Note : All deposit is refundable
ঝট করে উঠে বসে চিৎকার করতে যাচ্ছিল রায়ান। গলাটা হাঁ-ও করল, কিন্তু কোনো শব্দ বের হলো না সেখান দিয়ে। আ আ একটু শব্দ হয়ে থেমে গেল তা। বুকের ভেতরটা ফেটে যেতে চাচ্ছে তার। হাত-পাও তেমন নাড়াতে পারছে না। চোখ দুটোও কেমন স্থির হয়ে আছে। কেবল বোবার মতো তাকিয়ে রইল সে সামনের দিকে। মানুষের মতো অদ্ভুত মূর্তিটা দু পা এগিয়ে এলো রায়ানের দিকে। একটা হাত বাড়িয়ে দিল তার দিকে। রায়ান খেয়াল করল-তারই মতো উচ্চতা ওই অদ্ভুত মূর্তিটার, কিন্তু হাতটা অসম্ভব লম্বা, মানুষের থাকে পাঁচটা আঙ্গুল, ওটার রয়েছে তিনটা। হ্যালুশিনেশনের মতো হাত বাড়িয়ে দিল রায়ানও। অদ্ভুত মানুষটা হ্যান্ডশেক করার ভঙ্গিতে হাত চেপে ধরল তার। সঙ্গে সঙ্গে চোখ দুটো আগের চেয়ে বড় বড় হয়ে গেল রায়ানের। সামনের মূর্তিটা এখন ঠিক মূর্তি নেই, বদলে গেছে, হুবহু তার মতো হয়ে গেছে! রায়ানের সামনে আরেকটা রায়ান দাঁড়িয়ে আছে। হাতটা আরো একটু চেপে ধরে নতুন রায়ান পুরান রায়ানকে বলল, ‘তুমি কেমন আছো, রায়ান?’