা দিব।” | একটা পিঁপড়াকে কেমন করে জন্মের মতাে শিক্ষা দেওয়া হয় আমি নিজেও সেটা দেখতে চাচ্ছিলাম। টিটন দাঁত কিড়মিড় করে বলল, “এর ছয়টা ঠ্যাং ছিড়ে আমি আলাদা করে দিব।
তারপর দেখি সে কী করে। কেমন করে হাঁটে।”
বিষ পিঁপড়ার পা ছেড়ার চেষ্টা করা নেহায়েতই বােকামির কাজ, কারণ তখন সেটা টিটনের বুড়াে আঙুলে আবার কামড়ে ধরল । টিটন বলল, “আউ! আউ!” এবং কিছু বােঝার আগে সেই পিঁপড়া তার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে প্রথমে গাছের ডালে তারপর পাতার আড়ালে গিয়ে অন্য পিঁপড়াদের মাঝে গা ঢাকা দিয়ে ফেলল। সেটাকে আলাদা করে আর খুঁজে পাওয়ার কোনাে উপায় নেই। টিটন ফোঁস করে একটা নিশ্বাস ফেলে বলল, “দেখেছিস? দেখেছিস বদমাইশ পিপড়াটা কী করল?”
মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্মঃ ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃত হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান।