ডেক বলতে যা বােঝায় জাহাজে তা ছিল না। মাসটা জানুয়ারি হলেও জাহাজের পানশালার দুটো দিক একেবারে খােলা, জনা তিনেক লােক ঐ পানশালার সামনে দাঁড়ালেই মনে হবে যেন একগাদা লােক দাঁড়িয়ে আছে । গ্রীস দেশের লােকটা কাউন্টারে যে কফি বিক্রি করছিল তা অতি জঘন্য এবং তার ব্যবহারও ছিল অত্যন্ত কর্কশ। ইতালি থেকে আসা এক রাতের যাত্রীরা ছােট ঘরটার প্রায় সব কটা চেয়ার দখল করে নিয়েছিল। তাদের সঙ্গে যােগ দিয়েছিল উনিশ কুড়ি বছরের কয়েকজন আমেরিকান শ্বেতাঙ্গ স্কুল পড়ুয়া, তারা বিনয়ী হলেও চালচলনে খুব সপ্রতিভ। পানশালা ছাড়া আর যে ঘরটা সাধারণের ব্যবহারের জন্য রাখা ছিল সেটা হল খাবার ঘর। সেখানে প্রথমবার ভােজনের ব্যবস্থা যারা করছিল তারা ঐ পানশালার লােকটার মতাে বদ-মেজাজী। এতদিন গ্রীক সৌজন্যের কথা শুনে এসেছিলাম। এখন মনে হল ওটা তীরভূমিতেই থেকে গিয়েছে। যারা কুঁড়ে, বেকার কিংবা গ্রামের হতাশাগ্রস্ত তারাই বুঝি সৌজন্যবােধ আঁকড়ে ধরে আছে।