‘ ডিসেম্বরের প্রথম রবিবার একটি বাদামি রঙ্গের ধূরস কুকুর যার কপালের মাঝে সাদা ফোট ফোট দাগ জনাকীর্ণ বাজারে ঘেউ ঘেউ করে চিৎকার করে উঠল।’
যখন একজন পুরোহিত চিকিৎসক মার্কেস ডি কেসালডুয়েরোর দরজার সামনে এসে তাদের কলম্বিয়ান জাহাজ ঘাটের জলাতঙ্ক রোগের ভবিষ্যদ্বানী করছিল তখনই সে শুনতে পেল যে, তার অল্প বয়স্ক কণ্যা সিয়েরবা মারিয়াকে পাগলা কুকুরে কামড়িয়েছে এবং সে একমাত্র রোগী যে বিপদমুক্ত।
সিয়েরভা মারিয়া সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উপস্থিত হলো। কিন্তু একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ল যে, জলাতঙ্ক মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কেজ আর তার স্ত্রী মেয়েটির অব্যাহত সুস্থতায় বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়লেন। অন্ধ বিশ্বাসে আচ্ছন্ন একটি শহরের প্রত্যেকেই মেয়েটির সুস্থতাকে একটি অবিশ্বাস্য অশুভ মিছিলে রুপান্তির করল এবং শহরের রোগ ,শোক ,দুঃখ পীড়ায় মেয়েটির অলৌকিক ক্ষমতাকে দেখতে থাকল।
কিন্তু চার্চের একজন তরুন ধর্মযাজক তার তন্ত্র মন্ত্র আর বিশ্বাস নিয়ে মেয়েটির মুখোমুখি দাঁড়াল। সে কি পারবে শহরের লোকজনকে বোঝাতে যে, রোগ থেকে সুস্থতার জন্য মেয়েটির দরকার নেই?