বলা হয়, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ালে সব পরিষ্কার হয়ে যায়, এখন এনসেই টানকাডো হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে, কথাটা একেবারে সত্যি। বুকের একপাশ চেপে ধরে মাটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাবার আগ মুহূর্তে সে তার কাজের ভুল দিকটা ধরতে পারে। লোকজন চারধার থেকে ভিড় জমাচ্ছে, ঝুকে আসছে তার উপর, চেষ্টা করছে সাহায্য করার। কিন্তু দেরি হয়ে গেল, অনেক বেশি দেরি হয়ে গেল। এখন আর কিছূ করার নেই। কাঁপতে কাঁপতে সে বা হাতটাকে উচু করে ধরে। খুলে দেয় মুষ্ঠিবদ্ধ কয়েকটা আঙুল। মনে মনে বলে, আমার হাতের দিকে দেখ! চারপাশের লোকজন তাকায় তার হাতের দিকে, আঙুলগুলো বাঁকা। জন্মগতভাবে অক্ষম টানকাডো। সেটা জানানো তার উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু মূল ব্যাপারটা বুঝতে পারে না কেউ। তারও বোঝানোর মত উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু মূল ব্যাপারটা বুঝতে পারে না কেউ। তারও বোঝানোর মত শক্তি নেই। বাঁকা আঙুলে গেঁথে আছে একটা সোনালি আঙটি। আন্দালুসিয়ান সূর্যের দীপ্তিতে মুহুর্তের জন্য ঝিকিয়ে ওঠে সেখানকার চিহ্নগুলো। অস্তাচলে যাচ্ছে দিবাকর। এনসেই টানকাডো জানে এটাই তার জীবনের শেষ রাত।
ড্যান ব্রাউন (জুন ২২, ১৯৬৪) একজন মার্কিন রোমাঞ্চকর উপন্যাস লেখক। পৃথিবীব্যাপী আলোড়ন তোলা উপন্যাস দ্য দা ভিঞ্চি কোড রচনার জন্য তিনি সবচেয়ে পরিচিত যা ২০০৩ সালে প্রকাশিত এবং সর্বাধিক বিক্রী হওয়া উপন্যাস। ব্রাউনের উপন্যাসের মূল উপজীব্য হচ্ছে বর্ণজটীয় সংকেতায়ন বা ক্রিপ্টোগ্রাফি, রহস্যময় সংকেত ও এদের দ্বৈতমানে (ইংরেজি: dual-meaning)। তাঁর উপন্যাসে এ ব্যাপারগুলো ঘুরে ফিরে বারবার আসে। বর্তমানে ব্রাউনের লিখা উপন্যাস ৪০ টিরও অধিক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।