Note : All deposit is refundable
নিতু মনের খেয়ালে ডায়েরি লিখতে শুরু করে ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে। সে তখন ১৩ বছরের কিশোরী। নিতু তার মনের সুন্দর ভাবনাগুলো ডায়েরিতে লেখে। গ্রামে ঘটে যাওয়া মজার ঘটনা লেখে। নিতুদের সাজানো গোছানো পরিপাটি সংসার। সেই ভালোবাসাময় সংসারের কথা জানা যায় নিতুর ডায়েরি থেকে। মার্চের ২৫ তারিখ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি মিলিটারি ঝাঁপিয়ে পড়ে এই দেশের নিরপরাধ মানুষের উপর। শুরু হয় যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। যুদ্ধের আঁচ লাগে নিতুদের গ্রামে। কাজলরেখা নদী দিয়ে মানুষের লাশ ভেসে যায়। নিতু ডায়েরিতে লেখে সেইসব কথা। নিতুর ডায়েরি সাক্ষী হয় মুক্তিযুদ্ধের। বাবা, বড় ভাই, হাসান স্যার, যতিন মাস্টার সকলেই যুদ্ধে চলে যান। পাকিস্তানি মিলিটারিরা নিতুদের ইশকুলে ক্যাম্প করে। তারা উর্দু স্যার আর হাশিম মৌলানাকে মেরে ফেলে। লতিফ মামু পাকিস্তানি মিলিটারিদের সঙ্গে হাত মেলায়। নিতুদের জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ সংকট। পাকিস্তানি মেজর ইশতিয়াক নিতুর বড় বোন মিতুকে বিয়ে করতে চায়। যুদ্ধ থেকে বড় ভাই আসে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। পাকিস্তানি মিলিটারিদের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে যায় সে। মিতু পাকিস্তানি মিলিটারির হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। বাবার ফেরার প্রতীক্ষায় থাকে নিতু। সেই প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হয়। যুদ্ধ মানবতার বিপক্ষে দাঁড়ায়।