জীবনে যে দুর্দশা বয়ে গেছে, তার প্রভাবে বিষন্ন আর মনমরা হয়ে পড়েছিলাম। একাডেমিক পড়াশােনা আর নিবিড় ধর্মচর্চার মাধ্যমে ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরে এল। অনেকের কাছে আমার সে চর্চা অদ্ভুত মনে হতে পারে জেনেও তা চালিয়ে গেলাম। টরন্টো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলাম এক বছর হাই স্কুলে পড়ার পর । সেখানে ডবল-মেজর ব্যাচেলর ডিগ্রি নিলাম। আমার দুই মেজর ছিল ধর্মতত্ত্ব এবং প্রাণীবিদ্যা। ফোর্থ ইয়ারে ধর্মতত্ত্বে আমার থিসিসের বিষয় ছিল ষােড়শ শতকের মহান কাব্বালাপন্থী সাফেদের আইজ্যাক লুরিয়ার সৃষ্টিতত্ত্বের সুনির্দিষ্ট কয়েকটি দিক। অন্যদিকে প্রাণীবিদ্যায় থিসিসের বিষয় ছিল তিন আঙ্গুলের পা-ওয়ালা থের থাইরয়েড গ্রন্থির ক্রিয়াকর্মের বিশ্লেষণ। শ্লথকে বেছে নেওয়ার কারণ এটির শান্ত, সৌম্য ও নিমগ্ন চলাফেরা আমার ভগ্নহৃদয়ে কিছুটা সান্ত্বনা যােগাতাে।