Note : All deposit is refundable
এক স্বপ্ন যেমন মােতাহারের মনে, অন্য স্বপ্ন তেমন তার কর্মে। তিনি কর্মযজ্ঞের। বীরপুরুষ। উপযুক্ত পরিবেশে তিনি কর্মযজ্ঞে মেতে ওঠেন । হুগলিতে লবণের কারখানা। তৈরি করেন। কিন্তু সে কারখানার চারপাশ জুড়ে পর্তুগিজদের আস্তানা। তাদের প্রভাবপ্রতিপত্তি । তবে সৌভাগ্যের বিষয় তাদের সে প্রভাব-প্রতিপত্তি বেশিদিন থাকে না। থাকতেও পারে না। অল্পদিনের ভেতর পর্তুগিজ ব্যবসায়ীরা পেছন ফিরতে বাধ্য হয়। কেননা, সম্রাটের সৈন্যরা একদিন তাদেরকে চারপ্রান্ত থেকে ঘিরে ধরে। সুতরাং আক্রমণ সহ্য করে থাকার মতাে আর কোনাে উপায় থাকে না। তারা পালাতে বাধ্য হয় । আস্তানা ছেড়ে দিতে হয় তাদেরকে । প্রভাব-প্রতিপত্তি সব ভেঙে টুকরাে টুকরাে। হয়ে যায়। পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের অবসান ঘটে। সাথে সাথে হুগলিতে। প্রতিষ্ঠিত হয় নতুন শাসনব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, পুরনাে রাজধানী সপ্তগ্রামের সেই রাজকীয় আদালত পর্যন্ত হুগলিতে স্থানান্তরিত হয়। যাবতীয় কাগজপত্রও চলে আসে। হুগলিতে । নতুন তৈরি প্রাসাদে পতপত করে ওড়ে মােগলদের বিজয় পতাকা । হুগলির শােভা বাড়ে। তৈরি হয় দুর্গ, নতুন নতুন বাড়ি। সুশােভিত সৌন্দর্যে হুগলিবাসীর মন জেগে ওঠে। নতুন প্রাণের হিল্লোলে তারা মেতে ওঠে।