পুণ্যস্নান বা ধর্মীয় আচরণের জন্য প্রায়ই সে বাইরে ঘুরে বেড়াত বলে তার শরীরের রঙ তামাটে হয়ে গিয়েছিল। আম্রকুঞ্জে যখন সে খেলা করত কিংবা তার মা তাকে গান শােনাতেন কিংবা তার বাবা পড়াতেন অথবা পণ্ডিত ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে যখন সে থাকত তখন তার দৃষ্টিতে অপূর্ব এক ছায়া খেলা করত। বিদ্বান লােকেদের সাথে সে নানা বিষয় আলােচনা করতে পারত, গােবিন্দের সাথে তর্ক করতে পারত এবং তার সাহচর্যে চিন্তা এবং ধ্যানও করত। সব শব্দের মূল ‘ওম' শব্দটি কীভাবে নিঃশব্দে উচ্চারণ করতে হয় এবং নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় মনের অন্তস্তলে অনুচ্চারিত রেখেও এই কথাটি বলা যায়- তা সে করতে পারত। নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় তার মুখমণ্ডল থেকে একটা জ্যোতি যেন ঠিকরে বের হত।