Note : All deposit is refundable
এক কুড়ির চেয়ে একটি কম, অর্থাৎ ঊনিশটি গল্প স্থান পেয়েছে এই সংকলনটিতে। যাঁরা হরর কাহিনি পড়তে ভালবাসেন তাঁরা বইটি লুফে নেবেন-একথা জোর দিয়ে বলতে পারি। পাঠক, আর দেরি না করে চলুন সংকলনটির শিরোনাম গল্প পিশাচ চক্র’র খানিকটা অংশ জেনে নেই। তখন ছিল মাঘ মাস। খোলা রাস্তায় কুয়াশার মধ্যে হাঁটতে গিয়ে টের পেলাম, ‘মাঘের শীতে বাঘে কাঁপে’ কথাটা কতটুকু সত্যি। গ্রামের সীমানায় পৌঁছাতে রাত তিনটা বেজে গেল। কী মনে করে যেন ঘড়িটা দেখেছিলাম, তাই ঠিক সময়টা বলতে পারছি। তা হাঁটতে হয়েছিল মাইল পাঁচেকের মত। গ্রামে ঢোকার পথ দুটো। একটা সোজা, সড়ক ধরে। অন্যটা সোজা, সড়ক ধরে। অন্যটা আড়াআড়ি-শ্নাশানের ধার ঘেঁষে। সড়ক ধরে গেলে বেশ দেরি হবে। অতটা পথ হেঁটে ক্লান্ত লাগছিল, আর শীতে তো কাঁপছিলই। তাড়াতাড়ি হবে ভেবে সড়ক ছেড়ে আড়াআড়ি পথটাই ধরলাম। আর সব শ্মাশানের মত আমাদের গ্রামের শ্মাশানটারও নানা রচনা ছিল। যা হোক, হাঁটছি যতটা জোরে হাঁটা সম্ভব। শ্মাশানটার কাছাকাছি আসার পর থমকে দাঁড়ালাম। দেখি কী, পথের ধারের বড় তেঁতুল গাছটার তলে কী একটা ঠেস দেওয়া। কিছু মানুষের মত মনে হচ্ছিল। তেঁতুল তলাটা ছায়া-ছায়া হওয়াতে ঠিক কী ওটা ঠাহর করতে পারছিলাম না। অন্য সময় যতবারই শ্মশানে এসেছি, দলবেঁধে এসেছি। আজ তো একা, কিন্তু তাই বলে এমন ভয়ও পাইনি যে নড়ার শক্তি নেই। মনে মনে ভগবানকে স্বরণ করে পা বাড়ালাম.... বইটির বাকি দেড় ডজন গল্প একেকটি একেক স্বাদের। একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে ওঠার উপায় নেই। ‘পিশাচ-চক্র’ শীঘ্রি পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করবে।
অনুবাদক অনীশ দাস অপু : জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯। জন্মস্থান বরিশাল, পিতা প্ৰয়াত লক্ষী কান্ত দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স সহ এম, এ করেছেন। ১৯৯৫ সালে | লেখালেখির প্রতি অনীশের ঝোক ছেলেবেলা থেকে । ছাত্রাবস্থায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকাগুলোতে চিত্তাকর্ষক ফিচার, গল্প এবং উপন্যাস অনুবাদ শুরু করেন । হরর এবং থ্রিলারের প্রতি তাঁর ঝোকটা বেশি। তবে সায়েন্স ফিকশন, ক্লাসিক এবং অ্যাডভেঞ্জার উপন্যাসও কম অনুবাদ করেননি। এ পর্যন্ত তাঁর অনুদিত গ্ৰন্থ সংখ্যা ১০০’র বেশি। অনীশ দাস অপু লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি দৈনিক যুগান্তর- এ সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তবে লেখালেখিই তার মূল পেশা এবং নেশা ।